আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
777 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি যদি কখনো গভীরভাবে কোনো সেক্সুয়াল চিন্তাভাবনা করি, মাঝে মধ্যে চিন্তাভাবনা করার সময় একাই মযী নির্গত হয় এবং এটা বেশ কিছুক্ষণ চলমান থাকে।কখনো বুঝতে পারি মযী বের হচ্ছে আবার কখনো এত সূক্ষ্মভাবে হয় যে বুঝা যায় না।ভেজা অনুভব করলে বুঝতে পারি।

আজকেও এ ধরনের চিন্তাভাবনার পর এটা হচ্ছিল।এমন সময় আম্মু আমার রুমে আসেন।(তখন আমি কোনো চিন্তাভাবনা করতেছিলাম না,কিন্তু একটু আগে এ ধরনের চিন্তার কারণে  সম্ভবত মযী নির্গত হচ্ছিল।)

আমার কাছে থাকা একটি পানির বোতল নেয়ার জন্য।

আমি বোতলটি আম্মুর হাতে দিই এবং এ সময় আম্মুর হাতের সাথে আমার আঙুলের স্পর্শ লাগে।মানে বোতলটি নেয়ার সময় আরকি।১ সেকেন্ড মতো হতে পারে।কম বেশিও পারে।

কিন্তু আমি যেহেতু অস্বস্তিকর অবস্থায় ছিলাম এবং হুরমতের বেসিক মাসয়ালা জানা আছে তাই হাতের স্পর্শ লাগায় আমি খুব ভয় পেয়ে যাই।

এমতাবস্থায় আবারো মযী বের হয় এবং সেটা আমি ভালোভাবে অনুভব করি।এতক্ষণ বের হওয়াটা অনুভব হচ্ছিল না।

কিন্তু স্পর্শ লাগায় আমি মোটেও উত্তেজিত বোধ করি নি।শুধু ভয়ের অনুভূতি ছিলো।এটা আমি শতভাগ নিশ্চিত। লিঙ্গও স্বাভাবিক ছিলো।

 কেননা, এ ধরনের চিন্তাভাবনাও করি নাই।ওয়াল্লাহি।

এখন আমার সংশয়,
প্রথমত,
১।অন্যান্য সময় যেভাবে মযী বের হয় স্বাভাবিকভাবে সেরকমই হয়ত হয়েছে।

২।অত্যাধিক ভয় পেয়ে যাওয়ায় এরকম হয়েছে।

৩।আম্মুর হাতের সাথে স্পর্শ লাগায় হয়েছে।এক্ষেত্রে উত্তেজনা ছিল কিনা জানি না তবে  স্পর্শ লাগার কারণে নিজের মধ্যে ভয় ছাড়া  কোনো উত্তেজনা অনুভব করি নাই।আর এটা যাস্ট সেকেণ্ডের স্পর্শ ছিল।

কিন্তু কেন এমন হলো আল্লাহই ভালো জানেন।মনে হচ্ছে তিনটির যেকোনোটাই হতে পারে।কিন্তু এটা ঘটার সময় আমার কোনো নিয়ন্ত্রণ বা  উত্তেজনার অনুভূতি ছিল না।

দ্বিতীয়ত,
মযী কখন বের হয়েছে সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত না।

একবার মনে হচ্ছে স্পর্শ লাগার সময়ই বের হয়েছে।আবার মনে হচ্ছে স্পর্শ লাগার পর যখন হাত সরে গেছে তখন বের হয়েছে।কারণ এত কম সময়ের মধ্যে স্পর্শ লাগার কারণে ভয় পাওয়া আর মযী বের হওয়া তো সম্ভব না।তাই এ ধারণাটিই বেশি হচ্ছে । কিন্তু একটু পরেই মনে হচ্ছে  স্পর্শ লাগার সময়ই বের হলো কিনা।হতেও তো পারে।

এই ঘটনার পর থেকে আমি প্রচণ্ড মাত্রার অস্বস্তিতে ভুগছি।মরে যেতে ইচ্ছা হচ্ছে।দয়া করে একটু জানাবেন এর জন্য আমার আম্মু আব্বুর মধ্যে হুরমতের হুকুম সাব্যস্ত হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
ই'লাউস সুনান ১১/১৩১ 

أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।     

★পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হলোঃ লিঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।

وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى

স্পর্শ করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। সেই সাথে স্পর্শ করার আগে বা শেষে, হাত ছেড়ে দেওয়ার আগে বা পর যদি উত্তেজনা অনুভূত হয় তাহলেও নিষিদ্ধতার সাব্যস্ত হবে না।

وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)

যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজনা থাকতে হবে। 
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★★সাধারণত প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে শুধু মা  স্পর্শ করলে উত্তেজনা যাই আসে,
ছেলের লিঙ্গ দাড়িয়ে যাওয়ার মতো উত্তেজনা আসেনা,এবং সেটা সাধারণত সাথে সাথেই হয়না,পরে হয়।  

তাই এমনটি হলে  হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হওয়ার শর্ত পাওয়া যায়না।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন,কোনো সমস্যা নেই।       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...