ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন “যে (ব্যক্তি) আঁমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহ্ তা'আলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন। আর যে আঁমার উপর দশবার দরূদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহ তা'আলা তার প্রতি একশত রহমত নাযিল করেন। যে আঁমার উপর একশবার দুরূদ প্রেরণ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার উভয় চোখের মধ্যখানে লিপিবদ্ধ করে দেন, এ বান্দা নিফাক ও দোযখের আগুণ থেকে মুক্ত। আর কিয়ামতের দিন তাকে শহীদদের সাথে রাখবেন।”[মুজামুল আওসাত, ৫ম খন্ড, ২৫২ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ২৭৩৫]
(২)রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন “যে (ব্যক্তি) আঁমার উপর সারা দিনে পঞ্চাশ বার দরূদ শরীফ পড়ে, আঁমি কিয়ামতের দিন তার সাথে মুসাফাহা করব (অর্থাৎ- হাত মিলাব)।”
[আল কুরবাতু ইলা রব্বিল আলামীন, লি ইবনে বশিকওয়াল,৯০ পৃষ্ঠা,হাদিস নং ৯০]
(৩)রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি আঁমার উপর সারা দিনে এক হাজার বার দরূদে পাক পাঠ করে, সে যতক্ষণ না নিজের স্থান জান্নাতের মধ্যে দেখে নেবে,ততক্ষণ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করবে না।”
[আত্তারগীব ফি ফাযায়িলিল আমাল লি ইবনে শাহিন,১৪ পৃষ্ঠা,হাদিস নং ১৯]
(৪)রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন: “যে (ব্যক্তি) আঁমার উপর জুমার দিন দরূদ শরীফ পড়বে আঁমি কিয়ামতের দিন তার জন্য সুপারিশ করব।”
[জমউল জাওয়ামি লিস্ সূয়ুতী,৭ম খন্ড, ১৯৯ পৃষ্ঠা,হাদিস নং ২২৩৫২]
(৫)রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন “যে (ব্যক্তি) আঁমার উপর জুমার রাত ও জুমার দিনে একশ বার দরূদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার একশটি হাজত পূরণ করবেন। ৭০টি আখিরাতের আর ৩০টি দুনিয়ার।”[শুয়াবুল ঈমান,৩য় খন্ড,১১১ পৃষ্ঠা,হাদিস নং ৩০৩৫]
(৬)রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আঁমার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে দরূদ শরীফ পেশ করে,আল্লাহ পাক সেই দরূদ শরীফ দ্বারা একজন ফেরেশতা তৈরি করেন, যার একটি পাখা থাকবে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তে আর একটি পাখা থাকবে পশ্চিম প্রান্তে,তার পদযুগল জমিনের সপ্তম স্তরে (যা সর্ব নিম্ন স্তর) দন্ডায়মান হবে। আর তার গর্দান আরশের ছায়াতলে পৌঁছবে,আল্লাহ পাক সেই ফেরেস্তাকে বলবেন,তুমি আঁমার বান্দার প্রতি দরূদ প্রেরণ করতে থাক, যেমন সে আঁমার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর প্রতি দরূদ শরীফ প্রেরণ করেছে। অত:পর সে কিয়ামত পর্যন্ত সে ব্যক্তির প্রতি দরূদ পেশ করতে থাকবে।[দালায়েলুল খায়রাত, বঙ্গানুবাদ, গাউসিয়া পাবলিকেশন্স, লেখক, আল্লামা আবু আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে সোলায়মান যাজুলী (রহ), অনুবাদ- মাও. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, পৃষ্ঠা-12]
(৭)রাসূলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন:“যে (ব্যক্তি) আঁমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পাঠ করে,আল্লাহ তা’আলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন।”[মুসলিম, ২১৬ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪০৮]
(৮)রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন: “কিয়ামতের দিন আঁমার নিকটতম ব্যক্তি সেই হবে,যে দুনিয়ায় আঁমার উপর বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পড়েছে।”[তিরমিযী, ২য় খন্ড,২৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৮৪]
(৯)রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেছেন: “যে ব্যক্তি আঁমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পড়ে,আল্লাহ তা’আলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন এবং তার আমল নামায় দশটি নেকী লিখে দেন।”
[তিরমিযী, ২য় খন্ড, ২৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৮৪]
(১০) হুজুর সাঃ ﷺ ইরশাদ করেন: “মুসলমান যতক্ষণ পর্যন্ত আঁমার উপর দরূদে পাক পড়তে থাকে,ফিরিশতারা তার উপর রহমতরাজি নাযিল করতে থাকে, এখন বান্দার মর্জি সে কম পড়ুক– কিংবা বেশি।”[ইবনে মাজাহ,১ম খন্ড, ৪৯০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৯০৭]
কয়েকটি মূলনীতিকে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
(১)মিউজিক থাকতে পারবে না।
(২)অত্যাধিক মনযোগ প্রদান করা যাবে না।যার দরুণ ফরয ওয়াজিব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
(৩)মহিলাদের কন্ঠে হতে পারবে না,এবং অশ্লীল বা হারাম কথাবার্থা তাতে থাকতে পারবে না।
(৪)ফাসিক,এবং উদ্ভ্রান্তদের কন্ঠে হতে পারবে না।
(৫)এমন কোনো আয়োজন হতে পারবে না, যা মিউজিকের মত মনে হয়।
(৬)গান যেভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করে,ফিতনায় পতিত করে, সে রকম কোনো কন্ঠ হতে পারবে না।
অথচ বর্তমানে প্রচলিত অনেক শে'র, গজলে এমনটাই লক্ষ্য করা যায়।আজকালের শ্রুতাগণ অর্থের দিকে খেয়াল না করে, তারা কন্ঠ এবং ভাবভঙ্গির দিকেই বেশী খেয়াল করে গজল বাছাইরকরে।এত্থেকে আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে।(ফাতহুল বারী-১০/৫৫৩)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1898
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১."আসসালামু আলাইকুম ইয়া রসুলুল্লাহ "___এটা না শোনাই উত্তম।
২."মুস্তাফা জানে রেহমাত পে লাখো সালাম"___এটা না শোনাই উত্তম।
৩.সালাম পাঠানো, সালাত পাঠানো, দরূদ পাঠানো, সালাওয়াত পাঠানো --এগুলোর অর্থ প্রায় একই।