আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
390 views
in পবিত্রতা (Purity) by (23 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আমি হুরমত,যিহার নিয়ে  জানার জন্য পরতেছিলাম।
সে সময় আমার মাথায় কিছু  প্রশ্ন আসে।
১) কোন ব্যক্তির যদি তার মেয়ের  সাথে হুরমতের শর্ত পাওয়া যায় তাহলে সেই ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক  হারাম হয়ে যাবে।
কিন্তু ঐ ব্যক্তির নিজের জন্মদাতা  মায়ের সাথে যদি হুরমতের শর্ত পাওয়া যায়,তাহলে ঐ ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক  ঠিক থাকবে কিন্তু ঐ ব্যক্তির মা- বাবার সম্পর্ক হারাম  হয়ে যাবে,আমার বুঝটা কি ঠিক আছে?

২)হুরমত হয় নিম্নের সম্পর্কগুলো থেকেঃ
★মা- ছেলে
★বাবা- মেয়ে
★শ্বশুর- ছেলের  বউ
★শ্বাশুরি- মেয়ের জামাই।
এর বাহিরে ও কি অন্য কোন সম্পর্কে  হুরমতের শর্ত  পাওয়া গেলে হুরমত  হয়??
৩)কোন ব্যাক্তির,অন্য যে ব্যক্তির সাথে হুরমতের শর্ত পাওয়া  গেছে, পরবর্তীতে তার আপন ছেলে অথবা মেয়েকে বিয়ে করলে সেই বিয়ে শুদ্ধ  হবে না।
বুঝটা কি ঠিক আছে?
৪)যিহার কি মা, বোন,খালা,ফুফু,চাচী,মামীর  কোন অঙ্গের সাথে তুলনা করলে হয়? নাকি অন্য  আরোও কেউ আছে?

৫)যিহার হয়ে গেলে কাফফারা  আদায় করলেই স্বামী -স্ত্রী  সম্পর্ক  ঠিক হয়ে যায়,এতে কোন তালাক পতিত হয় না।
আমার বুজ কি ঠিক আছে?
৬) স্ত্রী  কতৃক কোন যিহার হয়  না।
বুঝটা কি ঠিক আছে?

1 Answer

+1 vote
by (574,200 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের  বিধান মতে, নিজ কন্যার সাথে যিনা করলে বা কামভাব নিয়ে উত্তেজনার সাথে আবরণ ছাড়া স্পর্শ করলে নিজ স্ত্রী তথা ওই মেয়ের মায়ের সাথে স্পর্শকারীর বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায় এবং স্ত্রী তার জন্যে চিরতরে হারাম হয়ে যায়।

মাসআলাটি ছিল পিতা-মাতার দিক থেকে। একই কাজ যদি সন্তানের দিক থেকে হয় তবুও পিতা মাতার বিবাহ ভেঙ্গে পরস্পর চিরতরে হারাম হয়ে যাবে। কাজেই মা-কে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পুত্র ও বাবাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে কন্যার খুব সতর্কতা আবশ্যক।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
ই'লাউস সুনান ১১/১৩১

أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।      

অন্যত্রে এসেছে 
أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲

যার সারমর্ম হলো যদি কেহ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে সেই মহিলার মেয়ে বা তার মাকে সে কোনোদিন বিবাহ করতে পারবেনা।


বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত বুঝটি ঠিক আছে।
,   
(০২)
হ্যাঁ এর বাহিরেও হুরমতে  মুসাহারাত প্রমাণিত হবে।
,  
শরীয়তের বিধান হলো যদি কোন পুরুষ কোন মহিলা (চাই সে যেই হোকনা কেনো, বাহিরের বা পাড়া প্রতিবেশী বা যেই হোকনা কেনো ) এর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় অথবা কামভাব নিয়ে আবরণহীন তাকে স্পর্শ করে অথবা কামভাব সহকারে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে তাকায় অথবা নারী পুরুষের লজ্জাস্থানে তাকায় তাহলে ঐ পুরুষের জন্য ওই মহিলার মা এবং মেয়ে সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যায়। আর যদি সেই ব্যক্তি পূর্ব থেকেই ঐ মহিলার মেয়েকে বিবাহ করে থাকে, তাহলে তার সেই স্ত্রী চিরতরের জন্য হারাম হয়ে যাবে।
,
(০৩)
হ্যাঁ বুঝটি ঠিক আছে।
,
(০৪)
শরীয়তের পরিভাষায় যিহার’বলা হয় নিজের স্ত্রীর কোনো অঙ্গ কে ‘মা’ অথবা ‘স্থায়ীভাবে বিবাহ হারাম’ এমন কোন মহিলার এমন কোনো অঙ্গ যেটা দেখা হারাম,এমন অঙ্গের সমতুল্য বলে আখ্যায়িত করে  (যেমনঃপৃষ্ঠদেশের সমতুল্যবলে আখ্যায়িত করে) তাহাকে আরবীতে ‘যিহার’ বলা হয়।
,
বিস্তারিত জানুনঃ 

(০৫)
হ্যাঁ বুঝটি ঠিক আছে।
,
(০৬)
হ্যাঁ বুঝটি ঠিক আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...