ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)ইবনু আবু-আসিম উনার কিতাব “ আস-সুন্নাহ(১/৩০৫-৩০৬) এ নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন,
ثنا أَبُو أَيُّوبَ الْجَنائِزيُّ، ثنا سَعِيدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا رَبَاحُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ( إِنَّ مُوسَى بْنَ عِمْرَانَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَمْشِي ذَاتَ يَوْمٍ فِي طَرِيقٍ، فَنَادَاهُ الْجَبَّارُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: يَا مُوسَى فَالْتَفَتَ يَمِينًا وَشِمَالًا فَلَمْ يَرَ أَحَدًا، ثُمَّ نَادَاهُ الثَّانِيَةَ: يَا مُوسَى بْنَ عِمْرَانَ، فَالْتَفَتَ يَمِينًا، وَشِمَالًا فَلَمْ يَرَ أَحَدًا، فَارْتَعَدَتْ فَرَائِصُهُ، ثُمَّ نُودِيَ الثَّالِثَةَ: يَا مُوسَى بْنَ عِمْرَانَ، إِنِّي أَنَا اللَّهُ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا. فَقَالَ: لَبَّيْكَ، وَخَرَّ لِلَّهِ سَاجِدًا. فَقَالَ: ارْفَعْ رَأْسَكَ يَا مُوسَى بْنَ عِمْرَانَ، فَرَفَعَ رَأْسَهُ ... فَقَالَ: يَا مُوسَى ... إِنَّ الْجَنَّةَ لَمُحَرَّمَةٌ عَلَى جَمِيعِ خَلْقِي حَتَّى يَدْخُلَهَا مُحَمَّدٌ وَأُمَّتُهُ. قَالَ مُوسَى: وَمَنْ أُمَّةُ مُحَمَّدٍ؟ قَالَ: أُمَّتُهُ الْحَمَّادُونَ، يَحْمَدُونَ صُعُودًا وَهُبُوطًا وَعَلَى كُلِّ حَالٍ، يَشُدُّونَ أَوْسَاطَهُمْ،، وَيُطَهِّرُونَ أَطْرَافَهُمْ، صَائِمُونَ بِالنَّهَارِ، رُهْبَانٌ بِاللَّيْلِ، أَقْبَلُ مِنْهُمُ الْيَسِيرَ، وَأُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ بِشَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. قَالَ: إِلَهِي اجْعَلْنِي نَبِيَّ تِلْكَ الْأُمَّةِ. قَالَ: نَبِيُّهَا مِنْهُمْ. قَالَ: اجْعَلْنِي مِنْ أُمَّةِ ذَلِكَ النَّبِيِّ. قَالَ: اسْتَقْدَمْتَ وَاسْتَأْخَرُوا يَا مُوسَى، وَلَكِنْ يَا مُوسَى سَأَجْمَعُ بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ فِي دَارِ الْجَلَالِ ).
মর্মার্থ- হযরত মুসা আঃ আল্লাহকে বলেছিলেন, اجْعَلْنِي مِنْ أُمَّةِ ذَلِكَ النَّبِيِّ. হে আল্লাহ আমাকে উম্মতে মুহাম্মদীর অন্তর্ভুক্ত করে দাও। উক্ত হাদীসের সনদ নিতান্তই দুর্বল।
ইমাম আলবানী আস-সুন্নাহ কিতাবের ব্যখ্যাগ্রন্থ ”যিলালুল জান্নাহ” গ্রন্থে উক্ত হাদীসকে যঈফ বলেছেন, এমনকি তিনি উক্ত হাদীসকে মাওযু বলেছেন।(১/৩০৬)
আবু-নুআইম দালাইলুন-নুবুওয়াহ(৬৮-৬৯) গ্রন্থে বলেন,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، قَالَ: ثنا الرَّبِيعُ بْنُ النُّعْمَانِ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ( إِنَّ مُوسَى لَمَّا نَزَلَتْ عَلَيْهِ التَّوْرَاةُ، وَقَرَأَهَا فَوَجَدَ فِيهَا ذِكْرَ هَذِهِ الْأُمَّةِ فَقَالَ: يَا رَبِّي، إِنِّي أَجِدُ فِي الْأَلْوَاحِ أُمَّةً هُمُ الْآخِرُونَ السَّابِقُونَ، فَاجْعَلْهَا أُمَّتِي قَالَ: تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ ... قَالَ: يَا رَبِّ فَاجْعَلْنِي مِنْ أُمَّةِ أَحْمَدَ. فَأُعْطَى عِنْدَ ذَلِكَ خَصْلَتَيْنِ ... ) .
মর্মার্থ- মুসা আঃ আল্লাহর কাছে উম্মতে মুহাম্মদী হওয়ার আখাংকা পেশ করেন।
ইমাম আবু নুআইম উক্ত হাদীস বর্ণনার পর সনদের দুর্বলতা সম্পর্কে বলেন,
قَالَ أبو نعيم عقب هذا الحديث : " وهذا الحديث من غرائب حديث سهيل، لا أعلم أحدا رواه مرفوعا إلا من هذا الوجه، تفرد به الربيع بن النعمان، وبغيره من الأحاديث، عن سهيل، وفيه لين " انتهى .
وجبارة بن المغلس الراوي عن الربيع : ضعفه أهل العلم ، وذكروا أنه يروي الموضوعات وإن لم يكن يتعمد الكذب.
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মুসা আঃ এবং পূর্ববর্তী নবীগণ কর্তৃক উম্মতে মুহাম্মদী হওয়া নিয়ে যে আখাংকা পেশ মূলক হাদীস পাওয়া ঐ হাদীস গুলো নিতান্তই দুর্বল । তবে যেহেতু এগুলো দ্বারা কোনো হুকুম আহকাম প্রমাণিত করা হচ্ছে না, তাই এগুলোর উপর আমল করা যেতে পারে। তবে অনেকে এগুলো কে আহলে কিতাবের মতবাদ বা তাদের মনগড়া কাহিনি হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন।
(খ) কি কি জানতে চান? আমাদের কে নির্দিষ্ট ভাবে কমেন্টে উল্লেখ করতে হবে।
(গ)মনে মনে পড়লেও যথেষ্ট হবে।
(ঘ)আযানের সময় শয়তান এসে মেয়েদের মাথার চুলে ঢুকে যায়, তাই মেয়েদের মাথায় ওড়না দিতে হয়ে। এই কথার কোনো ভিত্তি নাই।
(ঙ)মসজিদে দুনিয়াবী কথা বলার /গল্প করা জায়েয হলেও অনুত্তম।তবে নাজায়েয ও অশ্লীল কথাবার্তা বলা কখনো জায়েয হবে না।