আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
350 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)
reopened by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম


(১)শরীরের কোন স্থানে নাপাকি লেগে থাকলে সেই নাপাকি পানি দিয়ে ধোয়ার সময় নাপাকি ধোয়া পানি যদি শরীরের অন্য স্থান দিয়ে গড়িয়ে যায় তাহলে শরীরের অন্য স্থান নাপাক হবে কী?


(২)প্রস্রাব করার পর ইস্তেঞ্জা করার সময় ইস্তেঞ্জায় ব্যবহৃত পানি পায়ে পড়লে পা নাপাক হবে কী?


(৩)কানে দম করা মানে কী?(কানে দম শব্দগুলো আমি একটি নামাজ শিক্ষা বই থেকে জেনেছি)


(৪)و যের কী উচ্চারণ হয়?


(৫)শরীরের এমন কোন জায়গায় যদি নাপাক লেগে যায় এবং নাপাক লাগা জায়গা যদি পানি দিয়ে ধুতে গেলে শরীরের অন্য কোন জায়গা নাপাক হওয়ার আশংকা থাকে তাহলে বা কাপড় পড়ে থাকা অবস্থায় যদি কাপড় নাপাক হওয়ার আশংকা থাকে তাহলে শরীরের নাপাকি লাগা জায়গা ভেজা হাত দিয়ে তিনবার মুছে নিলে পবিত্র হবে কী?


1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) শরীরের কোন স্থানে নাপাকি লেগে থাকলে সেই নাপাকি পানি দিয়ে ধোয়ার সময় নাপাকি ধোয়া পানি যদি শরীরের অন্য স্থান দিয়ে গড়িয়ে যায় তাহলে শরীরের অন্য স্থান নাপাক হবে, ঐ নাপাক সম্ভলিত পানি গড়িয়ে যাওয়ার স্থানে নতুন পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে। 

(২)প্রস্রাব করার পর ইস্তেঞ্জা করার সময় ইস্তেঞ্জায় ব্যবহৃত পানি পায়ে পড়লে পা নাপাক হবে , এজন্য পা’কে নতুন পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে। 

(৩) কানে দম করা মূলক কোনো কিছূ শরীয়তে নাই। হ্যা কুরআনের আয়াত পড়ে মুখের সামান্য লালা সম্ভলিত থুথু হাতের তালুতে নিয়ে সমস্ত শরীর বুলিয়ে দেওয়ার কথা হাদীসে এসেছে। 
(৪))و যের এর উচ্চারণ জানতে হয়তো আমাদেরকে কল দিতে হবে। নতুবা কোনো ক্বারী সাহেবের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। 

(৫)শরীরের কোন স্থানে নাপাকি লেগে থাকলে সেই নাপাকি পানি দিয়ে ধোয়ার সময় নাপাকি ধোয়া পানি যদি শরীরের অন্য স্থান দিয়ে গড়িয়ে যায় তাহলে শরীরের অন্য স্থান নাপাক হবে, ঐ নাপাক সম্ভলিত পানি গড়িয়ে যাওয়ার স্থানকে নতুন পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে। এভাবেই করতে হবে।  শরীরের নাপাকি লাগা জায়গা ভেজা হাত দিয়ে তিনবার মুছে নিলে উক্ত জায়াগ পবিত্র হবে না।

পবিত্র করার পদ্ধতিঃ
পবিত্রকরণ এর দিক দিয়ে নাজাসত আবার দুই প্রকারঃ
যথা-(ক) দৃশ্যমান নাজাসত
         (খ)অদৃশ্যমান নাজাসত

(ক)কাপড়ে প্রথম প্রকার তথা দৃশ্যমান নাজাসত লাগলে সেই নাজাসতকে  দূর করে দিলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে নাজাসত দূর করতে ধৌত করার কোনো পরিমাণ নেই।যতবার ধৌত করলে নাজাসত দূর হবে ততবারই ধৌত করতে হবে।যদি একবার ধৌত করলে তা চলে যায় তবে একবারই ধৌত করতে হবে।

(খ)কাপড়ে দ্বিতীয় প্রকার তথা অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।(ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/118


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...