আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
667 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
https://ifatwa.info/17727/

এ বলেছেন যে, গোপনাংগের ভিতর দেখলেই হুরমতে মুসাহারা পতিত হবে কিন্তু এর জন্য শর্ত ত কামভাব থাকা। তাই নিচের প্রশ্ন।

১. কোন ব্যক্তি(ছেলে) যখন ছোট ছিল বয়স ৮/৯ তখন যদি সে ভুলে তার মায়ের ঘরে প্রবেশ করে এবং মাকে উলংগ অবস্থায় দেখে এবং কোন কামভাব অনুভব না করে। আবার অনেক বছর পর যদি সে কথা মনে পড়ে কল্পনায় ফুটে ওঠে কিন্তু কামভাব নেই। তাহলে কি হুরমতে মুসাহারা পতিত হবে? কল্পনায় সেই চিত্র ফুটে উঠলে আর কামভাব থাকলে?

২. কোন নারীর অজান্তে যদি কেউ তার গোপনাংগ দেখে ফেলে আর কামভাব অনুভব করে কিন্তু তার সাথে সেই ব্যক্তির কোন মাহরামের সম্পর্ক নেই তবে কি সেই নারীর জন্য তার স্বামী হারাম হবে?
৩. হুরমতে মুসাহারা পতিত হলে যে সম্পর্ক ভেঙে যায় তা কি আবার বিয়ে করিয়ে শুরু করা যায়? না একেবারে চিরকাল এর জন্য সম্পর্ক হারাম হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান মতে,কোনো ব্যাক্তি নিজ মায়ের সাথে যিনা করলে বা কামভাব নিয়ে উত্তেজনার সাথে আবরণ ছাড়া স্পর্শ করলে,বা তার লজ্জাস্থানের ভিতরের অংশ উত্তেজনার সাথে দেখলে নিজ বাবা মার বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায় এবং তার মা তার বাবার জন্যে চিরতরে হারাম হয়ে যায়।

এক্ষেত্রে ছেলের বালেগ হওয়া শর্ত।

তাই ছেলে বালেগ (সাধারণত কমপক্ষে ১২  বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে মায়ের খুবই সর্তক থাকা উচিৎ।

ই'লাউস সুনান গ্রন্থে বর্ণিত হাদীস শরীফে এসেছে 

أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।      

অন্যত্রে এসেছে 

أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲

যার সারমর্ম হলো যদি কেহ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে সেই মহিলার মেয়ে বা তার মাকে সে কোনোদিন বিবাহ করতে পারবেনা।

 لما في ردالمحتار،ج:٣-ص:٣٣ (نسخة شاملة) ويشترط وقوع الشهوة عليها لا على غيرها لما في الفيض لو نظر إلى فرج بنته بلا شهوة فتمنى جارية مثلها فوقعت له الشهوة على البنت تثبت الحرمة، وإن وقعت على من تمناها فلا 

অর্থাৎ- যাকে স্পর্শ করা হচ্ছে,তাকে নিয়ে কামভাব থাকতে হবে।কেননা বর্ণিত রয়েছে,কেউ যদি তার মেয়ের লজ্জাস্থানের দিকে কামভাব ছাড়া দৃষ্টি দেয়,এবং কল্পনায় অন্য কোনো নারীকে সে সঙ্গী হিসেবে চায়,কিন্তু তৎক্ষণাৎ তার মেয়ের দিকে তার কামভাব জাগ্রত হয়ে যায়,তাহলে তখন হুরমতে মুসাহারা সাব্যস্ত হয়ে যাবে(তথা তার বিবি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে)তবে যদি তার কামভাব কল্পিত সে নারীর উপরই থাকে তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না।ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/৩৩(শামেলা) 
খালি গায়ে স্পর্শ হতে হবে বা এমন পাতলা কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ হতে হবে যে, কাপড় থাকার পরও শরীরের স্পন্দন অনুভূত হয়।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।
,
(০২)
না সেই নারীর জন্য তার স্বামী হারাম হবেনা।
তার নিজ ছেলে সন্তান এভাবে উত্তেজনার সাথে দেখলে সেই নারীর জন্য তার স্বামী হারাম হবে।
অন্যথায় নয়।
,
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যে দেখেছে,সে উক্ত মহিলার মা/মেয়েকে কোনো দিন বিবাহ করতে পারবেনা। 
,
(০৩)
একেবারে চিরকাল এর জন্য সম্পর্ক হারাম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...