ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) আব্দুল মালিক নাম নাজায়েয হবে না।
(২)HamariWeb সাইটে উল্লেখ করা হয়ে থাকে যে,
বাংলা Parvin নাম অর্থ - নামের অর্থ সফল বা বিজয়ী নির্দিষ্ট করে. এই মেয়ে নাম. শিকড় এবং নামের উৎপত্তি আরবি ভাষা সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়. নামের অর্থ ভাল হয় । সুতরাং পারভিন নাম রাখা যাবে।
(৩)লুৎফর রহমান খোকন। নাম রাখা যাবে।
(৪)
মানুষ তার কৃতকর্মের কারণেই জান্নাত বা জাহান্নামে যাবে। তার নামের কারণে সে জান্নাত বা জাহান্নামে যাবে না। নাম সম্পর্কে কয়েকটি হাদীস লক্ষ্যণীয়--
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنَّ أَحَبَّ أَسْمَائِكُمْ إِلَى اللَّهِ: عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ» ". رَوَاهُ مُسْلِمٌ.
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার নিকট তোমাদের নামসমূহের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম নাম ‘আবদুল্লাহ এবং ‘আবদুর রহমান।সহীহ মুসলিম ৩৯-(৫৭০৯), তিরমিযী ২৮৩৩, আবূ দাঊদ ৪৯৪৯, ইবনু মাজাহ ৩৭২৮,
وَعَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «لَا تُسَمِّيَنَّ غُلَامَكَ يَسَارًا، وَلَا رَبَاحًا، وَلَا نَجِيحًا، وَلَا أَفْلَحَ، فَإِنَّكَ تَقُولُ: أَثَمَّ هُوَ؟ فَلَا يَكُونُ، فَيَقُولُ لَا» ". رَوَاهُ مُسْلِمٌ. وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ، قَالَ: " «لَا تُسَمِّ غُلَامَكَ رَبَاحًا، وَلَا يَسَارًا وَلَا أَفْلَحَ وَلَا نَافِعًا» ".
সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি কখনো তোমাদের ‘‘গোলাম’’ (সন্তান)-এর নাম ‘ইয়াসার’, ‘রবাহ’, ‘নাজীহ’ ও ‘আফলাহ’ রেখ না। কেননা যখন তুমি তার নাম ধরে ডাকবে, আর সে উপস্থিত থাকবে না, তখন কেউ বলবে ‘‘নেই’’
মুসলিম-এর অপর বর্ণনায় রয়েছে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি তোমার গোলামের নাম ‘রবাহ’, ‘ইয়াসার’, ‘আফলাহ’ কিংবা নাফি‘ নাম রেখ না।সহীহ : মুসলিম ১১-(২১৩৬), আহমাদ ২০২৪৪,
«وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - أَنَّ بِنْتًا كَانَتْ لِعُمَرَ يُقَالُ لَهَا: عَاصِيَةُ فَسَمَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - جَمِيلَةً» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ.
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ)-এর কন্যাকে ‘আসিয়াহ্ বলা হত। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নাম পরিবর্তন করে রাখলেন ‘‘জামীলাহ্’’।সহীহ : মুসলিম ১৫-(২১৩৯), ইবনু মাজাহ ৩১৩৩,
(৫) নূর জাহান নাম রাখাতে কোনো সমস্যা হবে না, যদিও তাতে অহংকার ভাব পরিলক্ষিত হয়, এবং প্রাপ্তি নামও রাখা যাবে।
(৬)পিতামাতা কর্তৃক হারাম নাম রাখার কারণে সন্তানের কোনো গোনাহ হবে না। হ্যা সন্তান সাবালক হওয়ার পর তার উচিৎ উক্ত নামকে পরিবর্তন করে নেওয়া।
(৭) উযর বিল জাহালত শরীয়তে ক্ষমাযোগ্য। সুতরাং পিতা যদি কারো কাছ থেকে এমন নাম শুনে নিজ সন্তানের নাম রাখে যা মূলত উচিৎ ছিল না, তাহলে এজন্য পিতার কোনো গোনাহ হবে না।
(৮) জ্বী, হয়তো তিনবার বালতিকে ধৌত করত হবে, নতুবা একবার ধৌত করার পর তা শুকিয়ে নিতে হবে।