আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
390 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (10 points)
হাদিস অনুযায়ী প্রতিদিন সকালে আজওয়া খেজুর খাওয়া ঐদিনের জন্য যেকোনো জাদু ও বিষক্রিয়ার প্রতিষেধক। কেউ কেউ আবার বলেন অন্য হাদীসে আছে যেকোনো খেজুর খেলেই হবে। প্রশ্ন হচ্ছে কোনটি সঠিক? আজওয়া খেজুড় ই খেতে হবে নাকি অন্য খেজুর খেলেও হবে?

1 Answer

–1 vote
by (589,680 points)
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-
হযরত সা'দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাযি থেকে বর্ণিত,
 عن سعد بن أبي وقاص رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ تَصَبَّحَ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعَ تَمَرَاتٍ عَجْوَةً ، لَمْ يَضُرَّهُ فِي ذَلِكَ اليَوْمِ سُمٌّ وَلاَ سِحْرٌ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল সাতটি খেজুর খাবে সেই দিন ঐ ব্যক্তিকে বিষ বা জাদু কোনো প্রকার ক্ষতি করতে পারবে না।(সহীহ বোখারী-৫৪৪৫)

হযরত সা'দ ইবনে আবি ওয়াক্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَكَلَ سَبْعَ تَمَرَاتٍ مِمَّا بَيْنَ لَابَتَيْهَا حِينَ يُصْبِحُ، لَمْ يَضُرَّهُ سُمٌّ حَتَّى يُمْسِيَ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণিত,যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল মদিনার পূর্ব পশ্চিমের পাথরের পাহাড়ের  সাতটি খেজুর খাবে, সেইদিন ঐ ব্যক্তিকে বিষ বা জাদু কোনো প্রকার ক্ষতি করতে পারবে না।(সহীহ মুসলিম-২০৪৭)

মোল্লা আলী কারী রাহ মিরকাত কিতাবে ৪১৯০নং হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন।
وقوله: (عجوة) : بالجر على أنه عطف بيان لتمرات، وهو نوع جيد من تمر المدينة، لونه أسود كذا في روضة الأحباب، وفي نسخة بالإضافة، وقال ابن الملك: عجوة نصب على التمييز.
ভাবার্থ:-আজওয়া অর্থ হল,মদিনার উৎকৃষ্টমানের কালো খেজুর।

কোন প্রকারের খেজুর জাদু এবং বিষ থেকে মানুষকে রক্ষা করবে।এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরাম থেকে বিভিন্ন রকম মতামত পাওয়া যায়।

ইবনে ত্বিন রাহ বলেন,এ দ্বারা উদ্দেশ্য বিশেষ এক প্রকার খেজুর যার সন্ধান আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।ইমাম খাত্তাবী রাহ বলেন, এতে মূলত খেজুরের প্রভাব নেই।বরং উপস্থিত নির্দিষ্ট কিছু খেজুর সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ দু'আ করেছিলেন।(ফাতহুল বারী-১০/২৩৯)সুতরাং এই দুই মতামত দ্বারা বলা যাবে না যে,আমভাবে খেজুর বিষ এবং জাদু থেকে রক্ষা করবে।

কেউ কেউ মদিনার খেজুরের সাথে উক্ত বিশেষনকে নির্দিষ্ট করে থাকেন।যেমন ইমাম তাহাবী রাহ,শরহু মুশকিলিল আছার-(১৪/৩৬২)কিতাবে এবং আবু আওয়ানাহ মুস্তাখরাজ-(৫/১৮৯)কিতাবে এবং কাযী ইয়াজ ইকমালুল মু'আল্লিম-(৬/৫৩১)কিতাবে এবং ইমাম নববী রাহ শরহুল মুসলিম-(১৪/৩) কিতাবে এ সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন।

ইমাম মাযরি রাহ বলেন,এটা সম্ভবত রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যামানার সাথে বিশেষিত।অথবা রাসূলুল্লাহ সাঃ অধিকাংশের ভিত্তিতে এমনটা বলেছেন।(আল-মু'আল্লিম বি-ফাওয়ায়িদে মুসলিম-৩/১২১)

ইবনুল কাইয়্যিম রাহ বলেন,কিছু কিছু বিষের বেলায় খেজুর কাজ করবে।তবে শর্ত হলো,যিনি খাবেন শে'ফার বেলায় তার তার পূর্ণ বিশ্বাস থাকতে হবে।(যাদুল মা'আদ-৪/৯২)

ইবনে হাজার আসকালানি রাহ বলেন,হাদীসের ভাষ্য দ্বারা সকল প্রকার খেজুরের বেলায় হুকুম প্রযোজ্য হবে বলে বুঝা যায়।(ফাতহুল বারী-১০/২৪০)

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, Iom.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (10 points)
হযরত সা'দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাযি থেকে বর্ণিত,
 عن سعد بن أبي وقاص رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ تَصَبَّحَ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعَ تَمَرَاتٍ عَجْوَةً ، لَمْ يَضُرَّهُ فِي ذَلِكَ اليَوْمِ سُمٌّ وَلاَ سِحْرٌ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল সাতটি খেজুর খাবে সেই দিন ঐ ব্যক্তিকে বিষ বা জাদু কোনো প্রকার ক্ষতি করতে পারবে না।(সহীহ বোখারী-৫৪৪৫)

এখানে কি সাতটি খেজুর নাকি সাতটি আজওয়া খেজুর এর কথা বলা হয়েছে? কিছু জায়গায় উক্ত রেফারেন্স এ আজওয়া এর কথা লিখা আছে। বিষয়টি স্পষ্ট করলে ভালো হয়।
by (10 points)
মুহতারাম হযরত, আপনার উত্তরের অপেক্ষায় আছি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...