বিবাহ লজ্জাস্থানের হেফাযত এবং চোখের হেফাযত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ، عَلَيْكُمْ بِالبَاءَةِ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ، فَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ مِنْكُمُ البَاءَةَ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ، فَإِنَّ الصَّوْمَ لَهُ وِجَاءٌ»
“হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যার ক্ষমতা আছে, সে যেন বিবাহ করে। কারণ, এটি চোখের জন্য নিরাপদ এবং লজ্জা-স্থানের হেফাযত। আর যদি কোনো ব্যক্তি অক্ষম হয়, সে যেন রোযা রাখে। কারণ, রোযা তার জন্য প্রতিষেধক”।
বুখারি, হাদিস: ৫০৬৬, মুসলিম, হাদিস: ১৪০০
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِفُرُوجِهِمۡ حَٰفِظُونَ ٢٩ إِلَّا عَلَىٰٓ أَزۡوَٰجِهِمۡ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُمۡ فَإِنَّهُمۡ غَيۡرُ مَلُومِينَ ٣٠ ﴾ [المعارج: ٢٩، ٣٠]
আর যারা তাদের যৌনাঙ্গসমূহের হিফাযতকারী, তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যাদের মালিক হয়েছে, সে দাসীগণের ক্ষেত্র ছাড়া। তাহলে তারা সে ক্ষেত্রে নিন্দনীয় হবে না।
সূরা মায়ারেয, আয়াত: ২৯, ৩০
বিবাহ লজ্জা-স্থানের জন্য নিরাপদ। অর্থাৎ বিবাহ তোমাকে মহা ক্ষতি-লজ্জা-স্থানের বিপদ-থেকে নিরাপত্তা দেবে। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বিবাহ লজ্জা-স্থানের হেফাজত এবং চোখের নিরাপত্তা। বিবাহ একজন যুবকের চোখকে ঠাণ্ডা করে এবং বিবাহ করার কারণে একজন যুবক এদিক সেদিক তাকায়-না অথবা আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন তার প্রতি কোনো প্রকার কর্ণপাত করে না। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা তাকে হালালের মাধ্যমে হারাম হতে ফিরিয়ে নিয়েছে এবং তার অনুগ্রহ ও দয়া দ্বারা অন্য সবকিছু হতে তাকে যথেষ্ট করেছে।
বিস্তারিত জানুনঃ
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি রোযা রাখবেন,তাতে কাজ না হলে অভিভাবকদের রাসুল সাঃ এর উল্লেখিত হাদীস আর নিজের বিবাহের প্রয়োজনীয়তা, এর দ্বারা ঈমানের পূর্ণতা আসে,গুনাহ থেকে বাঁচা যায়,ইত্যাদি বুঝাতে হবে।
যদি খরচ চালানোর অজুহাত তারা দেখায়,তাহলে বলতে হবে যে ছেলে মেয়ের উভয় পরিবার এই ভাবেই চুক্তিবদ্ধ থাকবে যে লেখাপড়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত স্ত্রীর কোনো রকমের খরচ স্বামী চালাতে পারবেনা,বিবাহ না হলে যেমন তার খরচ তার অভিভাবক চালাতো,বিবাহের পরেও তাই করতে হবে।
লেখাপড়া শেষ হলে চাকুরী ইত্যাদির পর স্বামী খরচ চালাবে।
(এটি সম্পর্কে যদি মেয়ের অভিভাবক মেয়ের খরচ চালানোর ব্যাপারে সন্তুষ্টি চিত্তে রাজি হয়,তবেই এই বিধান,যদি তারা সন্তুষ্টি চিত্তে রাজি না হয়,বরং বলে দেয় যে স্বামীকেই খরচ চালাতে হবে,তাহলে এই বিধান নয়।)
,
গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য তাদের কাছে এই হেল্প চাইতে হবে,প্রয়োজনে নিজ বা প্রতিবেশী মুরব্বিদেরকে দিয়ে বুঝাতে হবে।
,
ইনশাআল্লাহ আশা করা যায় যে অবশ্যই সমাধান মিলবে।