আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
371 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম।
সম্মানিত মুফতি সাহেব,
১) ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী  যদি বলে তোমার সাথে আমি আর পারতেছি না,তোমার কাছে এসে আমার জীবন শেষ,আমি দেখে তোমার সাথে ঘর করতেছি,আমি আমার বাপের বাড়ি চলে যাবো/গেলাম। যেদিন  মেজাজ ঠান্ডা  হবে সেদিন ফিরে আসবো।

তখন যদি স্বামী  সম্পূর্ণ তালাকের নিয়ত ছাড়া  স্ত্রীকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে বলেঃ "যাও দূর হও,তোমার  সাথে, আমার বনিবনা  হবে না,তোমার সাথে আমার সম্পর্ক  শেষ,তোমাকে পৃথক করে দিলাম।

স্বামী - স্ত্রী  কেউই তালাক শব্দ উচ্চারণ  করে নাই এবং কেউই তালাকের নিয়তে এইসব বলে নাই।
এতে কি বিয়েতে কোন সমস্যা হবে?


২)নিম্নোক্ত শব্দগুলো ঝগড়ার সময়   স্বামীর অত্যাধিক মেজাজ গরম হয়ে যাওয়ায় সম্পূর্ণ  নিয়ত ছাড়া, সত্যি তালাক দেওয়ার সম্পূর্ণ নিয়ত ছাড়া  কখন ও স্ত্রীকে বলে ফেললে কি তালাক  হয়ে যাবে???স্ত্রী  যদি ঝগড়ার  চরম পর্যায়ও কখনো "তালাক দিয়ে দাও, ছেড়ে দাও,আমাকে ডিভোর্স  দিয়ে দাও এইসব না বলে থাকে....... ", অনেক কারণে অনেক ঝগড়া হলো কিন্তুু স্ত্রীর  দিক থেকে যদি ঝগড়ার  সময়  স্ত্রী, স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ  চাচ্ছে এমন কোন কিছু  স্পষ্ট  না হয়,তাহলে সেই ঝগড়ার  পর্যায়ে এই বাক্যগুলোর কোন একটি স্বামী  বলে ফেললে কি তালাক  হবে?
★★★আমি তোমাকে দূর করে দিছি,তোমার সাথে  আমার কোন সম্পর্ক নাই,তোমার নিকট আমার কোন কাজ নাই,তুমি আমার নিকট হইতে পৃথক হয়ে যাও,তোমাকে পৃথক করে দিলাম,আমার ঘর হইতে চলে যাও,বাহির হও,যাও দূর হও,বাপ-মায়ের মাথায় গিয়ে চড়ো,নিজের বাড়ি  যাও,তোমার সাথে  আমার বনিবনা হবে না,তুমি নতুন  স্বামী  খুঁজো।

1 Answer

0 votes
by (574,200 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
তালাক। এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। এ ভয়ানক শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই 
https://ifatwa.info/17538/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে এখানের প্রায় সব শব্দ দ্বারাই তালাক পতিত হবে।এক্ষেত্রে নিয়তের কোনো প্রয়োজন নাই।
যেহেতু এটি তালাকের মজলিস ছিলো।
তাই নিয়তের প্রয়োজনীয়তা নেই।

وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي

তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দুগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত মজলিসে বিবাহ বিচ্ছেদ মূলক আলোচনা চলছিলো,ডাইরেক্ট হোক ইন ডাইরেক্ট হোক,এটি তালাকের মজলিস।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ""তোমার সাথে আমার সম্পর্ক  শেষ,তোমাকে পৃথক করে দিলাম""
দ্বারা তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।
  
এক্ষেত্রে ১ তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।
,
আগে যদি আর কোনো তালাক পতিত না হয়ে থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে দুই তালাকই থাকবে,নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
,
আর যদি আগেও কোনো তালাক পতিত হয়ে থাকে,তাহলে দুই/তিন তালাক পতিত হবে। 
,
সেক্ষেত্রে উক্ত স্ত্রী তার জন্য সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যাবে।
কোনো ভাবেই শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত তাকে বিবাহ করা যাবেনা।
,
(০২)
এই গুলোর প্রায় সব গুলোই কেনায়া শব্দ,নিয়ত থাকলে বা মজলিস টি যদি তালাকের মজলিস হয়,তাহলে তালাক হবে,নতুবা নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...