ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) শরীরের কোন স্থানে নাপাকি লেগে থাকলে সেই নাপাকি পানি দিয়ে ধোয়ার সময় নাপাকি ধোয়া পানি যদি শরীরের অন্য স্থান দিয়ে গড়িয়ে যায় তাহলে শরীরের অন্য স্থান নাপাক হবে, ঐ নাপাক সম্ভলিত পানি গড়িয়ে যাওয়ার স্থানে নতুন পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে।
(২)প্রস্রাব করার পর ইস্তেঞ্জা করার সময় ইস্তেঞ্জায় ব্যবহৃত পানি পায়ে পড়লে পা নাপাক হবে , এজন্য পা’কে নতুন পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে।
(৩) কানে দম করা মূলক কোনো কিছূ শরীয়তে নাই। হ্যা কুরআনের আয়াত পড়ে মুখের সামান্য লালা সম্ভলিত থুথু হাতের তালুতে নিয়ে সমস্ত শরীর বুলিয়ে দেওয়ার কথা হাদীসে এসেছে।
(৪))و যের এর উচ্চারণ জানতে হয়তো আমাদেরকে কল দিতে হবে। নতুবা কোনো ক্বারী সাহেবের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।
(৫)শরীরের কোন স্থানে নাপাকি লেগে থাকলে সেই নাপাকি পানি দিয়ে ধোয়ার সময় নাপাকি ধোয়া পানি যদি শরীরের অন্য স্থান দিয়ে গড়িয়ে যায় তাহলে শরীরের অন্য স্থান নাপাক হবে, ঐ নাপাক সম্ভলিত পানি গড়িয়ে যাওয়ার স্থানকে নতুন পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে। এভাবেই করতে হবে। শরীরের নাপাকি লাগা জায়গা ভেজা হাত দিয়ে তিনবার মুছে নিলে উক্ত জায়াগ পবিত্র হবে না।
পবিত্র করার পদ্ধতিঃ
পবিত্রকরণ এর দিক দিয়ে নাজাসত আবার দুই প্রকারঃ
যথা-(ক) দৃশ্যমান নাজাসত
(খ)অদৃশ্যমান নাজাসত
(ক)কাপড়ে প্রথম প্রকার তথা দৃশ্যমান নাজাসত লাগলে সেই নাজাসতকে দূর করে দিলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে নাজাসত দূর করতে ধৌত করার কোনো পরিমাণ নেই।যতবার ধৌত করলে নাজাসত দূর হবে ততবারই ধৌত করতে হবে।যদি একবার ধৌত করলে তা চলে যায় তবে একবারই ধৌত করতে হবে।
(খ)কাপড়ে দ্বিতীয় প্রকার তথা অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।(ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/118