আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
301 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (23 points)

আসসালামু আলাইকুম। 

 

সম্মানিত মুফতি  সাহেব, 

 

আমাকে পরামর্শ  দেন।

আমার জীবনসঙ্গীর সাথে একবার তালাক  বায়েন পতিত হয়ে  গেছে কয়েক  মাস আগে।

এখন পুনরায়  বিবাহের আগে আমি একটু তালাক  বিষয়ে জেনে নিতে চাইছিলাম।

কিন্তুু  আমি বই,গুগলে সার্চ করে বিভিন্ন  জায়গা থেকে জেনে বিভ্রান্তে হয়ে যাচ্ছি।

আমি এক জায়গায়  পরে একরকম বুঝতেছি তো আরেক  জায়গায় পড়ে আরেক  রকম বুঝতেছি।

আপনারা যেসব অনেক বছর পরে কষ্ট  করে জ্ঞান অর্জন করেন,আমি বাংলা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তা কি করেই বা বুঝবো?

 

জনাব, আমার  জীবনসঙ্গীর সাথে সহবাসের আগে শর্তযুক্ত তালাক দেওয়ার ফলে তালাক হয়ে গেছিল।

আমি জানতামই না যে শর্ত দিলে,পরবর্তীতে শর্ত তুলে নিলেও তালাক হয়।

আমার রাগ,মেজাজ  অত্যাধিক বেশী,ছোটবেলা থেকেই।

আমি অল্পতেই  খুব  বেশি রেগে যাই,নিজেকে কন্ট্রোল  করতে পারি না,তখন স্ত্রীকে তুই করে বলি,অনেক অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ  করি।

 

আমার পুনরায়  বিবাহ  হলে আমি  ঝগড়ার সময়রাগের মাথায়  স্ত্রীকে ইনশাআল্লাহ  স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিবো না সেটা আমি আশা রাখি,শর্তযুক্ত তালাক দিবো না সেটাও আশা রাখি।

 

কিন্তু রাগের সময় আমি নিজেকে কন্ট্রোল  করতে পারি না তখন বাংলায় আমি কি না কি বাক্য বলে ফেলবো,আমাদের আবার তালাক হয়ে যাবে।

আমি বাংলা বাক্যগুলো নিয়ে নিজেকে বিশ্বাস  করতে পারতেছি না,আমি  এখন কি করবো???

কিন্তুু আমি এটা সিউর কখনোই  তালাকের নিয়তে  বলবো না।

 

সম্মানিত মুফতি  সাহেব, 

আপনি কি আমাকে বাংলা বাক্যগুলোর একটা লিস্ট করে দিবেন,যা আমি তালাকের নিয়ত  ছাড়াও বলতে পারবো না?যেই বাক্যগুলো ছাড়া রাগের মাথায়  ঝগড়ার সময়,স্ত্রীকে অন্য  বাংলা বাক্য বলে ফেললে আমাদের  তালাক  হবে না।

 

এত জায়গা  থেকে  এত  কিছু  পড়ে  আমার  মাথায়  কিছুই ডুকে না,যা ডুকে তা পরমুহূর্তেই বের হয়ে যায়।

 

সম্মানিত  মুফতি সাহেব, 

 

https://ifatwa.info/17538/?show=17564#a17564

★★★তালাক আবেদনের জবাব এবং

তালাক আবেদনের রদ বুঝাতে কি বোঝায়?

যদি দয়া করে একটু উদাহরণ  দিয়ে বুঝিয়ে  দিতেন।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্ত্রী তালাকের আবেদন করলে সেই আবেদনের জবাবে স্বামী যে তালাক বলবে, সেটারই নাই তালাকের আবেদনের জবাব। আর তালাকের আবেদনের পর স্বামী স্ত্রীকে তার  কথানুযায়ী তালাক না দিলে এটার নামই তালাকের আবদেনকে রহিত করা। 

https://www.ifatwa.info/468 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
قال تعالى: (فإن كرهتموهن فعسى أن تكرهوا شيئاً ويجعل الله فيه خيراً كثيراً)
অতঃপর যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে হয়ত তোমরা এমন এক জিনিসকে অপছন্দ করছ, যাতে আল্লাহ, অনেক কল্যাণ রেখেছেন।(সূরা নিসা-১৯)

