ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমানিত আছে যে একমুষ্টি পরিমান দাড়ি রাখা চার মাযহাব মতে ওয়াজিব।অনেকে সুন্নাত ও বলে থাকেন।তবে এটা সাধারণ সুন্নতের মতো সুন্নত নয়। অতএব তা করলে ভালো, না করলেও গুনাহ নেই! এমন ধারণা একদম ভুল। দাড়ি এমন কোনো সুন্নত নয়, যা রাখা-না রাখা উভয়টার স্বাধীনতা রয়েছে।বরং এটা ‘সুন্নতে ওয়াজিবা’। অর্থাৎ এর গুরুত্ব সুন্নতে মুয়াক্কাদার চেয়েও বেশি।যেমন দাড়ি রাখার তাগিদ সম্পর্কে সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে.
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ – ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : " ﺃﻧﻬﻜﻮﺍ ﺍﻟﺸﻮﺍﺭﺏ ﻭﺃﻋﻔﻮﺍ ﺍﻟﻠﺤﻰ "
তরজমাঃ- নবী কারীম সাঃ বলেন,তোমরা গোঁফকে ছাটাই করো ,এবং দাড়িকে বাড়ার জন্য ছেড়ে দাও। (সহীহ বুখারী-৫৪৪৩,সহীহ মুসলিম-৬০০)
সুতরাং দাড়ি মুন্ডানো হারাম।এবং একমুষ্টি থেকে কম দাড়ি রেখে অবশিষ্ট দাড়ি ছাঁটাই করাও হারাম।(জাওয়াহিরুল ফিকহ-৭/১৬০)
https://www.ifatwa.info/1039
দাড়ির প্রতি কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করা কারো জন্য জায়েয হবে না। তবে আড়ং কম্পানি কর্তৃক দাড়ির প্রতি বিরুপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার পরও তাদের কম্পানিতে চাকুরী করা নাজায়েয হবে না।
কেননা ফাতাওয়া শামীতে বর্ণিত আছে,
ﻭﻟﻮ ﺁﺟﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻟﻴﻌﻤﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻨﻴﺴﺔ ﻭﻳﻌﻤﺮﻫﺎ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ ﻷﻧﻪ ﻻ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﻓﻲ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﻌﻤﻞ
যদি কেউ কোনো গির্জায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে,অথবা টাকার বিনিময়ে গির্জা নির্মাণ করে দেয়, তাহলে এতে তার কোনো গুনাহ হবে না। কেননা এখানে মূল কাজে কোনো গুনাহ নাই।
(ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ٦\٣٩٢ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻈﺮ ﻭﺍﻹﺑﺎﺣﺔ » ﻓﺼﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻴﻊ)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দাড়ি রাখা সুন্নতে ওয়াজিবা। ছুছি দাড়ি বলার কারণে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।