বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আবু সাঈদ ও ইবনে আব্বাস (রদি.) থেকে বর্ণিত,
রসূল (স.) বলেন,
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - مَا قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - «مَنْ وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَهُ وَأَدَبَهُ فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى أَبِيهِ»
"যে ব্যক্তির কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করে, সে যেন তার উত্তম নাম রাখে। আর আচার-আচরণ শিক্ষা দেয় এবং যখন বয়ঃপ্রাপ্ত হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়। বয়ঃপ্রাপ্তির পর যদি বিয়ে না দেয় এবং সেই সন্তান যদি কোনো পাপ করে, তবে ঐ পাপের বোঝা পিতার ওপর বর্তাবে।"(মিশকাত-৩১৩৮)
মোল্লা আলী কারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় বলেন,
(فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى أَبِيهِ) أَيْ: جَزَاءُ الْإِثْمِ عَلَيْهِ لِتَقْصِيرِهِ وَهُوَ مَحْمُولٌ عَلَى الزَّجْرِ وَالتَّهْدِيدِ لِلْمُبَالَغَةِ وَالتَّأْكِيدِ، قَالَ الطِّيبِيُّ - رَحِمَهُ اللَّهُ -: أَيْ جَزَاءُ الْإِثْمِ عَلَيْهِ حَقِيقِيَّةٌ وَدَلَّ هُنَا الْحَصْرُ عَلَى أَنْ لَا إِثْمَ عَلَى الْوَلَدِ مُبَالَغَةً لِأَنَّهُ لَمْ يَتَسَبَّبْ لِمَا يَتَفَادَى وَلَدُهُ مَنْ أَصَابَهُ الْإِثْمُ.
উক্ত হাদীসে পিতার উপর গোনাহ বর্তাবে বলা হয়েছে,এটা মূলত পিতাকে ধমকি দেয়া হচ্ছে।(বাস্তবে পিতার কোনো গোনাহ হবে না)ইমাম তিবী রাহ বলেন,পিতার গোনাহ বাস্তবেই হবে।
হযরত উমর ইবনে খাত্তাব ও আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত,
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: «فِي التَّوْرَاةِ مَكْتُوبٌ: مَنْ بَلَغَتِ ابْنَتُهُ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً وَلَمْ يُزَوِّجْهَا فَأَصَابَتْ إِثْمًا فَإِثْمُ ذَلِكَ عَلَيْهِ» . رَوَاهُمَا الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, তাওরাত কিতাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,যে ব্যক্তির মেয়ে ১২ বৎসরে উপনীত হবে,যদি সে তাকে বিয়ে না দেয়,যদ্দরুণ সে কোনো গোনাহে পতিত হয়,তাহলে এর গোনাহ তার পিতার উপর বর্তাবে।(মিশকাত-৩১৩৯)