তালাক সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عمر، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «أبغض الحلال إلى الله تعالى الطلاق»
অর্থ:রাসূলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাকের নিকট সর্বাপেক্ষা অপছন্দনীয় হালাল হচ্ছে 'তালাক'।(আবু দাউদ-২১৭৮)

ﺫﻫﺐ ﻓﻘﻬﺎﺀ ﺍﻟﺤﻨﻔﻴّﺔ ﻭﺍﻟﺤﻨﺎﺑﻠﺔ ﺇﻟﻰ ﺃﻥ ﺍﻟﻄﻼﻕ ﺑﻼ ﺳﺒﺐ ﻣﺤﺮّﻡٌ ﺷﺮﻋﺎً ﻭﻳﺄﺛﻢ ﻓﺎﻋﻠﻪ، ﻭﺫﻟﻚ ﻟﻘﻮﻟﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻟﻌﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻛﻞ ﺫﻭﺍﻕ، ﻣﻄﻼﻕ ) ﻭﻷﻥ ﻓﻲ ﺍﻟﻄﻼﻕ ﻛﻔﺮﺍً ﻟﻨﻌﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ ، ﺣﻴﺚ ﺇﻥّ ﺍﻟﺰﻭﺍﺝ ﻧﻌﻤﺔ ﻣﻦ ﻧﻌﻢ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﺍﻟﻄﻼﻕ ﺑﻼ ﺳﺒﺐٍ ﻛﻔﺮٌ ﻟﻨﻌﻤﺔ ﺍﻟﺰﻭﺍﺝ؛ ﻭﻛﻔﺮﺍﻥ ﺍﻟﻨﻌﻤﺔ ﺣﺮﺍﻡ، ﻓﻼ ﻳﺤﻞّ ﺍﻟﻄﻼﻕ ﺇﻻ ﻟﻀﺮﻭﺭﺓ .
فقه السنة (الطبعة الثالثة)، بيروت: دار الكتاب العربي، صفحة 242، جزء 2
ভাবার্থ-হানাফি এবং হাম্বলী ফুকাহায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,বিনা কারণে তালাক প্রদাণ শরীয়তের দৃষ্টিকোণে হারাম।এবং তালাক প্রদাণকারী গোনাহগার। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ আমভাবে বলেছেন,আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক স্বাদ আস্বাদনকারীদের উপর লা'নত প্রদাণ করেন।কেননা তালাক প্রদাণ দ্বারা আল্লাহ তা'আলা র নিয়ামতকে অস্বীকার করা হয়। বিবাহ আল্লাহর নিয়ামত সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি নিয়ামত।আর বিনা কারণে তালাক প্রদাণ মানে বিবাহ নামক নিয়ামতকে পরিত্যাগ, অস্বীকার এবং অবহেলা করা। আর নিয়ামতকে অস্বীকার বা পরিত্যাগ করা হারাম।সুতরাং প্রয়োজন ব্যতীত তালাক হালাল হবে না।(ফেকহুস সুন্নাহ-২/২৪২)
সুতরাং বিনা কারণে তালাক প্রদাণ করা হারাম।এর শাস্তি আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে অবশ্যই পেতে হবে। (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
তালাকের বিষয়কে, তালাকের সকল শব্দকে কোনো এক লিখায় একত্র করা সম্ভব নয়। এবং বললেও আপনি বুঝতে পারবেন না। এজন্য আপনি কখনো স্ত্রীর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করবেন না। তাকে কখনো বিতাড়ণ করার চেষ্টা করবেন না। তার সাথে আলোচনার সময় তালাক জাতীয় কিছুর কথা বার্তা সামনে নিয়ে আসবেন না। বরং সর্বদা এ বিষয়কে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তারপরও যদি কখনো কোনো কথা মুখ দিয়ে উচ্ছারিত হয়ে যায়, তাহলে আপনি তখন সাথে সাথে কোনো মুফতির সাথে যোগাযোগ করবেন। জাযাকাল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...