আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
560 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু। উস্তাদ, আমার বাসা থেকে পর্দার ব্যাপারে খুব সমস্যা করতেছে।বিশেষ করে বিয়ের ব্যাপার এ অনেকজন নন মাহরামের সামনে যেতে বাধ্য করতেছে।না যেতে চাইলে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়।দুইদিন পর পর একেকটা পাত্র পক্ষ নিয়ে আসে, একগাদা টাকা খরচ করে আব্বু আর আমার পর্দা মেইনটেইন না করতে জুলুম করে।এরপর বিয়ে না হলে আমাকেই দোষ দেয়,।।।আমার পর্দার সামগ্রী যেমন হাত-পা মোজা,নিকাব লুকিয়ে রাখে যাতে না পড়তে পারি।আমরা ৬বোন ১ভাই এবং আমার বড় দুইবোন বিবাহিত।আমাদের বাকি ৪বোনের বিয়ের চিন্তায় অনেক desperate  হয়ে গেছেন উনি।এদিকে আমার বয়স বেড়ে যাচ্ছে এবং আমার ছোট বোন টাও বিয়ের উপযুক্ত হওয়াই তাদের চিন্তার অন্ত নাই।যার ফলে পুরো উঠে পড়ে লেগেছে,হালাল-হারামের তোয়াক্কা করছে না।তো তারা এতদিন আমার সাথে খেলার পুতুলের মতো ট্রিট করেছে।আমাকে বাধ্য হয়ে বেপর্দা অবস্থায় নন মাহরামের সামনে যেতে হয়েছে।এতে কি আমার কবিরা গুনাহ হয়েছে?এবং আবার খুব শীগ্রই আরেক টা জঘন্য পরিস্থিতির সৃষ্টির তোড়জোড় চলছে?এরকম অবস্থায় আমি আমার পর্দা কিভাবে মেইনটেইন করতে পারি বা আমার করনীয় কি?আমি তো আরো এই ভয়েও তাদের কথা শুনতে বাধ্য হই আমাকে বাসা থেকে বের করে দিলে কোথায় যাব?তখন তো পর্দার আরো সমস্যা হবে।উস্তাদ, প্লিজ জানাবেন এরকম সিচুয়েশনে আমার কি করনীয়?
আমার আব্বু তো রীতিমতো হুটহাট পরপুরুষ কে সাথে নিয়ে আমার রুমে ঢুকেন,আর পাত্রপক্ষে পাত্র আসে না বা আসলেও  পাত্রপক্ষের একগাদা নন মাহরাম এবং আমাদের বাড়ির আশেপাশের নন মাহরামের সামনে আমাকে যেতে বাধ্য করেন। বড্ড অসহায় লাগে।দয়া করে জানাবেন এতে আমার গুনাহ হয়েছে কিনা এবং আমার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1722 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
গোনাহের কাজ ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত কাজে মাতাপিতার বিধি-নিষেধের অনুসরণ করা ওয়াজিব।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন,
ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ
গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে।(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)

অন্যত্র বর্ণিত আছে
ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ
আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)

চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পর্দা করা ফরয। আপনি যতটুকু সম্ভব পর্দা রক্ষা করার চেষ্টা করবেন। আপনার প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি থাকার পরও আপনার মাতাপিতার কারণে আপনার যে পর্দার খেলাপ হয়েছে বা হবে, এতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...