আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
684 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (101 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম,

১)স্বপ্নদোষ নিয়ে প্রশ্ন:

ঘুমের মধ্যে অশ্লীল স্বপ্ন দেখি এবং ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর সে স্বপ্নের কথা স্মরণ থাকে কিন্তু টাউজারে কোনো আদ্রতা আছে কি না তা যাচাই করি নাই আর শৌচকাজ করতে চলে যাই।কিন্তু লজ্জাস্থানে বীর্যের কোন আলামত দেখতে পাইনি।তো শৌচকাজ এর পর ওযু করে নামাজে দাঁড়ায় যাই আর নামাজের মধ্যে প্যান্টের আদ্রতা যাচাই করার কথা স্মরন হয়। কিন্তু এরপর প্যান্ট হাতে নিয়ে দেখি যে সেখানে অনেক পানির ফোটা,যা ইস্তিন্জা ও ওযুর পানির ছিটা হতে পারে।তো এক্ষেত্রে বীর্য আছে কি না  তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি আর বীর্যের পানির আঠাল বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাইনি এবং নাকে প্যান্টের ঘ্রাণ নেয়ার পর ও বীর্য আছে কি না এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছি না।সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে যদিও বীর্য বের হওয়ার স্মৃতি মনে পড়ছে না এবং লজ্জাস্থানেও কোনো আলামত পাইনি।আর ঘুমানোর সময় আমার দুই পা ঘামে যায় তাই গন্ধ নিয়েও নিশ্চিত কিছু বলতে পারছি না। এমতাবস্থায় আমি এটাকে সন্দেহ হিসেবে গণ্য করে উপেক্ষা করে নামাজ সম্পূর্ণ করি।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে আমার উপর কি গোসল ফরজ হয়েছিল? আর যদি গোসল ফরজ হয়ে থাকে তাহলে সেই প্যান্ট আদ্র থাকা অবস্থায় তা পড়ে তো চেয়ার,সোফায় বসছি।তাহলে সেগুলো কি নাপাক হয়ে গেছে?

২)নামাজের মাসায়েল নিয়ে প্রশ্ন:

২.১)নামাজে শেষ বৈঠকে ডানে সালাম ফিরানোর সময় 'আসালামু' বলার পর জিহ্বা আটকে যায় ফলে আবার ডানে পুরো সালাম পড়ে তারপর বামে সালাম ফিরাই।এতে নামাজ শুদ্ধ হবে কি?

২.২)নামাজে কতটুকু অনাকাঙ্খিত/অপ্রয়োজনীয় শব্দ অনিচ্ছায় হলে নামাজ ভেঙ্গে যায়?

২.৩)একাকী নামাজ আদায়কালে নিশব্দে কেরাত পাঠ করা হয় যেসব সালাতে সেখানে সশব্দে কেরাত পাঠ করলে সমস্যা হবে? আর ইমামের পেছনে সালাত আদায়কালে ভূলে জোরে তাকবীর দিলে এবং রুকু থেকে উঠার সময় ভূলে জোরে 'রব্বানীর ওলাকাল হামদ' বললে সমস্যা হবে?

২.৪)একাকী সালাত আদায়কালে ইচ্ছার/অনিচ্ছায় জোরে রুকু ও সেজদার তাসবীহ পাঠ করলে সালাত নষ্ট হবে কি?
২.৫)নাক হতে সর্দির আওয়াজ হলে বা সর্দি ভিতরের দিকে টানলে যে আওয়াজ হয় তার জন্য নামাজ ভঙ্গ হবে কি?

বীর্যের পাক হওয়া নিয়ে প্রশ্ন:

যারা বীর্যকে পাক বলেন তাদের একটা যুক্তি হলো হযরত আয়েশা(রা:) এর হাদিস যেখানে বলা হয়েছে যে: হযরত আয়েশা(রা:) বলেন যে, রসূল(সা:) বীর্যকে গাছের ডাল দিয়ে অপসারন করে নিয়ে সে কাপড়ে নামাজ পড়তেন এবং পরবর্তীতে তা শুকিয়ে গেলে ঘষে তুলে ফেলতেন ও আবার একই কাপড়ে নামাজ পড়তেন।al-Irwa(1/197)

তাদের এই দলিল টা কি সহীহ?? যদি সহিহ হয় তাহলে হানাফি মাযহাবের কেউ এই দলিল অনুযায়ী বীর্যকে পাক হিসেবে গণ্য করলে কি গুনাহগার হবে??
জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

