শরীয়তের বিধান মতে নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো বিনা ওজরে কাশি দেওয়া। অপ্রয়োজনে কাশি দেওয়ার দ্বারা নামাজ ভেঙে যায়। (ফাতাওয়ায়ে শামী ৩/৬১৮, মারাকিল ফালাহ ১/১২১, আল বাহরুর রায়েক ২/৫)
আরো জানুনঃ
আল্লাহ তাআলা বলেন-
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ . الَّذِينَ هُمْ فِي صَلاتِهِمْ خَاشِعُونَ
‘সেসব মুমিনরা সফলকাম, যারা তাদের নামাজে বিনয়াবনত থাকে।’ [সূরা মুমিনুন, আয়াত: ১-২]
★তবে ওযরবশত এমনটি হলে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ سُفْيَانَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُسَيَّبِ الْعَابِدِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ صَلَّى لَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الصُّبْحَ بِمَكَّةَ فَاسْتَفْتَحَ سُورَةَ الْمُؤْمِنِينَ حَتَّى جَاءَ ذِكْرُ مُوسَى وَهَارُونَ أَوْ ذِكْرُ عِيسَى - مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ يَشُكُّ أَوِ اخْتَلَفُوا عَلَيْهِ - أَخَذَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَعْلَةٌ فَرَكَعَ
হারূন ইবনু আবদুল্লাহ ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি' (রহঃ) .... আবদুল্লাহ ইবনু সায়িব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে মক্কায় ভোরের (ফজরের) সালাত আদায় করলেন। তিনি সূরাহ আল মু'মিনূন পড়া শুরু করলেন। তিনি তা পড়তে পড়তে মূসা ও হারূন (আঃ) অথবা ঈসা (আঃ)-এর আলোচনা সম্পর্কিত আয়াতে পৌছে গেলেন। (এ ব্যাপারে মুহাম্মাদ ইবনু আব্বাদ সন্দেহে পড়ে গেছেন অথবা রাবীদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে)। এ সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাশি আসলে তিনি রুকূ’তে চলে গেলেন।
(মুসলিম শরীফ ৯০৯, (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯০৪, ইসলামিক সেন্টারঃ ৯১৬)
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَأَيْتُهُ تَنَخَّعَ فَدَلَكَهَا بِنَعْلِهِ .
উবায়দুল্লাহ ইবনু মুআয আল আম্বারী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু শিখখীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সলাত আদায় করেছি। আমি দেখলাম তিনি কাশি ফেলে তা জুতা দিয়ে ঘষে (মাটির সাথে মিশিয়ে) দিলেন। (মুসলিম শরীফ ১১২১,ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১১৪, ইসলামীক সেন্টার ১১২৩)
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " التَّثَاؤُبُ فِي الصَّلاَةِ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَكْظِمْ مَا اسْتَطَاعَ " .
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নামাযের মধ্যে হাই তোলা শাইতানের তরফ হতে হয়ে থাকে। তোমাদের কারো হাই আসলে সে যেন তা ফিরাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে। —সহীহ। তিরমিজি ৩৭০, মুসলিম।
আবু ঈসা বলেনঃ আবু হুরাইরা (রাঃ)’র হাদীসটি হাসান সহীহ। আলিমদের একটি দল নামাযের মধ্যে হাই তোলা মাকরূহ মনে করেন। ইবরাহীম নাখঈ বলেন, আমি কাশি দিয়ে হাই তোলা নিবারণ করি।
নামাজে কাশি আসলে বা গলা আটকে যাওয়ার মতো হলে কাশিকে ফিরানোর ফিরাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।
গলা পরিস্কার করাও যদি খুবই প্রয়োজনীয় হয়,নতুবা গলা আটকে যাওয়ার মতো হয়ে যায়,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে গলা পরিস্কার করতে কোনো সমস্যা নেই।