আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
187 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহ

আমি আল্লাহর কাছে promise করেছিলাম যে আমি একজন গাইরে মাহরাম ভাইয়ের সাথে ১২টার পর রাতে ফোন এ কথা বলব না/বা এরকম কিছু।তবে তখনও আমি জানতাম না যে আল্লাহর সাথে করা promise ভাংলে কাফফারা আদায় করতে হয়।দূর্বলতা বশত আমি সেই কাজটি করি।এবং সেবার প্রমিজ ভেংগে কতবার কাজটি করেছি মনে নেই।

এরপর আমি আবার দ্বিতীয়বার promise করি।পরের বার একই বাক্যে প্রমিজ করেছি কিনা তাও মনে করতে।
কিন্তু সেবারো আমি কাজটি করে ফেলি।হয়ত পরপর বেশ কয়েকবার। কিন্তু সঠিক সংখ্যা মনে নেই।

এখন আনুমানিক মনে পড়ে কাফফারার বিষয় আমি দ্বিতীয়বার প্রমিজ ভংগের পর জানতে পারি।কিন্তু আমি সিউর না ঠিক তখনই জানতে পারি কি না।

এরপর আমি আর প্রমিজ করিনি।তবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছি।কিন্তু ভাই আবার পাপে জড়িয়েছি বেশ কয়েকবার,,,, সচেতনভাবে।

১)আমি এখন কিভাবে কাফফারা আদায় করব?

২)কয়টি কাফফারা আদায় করব?যেহেতু দুবার প্রমিজ একি কাজের ব্যাপারে ছিল কিনা আর শুধু দুবার না তার চেয়ে বেশিবার প্রমিজ করেছি কি না তাও মনে পড়ে না।

৩)আমি একজন শিক্ষার্থী।রোজগার করিনা।তবে স্কলারশিপ এর টাকা পাই।যদিও তা মাসিক নয় এবং কবে কবে পাব ঠিক নেই।আমি টাকা পয়সার ব্যাপারে বাবার উপর নির্ভরশীল।তাই রোজা রেখে কাফফারা আদায় করতে হবে ভেবে আমি ৩দিন কাফফারা আদায়ের উদ্দেশে রোজা রেখেছি।কিন্তু একজন শাইখের প্রশ্ন উত্তরে দেখলাম উনি একজন এর ক্ষেত্রে বলেছেন বাবার কাছে টাকা চাইতে,না দিলে তখন রোজা রাখতে।এখন কিভাবে আমি কাফফারা আদায় করব?যদি রোজা রেখে কাফফারা আদায় করতে না পারি আমি, তাহলে ওই তিনটি রোজায় করা কাফফারা কি আমাকে আবার আদায় করতে হবে?

৪)৪০/৫০ দিন পর আমার ভর্তি পরীক্ষা।আমি কি পরীক্ষার পরে কাফফারা আদায় করতে পারব?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে আপনি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে promise করেছিলেন,,,,
আপনি কিন্তু কসম বা মান্নত করেননি।
সুতরাং এটি ওয়াদা।
এটি ভঙ্গের কারনে আপনার উপর কাফফারা আবশ্যক হবেনা।
আপনাকে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে,উপরোক্ত কাজ আর কোনোভাবেই করা যাবেনা।   

ওয়াদা রক্ষা ইমানের মূলধন।  
মুমিন চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ওয়াদা রক্ষা করা। ওয়াদা রক্ষা করা পবিত্র কোরআনের নির্দেশ। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমার সঙ্গে করা ওয়াদা তোমরা পূর্ণ কর। আমিও তোমাদের সঙ্গে করা ওয়াদা পূর্ণ করব। আর আমাকেই ভয় কর।’ (সূরা বাকারা : ৪০)। 

পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে ওয়াদা রক্ষাকারীর প্রশংসা ও মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘প্রকৃত মোত্তাকীরা যখন ওয়াদা করে, তখন তা রক্ষা করে।’ (সূরা বাকারা : ১৭৭)। ‘

হ্যাঁ! কেউ যদি ওয়াদা রক্ষা করে এবং আল্লাহকে ভয় করে, তবে সে জেনে রাখুক, আল্লাহ এমন খোদাভিরুদের ভালোবাসেন।’ (সূরা আলে ইমরান : ৭৬)। 

ওয়াদা রক্ষা না করা কবিরা গুনাহ। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘ওয়াদা রক্ষা না করার অপরাধে আমি বনি ইসরাইল সম্প্রদায়কে অভিশপ্ত জাতিতে পরিণত করেছি। আর তাদের অন্তরগুলোকে করে দিয়েছি কঠিন।’ (সূরা মায়েদা : ১৩।) 


আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা ওয়াদা রক্ষা কর। ওয়াদা রক্ষার ব্যাপারে তোমাদের প্রশ্ন করা হবে।’ (সূরা বনি ইসরাইল : ৩৩)। 

হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘ধ্বংস তার জন্য! ধ্বংস তার জন্য! ধ্বংস তার জন্য! যে ওয়াদা করল অতঃপর তা রক্ষা করল না।’ (মু’জামুল আওসাত : ৩৬৪৮, তারিখে দিমাশক : ৫৬১১৯)।

★তওবা প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন 

انَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧]وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا [٤:١٨

অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ।
আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}
,
তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে  বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...