+1 vote
by (588,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ঘুম থেকে উঠে কাপড়ে আর্দ্রতা দেখলে এর সর্বমোট ১৪ টি সূরত হতে পারে। 
স্বপ্নদোষ স্বরণ থাকাবস্থায় এর সম্ভাব্য সাতটি সূরত হতে পারে।এবং স্বরণ না থাকাবস্থায় এর সম্ভাব্য সাতটি সূরত হতে পারে। 
স্বপ্নদোষ স্বরণ থাকাবস্থায় সম্ভাব্য সাতটি সূরত নিম্নরূপ(বিধান সহ) যথাঃ- 
(১)বীর্য সম্পর্কে নিশ্চিত। (গোসল ফরয হবে) 
(২)মযি সম্পর্কে নিশ্চিত।(ফরয হবে) 
(৩)ওদী সম্পর্কে নিশ্চিত।(ফরয হবে না) 
(৪)বীর্য না মযি? এ নিয়ে সন্দিহান।।(ফরয হবে না) 
(৫)বীর্য না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান।।(ফরয হবে না) 
(৬)মযি না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান।।(ফরয হবে না) 
(৭)বীর্য না মযি না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান।।(ফরয হবে না) 
স্বপ্নদোষ স্বরণ না থাকাবস্থায় সম্ভাব্য সাতটি সূরত নিম্নরূপ(বিধান সহ)যথাঃ- 
(১)বীর্য সম্পর্কে নিশ্চিত(ফরয হবে) 
(২)মযি সম্পর্কে নিশ্চিত।(ফরয হবে না) 
(৩)ওদী সম্পর্কে নিশ্চিত(ফরয হবে না) 
(৪)বীর্য না মযি? এ নিয়ে সন্দিহান।(তারাফাইন এর মাযহাব মতে ফরয হবে) 
(৫)বীর্য না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান।(তারাফাইন এর মাযহাব মতে ফরয হবে) 
(৬)মযি না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান।(ফরয হবে না) 
(৭)বীর্য না মযি না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান।(তারাফাইন এর মাযহাব মতে ফরয হবে) (মিনহ্তুল খালিক-১/৫৮) 
বিঃ দ্র; ইমাম আবু হানিফা এবং ইমাম আবু ইউসুফ রাহ কে তারাফাইন বলা হয়ে থাকে।এবং ইমাম আবু-হানিফা ও আবু ইউসুফকে শায়খাইন বলা হয়ে থাকে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/11414

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
আপনার উপর গোসল ফরয হয়নি। 


(২)
২.১/ এমতাবস্থায় আপনার নামায হয়ে যাবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/13360
২.২/ বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/431
২.৩/ আপনার এ প্রশ্নটি পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে না যে, আপনি কি জানতে চান? তাই আপনি পরিস্কার করে কমেন্টে উল্লেখ করবেন। জাযাকাল্লাহ। 
২.৪/  একাকী সালাত আদায়কালে ইচ্ছার/অনিচ্ছায় জোরে রুকু ও সেজদার তাসবীহ পাঠ করলে নামায ফাসিদ হবে না। 
২.৫/নাক হতে সর্দির আওয়াজ হলে বা সর্দি ভিতরের দিকে টানলে যে আওয়াজ হয় তার জন্য নামাজ ভঙ্গ হবে না। 

বীর্য নাপাক। তবে তা শুকিয়ে গেলে এবং কাপড় থেকে তা উঠে গেলে কাপড়টি পাক হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
২.৩)আমার প্রশ্নটি হলো যে, সাধারণত যোহরের,আসরের,মাগরিব ও এশার শেষ দুই রাকাতে আর সুন্নাহ নামাজে নি:শব্দে  কুরআন তিলাওয়াত করার কথা কিন্তু একাকী সালাত আদায়কালে এসব নামাজে সশব্দে কুরআন তিলাওয়াত করে তাহলে নামাজ নষ্ট হবে কি? আর ইমামে পেছনে সালাত আদায়কালে ভূলে কোনো তাকবীর যদি জোরে বলা হয় যেমন রুকুতে যাওয়ার আগে ,তাহলে নামাজ নষ্ট হবে কি । আর রুকু থেকে উঠার সময় ‘রব্বানা লাকাল হামদ’ জোরে বলে ফেললে নামাজ নষ্ট হবে কি?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...