আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
433 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর...


আজ খুবই জরুরী বিষয় নিয়ে আপনার কাছে আসছি...

আমার বয়স প্রায় 22 এর কাছাকাছি ..

পড়ালেখা করছি এবার অনার্স 1ম বর্ষ ...

প্রায় 8/9 মাস আগে আমার জীবন টা অন্যরকম ছিলো..

প্রেম করা, গান শোনা, মুভি দেখা, পর্ণ দেখা এবং হস্তমৈথুন ও করতাম প্রচুর....

আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহতালা হঠাৎ করেই আমাকে পরিবর্তন করে দিলো...

আলহামদুলিল্লাহ্‌ 8/9 মাস যাবৎ সবকিছু হারাম কাজ থেকে দুরে আছি এবং আল্লাহতালার ইবাদতে মনোযোগী হয়েছি...

কিন্তু পরিবারের প্রায় কারো কাছ থেকেই তেমন একটা সাহায্য পাই না দ্বীনী ব্যাপারে..
সমস্যা হলো , এখন আমার সবকিছুতে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে যৌন চাহিদা টা... কারন আমি প্রচুর এডিক্টেড ছিলাম এবং সবকিছু হঠাৎ করেই ছেড়ে দিয়েছিলাম 1 রাত্রির মধ্যেই...

যৌন উত্তেজনামূলক সমস্যাটা আমার প্রায় 4/5 মাস যাবৎ ই হচ্ছে... তখন থেকেই আমার বাবা মা কে বলতেছি বিয়ের ব্যপারে কিন্তু তারা তখন রাজি হয়েছিলো এবং একটা মেয়েও দেখে...

কিন্তু সমস্যাটা তখনই হয় যখন আস্তে আস্তে আমি দ্বীনের ব্যপারে কঠুর হতে থাকি... আমি বাবা মা কে বললাম আমি যৌতুক নিবো না এবং পর্দানশীন মেয়ে বিয়ে করবো এবং নবীজি সা. এর সুন্নত অনুযায়ী বিয়ে করবো, আমার বউকে কেউ দেখতে পারবে না এবং কোনো চলন হবে না... এগুলা বলার পর তারা এখন বলতেছে আমি নাকি  ছোট এখনো ((অথচ তাদেরকে আমি হাদীস এবং কোরয়ানের অর্থ সহকারে বুঝিয়েছি যে কোন বয়সে বিয়ে করতে বলা হয়েছে এবং বিভিন্ন ভাবে বুঝানোর চেষ্টাও করছি যে আমার জন্য বিয়ে ফরজ)) এবং আরেকটি কথা বলে যে "নিজের পায়ে দাড়া, তারপর বিয়ে করিস 27/28 বছর হউক" ((এটা বলা শিরক এটাও বুঝাইছি))

অথচ এই একটা কারনে আমি যে কি একটা অবস্থায় আছি আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না...

আমি নিজেকে খুবই কষ্টে কন্ট্রোল করতেছি..

বেশি বেশি রোজা রাখতেছি এবং দোয়া করতেছি....


কিন্তু আমার অবস্থা অনেক খারাপ, মনে হয় যেকোনো সময় খারাপ পথে বা হারাম কাজ করে ফেলতে পারি....

আল্লাহর কসম হুজুর আমি চাইনা শুধুমাত্র এই একটা দূর্বলতার কারনে আমি পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাই...

আমার মা বাবা এখন আমাকে অভাবের উছিলা দেখাইতেছে অথচ আমার ঈমান নিয়া টানাটানি ....

1. এখন এই অবস্থায় আমার করনীয় কি ?

2. আমি কি অভাবী অবস্থায় বিয়ে করবো?(যেহেতু আল্লাহতালা বলছে যে "যারা অভাবী তাদের অভাব দুর করে দিবেন")

3. এখন আমার চরিত্রের হেফাজতের উদ্দেশ্যে আমি কি গোপনে বিয়ে করবো? যদিও করি কিন্তু আমাকে সাহায্য করার মতো পরিচিত কোনো হুজুরই তো নেই, তাহলে আমি কি করবো?

4. আমি আবারও বলছি হুজুর আমার অবস্থা করুণ...

আমার জন্য খাস করে একটু দোয়া করবেন...

এবং পারলে ছোট মনে করে সাহায্য করবেন হুজুর....

