আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
অাসসালামু অালাইকুম,

অামার বাবারা দুই ভাই এক বোন।বোনের কোনো সন্তান নাই।ভাইয়ের এক ছেলে অার অামার বাবার দুই মেয়ে মানে অামরা দুই বোন।অামার কাকুর এক ছেলে অার ফুফুর কোন সন্তান নাই৷ প্রশ্ন হলো

১. অামরা তো দুই বোন অামার বাবার সব সম্পদ কি দুই বোনের নাম এ উইল করতে পারবে?

২. অার অামার ফুফুর সন্তান নাই। ফুফুর সম্পদ কারা পাবে।অার অামার ফুফা  তার যে বাড়ি সম্পদ তার ভাই বোনকে না দিয়ে অামার ফুফুক লিখে দিয়েছে যেহেতু সন্তান নাই সম্পদ থাকলে তো বল থাকবে তাই।এখন প্রশ্ন হলো অামার ফুফুর নাম এ লিখে না দিলে ওই সম্পদ তো ফুফার ভাই ভাস্তেরা পাইতো।যেহেতু ফুফুর নাম এ এখন তাই ফুফু যদি অামাদের কিছু দেয় কিংবা ফুফুর অবর্তমানে কি অামরা ওই সম্পদ ভোগ করতে পারব ইসলাম কি বলে?

1 Answer

0 votes
by (686,640 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা নিসার ১১ নং আয়াতে ইরশাদ করেনঃ 

یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰہُ فِیۡۤ اَوۡلَادِکُمۡ ٭ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ ۚ فَاِنۡ کُنَّ نِسَآءً فَوۡقَ اثۡنَتَیۡنِ فَلَہُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَکَ ۚ وَ اِنۡ کَانَتۡ وَاحِدَۃً فَلَہَا النِّصۡفُ ؕ وَ لِاَبَوَیۡہِ لِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَکَ اِنۡ کَانَ لَہٗ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہٗ وَلَدٌ وَّ وَرِثَہٗۤ اَبَوٰہُ فَلِاُمِّہِ الثُّلُثُ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہٗۤ اِخۡوَۃٌ فَلِاُمِّہِ السُّدُسُ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ اٰبَآؤُکُمۡ وَ اَبۡنَآؤُکُمۡ لَا تَدۡرُوۡنَ اَیُّہُمۡ اَقۡرَبُ لَکُمۡ نَفۡعًا ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۱۱﴾ 

আল্লাহ তোমাদের সন্তান সম্বন্ধে নির্দেশ দিচেছন: এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান; কিন্তু শুধু কন্যা দুইয়ের বেশী থাকলে তাদের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দু’ভাগ, আর মাত্র এক কন্য থাকলে তার জন্য অর্ধেক। তার সন্তান থাকলে তার পিতা-মাতা প্রত্যেকের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ; সে নিঃসন্তান হলে এবং পিতা-মাতাই উত্তরাধিকারী হলে তার মাতার জন্য তিন ভাগের এক ভাগ; তার ভাই-বোন থাকলে মাতার জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ; এ সবই সে যা ওসিয়াত করে তা দেয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও সন্তানদের মধ্যে উপকারে কে তোমাদের নিকটতর তা তোমরা জান না। এ বিধান আল্লাহর; নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আপনার বাবার আর কোনী উত্তরাধিকারী না থাকে,শুধু মাত্র চার জন।
এক ভাই,এক বোন,দুই মেয়ে।
,
সেক্ষেত্রে আপনার বাবা মারা গেলে সম্পদের ভাগ শরীয়তের বিধান অনুপাতে এরকম হতোঃ
সমস্ত সম্পত্তি ৯ ভাগে ভাগ হবে।
তিন ভাগ তিন ভাগ করে মোট ৬ ভাগ পাবে দুই মেয়ে তথা আপনারা দুই বোন। 

দুই ভাগ পাবে আপনার কাকা।
,
এক ভাগ পাবে আপনার ফুফু। 
,
যদি জীবদ্দশায় আপনার বাবা এ সমস্ত সম্পত্তি আপনাদের দুই বোনের নামে উইল করে দিয়ে যায়,এক্ষেত্রে তিনি সেটির অধিকার রাখেন।
তবে শরীয়ত সম্মত কোনো কারন ছাড়া আপনার কাকা এবং ফুফুকে বঞ্চিত করা ঠিক হবেনা।
,
তাদের অনুমতির নিয়ে একাজ করতে হবে,অথবা তাদেরকে কিছু দিয়ে সন্ধি করে এ কাজ করতে হবে।
নতুবা তাদের বঞ্চিত করার লক্ষ্যে এমনটি করা শরীয়ত অনুমোদিত নয়।

তবে তিনি পুরো সম্পত্তি আপনাদের দুই বোনের নামে দিলে হয়ে যাবে,এখানে কোনো বাধা থাকবেনা।
,
জীবিত অবস্থায় সম্পদ বন্টনের বিধান জানুনঃ
,
(০২)
আপনার ফুফুর নামে যে সম্পত্তি রয়েছে, আপনার ফুফু মারা গেলে স্বামী যদি বেঁচে না থাকে,তাহলে সেই সম্পত্তির অর্ধেক অর্ধেক করে পূর্ণ সম্মত্তির মালিক হবে আপনার ফুফুর দুই ভাই।
তথা আপনার বাবা এবং কাকা।
,
আপনাদের দুই বোনের কেহই সেই সম্পদের অংশ পাবেনা।
হ্যাঁ আপনার ফুফু যদি তার জীবদ্দশায় আপনাদের কিছু দেয়,এটি একান্ত তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...