আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (26 points)
edited by
১/ আমার দাদার নাম আব্দুল মালেক।  তার বয়স ৭৫ বছর। যদিও সমস্যা হয় পরিবারকে বললে তারা পাল্এটাবে না।এই নামে কোনো সমস্যা হবে কী?
২/ পারভীন আক্তার। এই নাম কী শরীয়া বিরোধী।

৩/ লুৎফর রহমান খোকন।এই নাম কী শরীয়া বিরোধী।

যদি এগুলো খারাপ হয় কিংংবা শরীয়া বিরোধী হয় তাদের ৩ জনকে এ ব্যাপারে বললে তাদের কাছে অপমানিত হওয়া ছাড়া আর কিছুই পাব না।এমতাবস্থায় তাদের জন্য কী করতে পারব।

৪/ মানুষ কী তার নামের জন্য জাহান্নানমে যাবে।যেমনঃ কারো নাম যদি হয় হারাম নাম কিন্তু সে ইমানদার।এতে কী সে জাহান্নামে যাবে।

৫/ নুর জাহান কী আত্নস্তুতিমুলক নাম।প্রাপ্তি নাম কী রাখা যাবে।

৬/ পিতা মাতা কোনো হারাম নাম রাখলে সন্তানের বয়স ১৫ হলে সে সাবালক হয় কিন্তু ২৩-২৪ বছরে উপার্জনক্ষম হয়।মাঝখানে ৮-৯ বছরের জন্য কী সে এই নামের জন্য গুনাহগার।হবে।যদু সে নাম পিতা মাতা না পাল্টিয়ে দেয়।

৭/ নাম রাখার দায়িত্ব পিতার।নাম যদি শরীয়া বিরোধী হয় আর পিতা যদি কারো কাছ থেকে শুনে  রাখে।তাহলে গুনাহগার কে হবে।পিতা না যার কাছে শুনেছে সে।

৮/ বালতিতে নাপাক  কাপড় ধুলে বালতির ভিতরে পানি ফালানোর পর কিছুটা লেগে থাকে।সেটা ১ বার ধুয়ে কী শুকানো আবশ্যক।যেহেতু বারবার বালতি শুকানো কষ্টকর।

৯/ কেউ শরীয়া বিরোধী কাজ করলে তাকে যদি এ বিষয়ে অবহত করতে যাই তাহলে সমাধান তো হবে না উল্টা অপমানিত হতে হবে।এখন আমি কী করতে পারি।যদি তাকে আর সচেতন না করি তাহলে আমি কী জিজ্ঞাসিত হব পরকালে।যেহেতু তারা আমার আপনজন।যদিও বললে আমার কথার কোনো পরোয়া করে না।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) আব্দুল মালিক নাম নাজায়েয হবে না। 

(২)HamariWeb সাইটে উল্লেখ করা হয়ে থাকে যে,
বাংলা Parvin নাম অর্থ - নামের অর্থ সফল বা বিজয়ী নির্দিষ্ট করে. এই মেয়ে নাম. শিকড় এবং নামের উৎপত্তি আরবি ভাষা সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়. নামের অর্থ ভাল হয় । সুতরাং পারভিন নাম রাখা যাবে। 

(৩)লুৎফর রহমান খোকন। নাম রাখা যাবে। 

(৪) 
মানুষ তার কৃতকর্মের কারণেই জান্নাত বা জাহান্নামে যাবে। তার নামের কারণে সে জান্নাত বা জাহান্নামে যাবে না। নাম সম্পর্কে কয়েকটি হাদীস লক্ষ্যণীয়--

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنَّ أَحَبَّ أَسْمَائِكُمْ إِلَى اللَّهِ: عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ» ". رَوَاهُ مُسْلِمٌ.
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার নিকট তোমাদের নামসমূহের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম নাম ‘আবদুল্লাহ এবং ‘আবদুর রহমান।সহীহ মুসলিম ৩৯-(৫৭০৯), তিরমিযী ২৮৩৩, আবূ দাঊদ ৪৯৪৯, ইবনু মাজাহ ৩৭২৮,

وَعَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «لَا تُسَمِّيَنَّ غُلَامَكَ يَسَارًا، وَلَا رَبَاحًا، وَلَا نَجِيحًا، وَلَا أَفْلَحَ، فَإِنَّكَ تَقُولُ: أَثَمَّ هُوَ؟ فَلَا يَكُونُ، فَيَقُولُ لَا» ". رَوَاهُ مُسْلِمٌ. وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ، قَالَ: " «لَا تُسَمِّ غُلَامَكَ رَبَاحًا، وَلَا يَسَارًا وَلَا أَفْلَحَ وَلَا نَافِعًا» ".
সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি কখনো তোমাদের ‘‘গোলাম’’ (সন্তান)-এর নাম ‘ইয়াসার’, ‘রবাহ’, ‘নাজীহ’ ও ‘আফলাহ’ রেখ না। কেননা যখন তুমি তার নাম ধরে ডাকবে, আর সে উপস্থিত থাকবে না, তখন কেউ বলবে ‘‘নেই’’

মুসলিম-এর অপর বর্ণনায় রয়েছে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি তোমার গোলামের নাম ‘রবাহ’, ‘ইয়াসার’, ‘আফলাহ’ কিংবা নাফি‘ নাম রেখ না।সহীহ : মুসলিম ১১-(২১৩৬), আহমাদ ২০২৪৪,

«وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - أَنَّ بِنْتًا كَانَتْ لِعُمَرَ يُقَالُ لَهَا: عَاصِيَةُ فَسَمَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - جَمِيلَةً» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ.
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ)-এর কন্যাকে ‘আসিয়াহ্ বলা হত। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নাম পরিবর্তন করে রাখলেন ‘‘জামীলাহ্’’।সহীহ : মুসলিম ১৫-(২১৩৯), ইবনু মাজাহ ৩১৩৩, 


(৫) নূর জাহান নাম রাখাতে কোনো সমস্যা হবে না, যদিও তাতে অহংকার ভাব পরিলক্ষিত হয়, এবং প্রাপ্তি নামও রাখা যাবে। 

(৬)পিতামাতা কর্তৃক হারাম নাম রাখার কারণে সন্তানের কোনো গোনাহ হবে না। হ্যা সন্তান সাবালক হওয়ার পর তার উচিৎ উক্ত নামকে পরিবর্তন করে নেওয়া। 

(৭) উযর বিল জাহালত শরীয়তে ক্ষমাযোগ্য। সুতরাং পিতা যদি কারো কাছ থেকে এমন নাম শুনে নিজ সন্তানের নাম রাখে যা মূলত উচিৎ ছিল না, তাহলে এজন্য পিতার কোনো গোনাহ হবে না। 

(৮) জ্বী, হয়তো তিনবার বালতিকে ধৌত করত হবে, নতুবা একবার ধৌত করার পর তা শুকিয়ে নিতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 
by (26 points)
আব্দুল মালিক না আমি বলেছি আব্দুল মালেক
by
যেমন ঃপিতা এক ব্যক্তির কাছে শুনল। সেটা রাখল।যদিও সেটা খারপ নাম।তাহলে গুনাহগার যদি পিতা না হয় তাহলে কী ঐ ব্যক্তির হবে।যেহেতু দায়িত্ব পিতার।ঐ ব্যক্তির না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...