জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাজে সেজদায়ে তেলাওয়াতের আয়াত পড়লে সেজদা আদায় করতে হবে।
অন্যথায় গুনাহ হবে।
বুখারী শরীফের ৮৯১ নং হাদীস,মুসলিম শরীফের ৮৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: "كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الجُمُعَةِ فِي صَلاَةِ الفَجْرِ الم تَنْزِيلُ السَّجْدَةَ ، وَهَلْ أَتَى عَلَى الإِنْسَانِ حِينٌ مِنَ الدَّهْرِ "
রাসুল সাঃ জুমআর দিন ফজরের নামাজে সুরা আলিফ লাম মিম সাজদাহ এবং দাহর সুরা পড়তেন।
ولِلطَّبَرَانِيِّ فِي الصَّغِيرِ مِنْ حَدِيثِ عَلِيٍّ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَجَدَ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ فِي تَنْزِيلٌ السَّجْدَةَ، لَكِنْ فِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ " انتهى من "فتح الباري" (2/ 379) .
সারমর্মঃ উক্ত নামাজে রাসুল সাঃ সুরা আলিফ লাম মিম সাজদাহর সেজদার আয়াত তেলাওয়াত করার পর সেজদাহ আদায় করতেন।
,
رواه البخاري عن عمر : أنه قَرَأَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ عَلَى الْمِنْبَرِ بِسُورَةِ النَّحْلِ حَتَّى إِذَا جَاءَ السَّجْدَةَ نَزَلَ فَسَجَدَ وَسَجَدَ النَّاسُ، حَتَّى إِذَا كَانَتْ الْجُمُعَةُ الْقَابِلَةُ قَرَأَ بِهَا حَتَّى إِذَا جَاءَ السَّجْدَةَ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ: إِنَّا نَمُرُّ بِالسُّجُودِ فَمَنْ سَجَدَ فَقَدْ أَصَابَ وَمَنْ لَمْ يَسْجُدْ فَلَا إِثْمَ عَلَيْه.ِ وَلَمْ يَسْجُدْ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ -وَزَادَ نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا- إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَفْرِضْ السُّجُودَ إِلَّا أَنْ نَشَاءَ
সারমর্মঃ উমর রাঃ যখন নামাজে সেজদার আয়াত তেলাওয়াত করতেন, তখন সেজদায় চলে যেতেন।,,,,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★★নামাজে যেই রাকাতে সেজদাহ এর আয়াত পাঠ করবে,সেই রাকাতেই সেজদায়ে তিলাওয়াত আদায় করতে হবে।
এর কোনো কাজা নেই।
যদি আদায় না করা হয়,তাহলে পরবর্তীতে গুনাহ হবে,এর কাজা আদায়ের বিধান নেই।
,
যদি পরবর্তী রাকাতে উক্ত সেজদাহ আদায় করা হয়,যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে,তাহলে এতে উক্ত সেজদায়ে তিলাওয়াত আদায় হয়ে যাবে।
তবে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
,
(০২)
না এতে গুনাহ হবেনা।
,
(০৩)
এতেও গুনাহ হবেনা।