আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
334 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (101 points)
আসসালামুআলাইকুম,

আমি মূলত সাহাবী(রা.)গণ সম্পর্কে জানতে চাই।তাদের সম্পর্কে আমাদের বিশ্বাস কেমন হওয়া উচিত? তারা তো সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজন্মের লোক ছিলেন।তারা সবাই কি জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ছিলেন? আর তাদের ইসলামের বিধান পালনে কি কোনোরূপ ঘাটতি ছিল?তাদের ইসলামের বিধান পালনে কি কোনোরূপ ত্রুটি ছিল নাকি পু ঙ্খানুপুঙ্খ ১০০/১০০ ছিল???এক ব্যক্তিকে আমি বলতে শুনলাম যে , সাহাবীগণ(রা.)গণ ইসলামের বিধান পালন করতে গিয়ে মাঝে মাঝে ভূল করতেন বা ত্রুটি করতেন কিন্তু পরবর্তীতে তা শুধরিয়ে নিতেন।অর্থাৎ,তারাও ইসলামের বিধান একেবারে নিঁখুত ভাবে পালন করতে পারতেন না বরং তাদেরও মাঝে মধ্যে ভূল হয়ে যেত। এধরনের আক্বীদা রাখা কি জায়েজ??

জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ- 

https://www.ifatwa.info/11323 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

তিনি আরো ইরশাদ করেছেনঃ

 « لاَ تَسُبُّوا أَصْحَابِى فَلَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا بَلَغَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلاَ نَصِيفَهُ ». 

অর্থাত-“তোমরা আমার সাহাবীদেরকে গালি দিওনা। তোমাদের মধ্যে যদি কেহ উহুদ সমপরিমাণ স্বর্ণও যদি আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে,তবেও তাঁদের এক মুদ্দ বা তার অর্ধেক পরিমাণ(এক মুদ=১ রতল। আল্লামা শামী(রাঃ)বয়ান করেছেন যে, এক মুদ্দ ২৬০ দিরহামের সমপরিমাণ। দ্রষ্টব্যঃ আওযানে শরিয়্যাহ)আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার সমতূল্য হবেনা।(সহি বুখারী-হাদিস নং ৩৭১৭) 


 তিনি আরো ইরশাদ করেছেন, হযরত ইবনে আব্বাস(রাঃ)হতে বর্ণিতঃ

 ” من سب اصحابي فعليه لعنة الله والملائكة والناس اجمعين ” .

“যারা আমার সাহাবীদেরকে গালী দেয়, তাদের প্রতি আল্লাহর,ফেরেস্তাদের,এবং জগতবাসীর অভিশাপ বর্ষিত হোক।(তাবরানী) উপরোল্লিখিত হাদিস সমুহ দ্বারা এ কথাই প্রমাণ হয় যে, সাহাবারা সত্যের মাপকাঠি। তাঁদের সর্ম্পকে কোন ধরনের সমালোচনা করা যাবেনা। (মিরকাতুল মাফাতিহ-৬১০১ নং হাদীসের ব্যখ্যায় তাবারানি এর উদৃতিতে বর্ণিত)


আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের (রাসুলুল্লাহ সঃ কর্তৃক ঘোষিত নাজাত প্রাপ্ত দল) আক্বিদাও এটাই যেالصحابة كلهم عدول অর্থাৎ -সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। 


স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেছেনঃ

 رضى الله عنهم ورضوا عنه 

“আল্লাহপাক তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট ও রাজী হয়ে গেছেন এবং তাঁরাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট এবং রাজী হয়ে গেছেন।(সুরা বায়্যিনাহ-পারা-৩০) 


সুতরাং সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা কতটুকু? তা উপরোক্ত হাদীস সমূহ দ্বারা প্রতিয়মান হচ্ছে। 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

সাহাবারা মা'ছুম বা নিষ্পাপ নন,তবে তারা মাগফুর তথা যাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে বা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (101 points)
Fatwa no-11323 লুকায়িত দেখায়

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...