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


বিবাহ লজ্জাস্থানের হেফাযত এবং চোখের হেফাযত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ، عَلَيْكُمْ بِالبَاءَةِ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ، فَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ مِنْكُمُ البَاءَةَ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ، فَإِنَّ الصَّوْمَ لَهُ وِجَاءٌ»

“হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যার ক্ষমতা আছে, সে যেন বিবাহ করে। কারণ, এটি চোখের জন্য নিরাপদ এবং লজ্জা-স্থানের হেফাযত। আর যদি কোনো ব্যক্তি অক্ষম হয়, সে যেন রোযা রাখে। কারণ, রোযা তার জন্য প্রতিষেধক”।
বুখারি, হাদিস: ৫০৬৬, মুসলিম, হাদিস: ১৪০০

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِفُرُوجِهِمۡ حَٰفِظُونَ ٢٩ إِلَّا عَلَىٰٓ أَزۡوَٰجِهِمۡ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُمۡ فَإِنَّهُمۡ غَيۡرُ مَلُومِينَ ٣٠ ﴾ [المعارج: ٢٩، ٣٠]

আর যারা তাদের যৌনাঙ্গসমূহের হিফাযতকারী, তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যাদের মালিক হয়েছে, সে দাসীগণের ক্ষেত্র ছাড়া। তাহলে তারা সে ক্ষেত্রে নিন্দনীয় হবে না।
সূরা মায়ারেয, আয়াত: ২৯, ৩০

বিবাহ লজ্জা-স্থানের জন্য নিরাপদ। অর্থাৎ বিবাহ তোমাকে মহা ক্ষতি-লজ্জা-স্থানের বিপদ-থেকে নিরাপত্তা দেবে। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বিবাহ লজ্জা-স্থানের হেফাজত এবং চোখের নিরাপত্তা। বিবাহ একজন যুবকের চোখকে ঠাণ্ডা করে এবং বিবাহ করার কারণে একজন যুবক এদিক সেদিক তাকায়-না অথবা আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন তার প্রতি কোনো প্রকার কর্ণপাত করে না। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা তাকে হালালের মাধ্যমে হারাম হতে ফিরিয়ে নিয়েছে এবং তার অনুগ্রহ ও দয়া দ্বারা অন্য সবকিছু হতে তাকে যথেষ্ট করেছে।

বিস্তারিত জানুনঃ 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
আপনি রোযা রাখবেন,তাতে কাজ না হলে অভিভাবকদের রাসুল সাঃ এর উল্লেখিত হাদীস আর নিজের বিবাহের প্রয়োজনীয়তা, এর দ্বারা ঈমানের পূর্ণতা আসে,গুনাহ থেকে বাঁচা যায়,ইত্যাদি বুঝাতে হবে।

যদি খরচ চালানোর অজুহাত তারা দেখায়,তাহলে বলতে হবে যে ছেলে মেয়ের উভয় পরিবার এই ভাবেই চুক্তিবদ্ধ থাকবে যে লেখাপড়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত স্ত্রীর কোনো রকমের খরচ স্বামী চালাতে পারবেনা,বিবাহ না হলে যেমন তার খরচ তার অভিভাবক  চালাতো,বিবাহের পরেও তাই করতে হবে।

লেখাপড়া শেষ হলে চাকুরী ইত্যাদির পর স্বামী খরচ চালাবে।

(এটি সম্পর্কে যদি মেয়ের অভিভাবক মেয়ের খরচ চালানোর ব্যাপারে সন্তুষ্টি চিত্তে রাজি হয়,তবেই এই বিধান,যদি তারা সন্তুষ্টি চিত্তে  রাজি না হয়,বরং বলে দেয় যে স্বামীকেই খরচ চালাতে হবে,তাহলে এই বিধান নয়।)  
,
গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য তাদের কাছে এই হেল্প চাইতে হবে,প্রয়োজনে নিজ বা প্রতিবেশী মুরব্বিদেরকে দিয়ে বুঝাতে হবে।
,
ইনশাআল্লাহ আশা করা যায় যে অবশ্যই সমাধান মিলবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর

আমি উপরের সকল কার্যক্রম গুলোই করেছি আমার আব্বা আম্মাকে বুঝানোর জন্য...
আমার মামা এবং খালা দেরও বলছি, তারাও আব্বা আম্মার পক্ষে...
তারা হারামের ব্যপারে একটু উদাসীন- কিন্তু এমনিতে সমাজে সম্মানিত এবং নামাজী....

বুঝানোর পরে এখন সবাই আমাকে আর চোখে দেখে অথচ কেউই আমাকে সাহায্য করছে না....
তাদের গাফিলতির কারনে যদি আমার বড় কোনো গুনাহ হয় আল্লাহর কসম আমি কখনো কাউকে অন্তর থেকে ক্ষমা এবং শ্রদ্ধা করতে পারবো না...

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...