আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,659 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)
আসসালামুয়ালাইকুম, বিভিন্ন ধরনের দোকানে ক্রেতা বিকাশ/নগদ দিয়ে দাম পরিশোধ করলে ১০/২০% ক্যাশব্যাক দিয়ে থাকে  অথবা অনেক সময় মোবাইল রিচার্জ করলেও ক্যাশব্যাক দিয়ে থাকে।এই ক্যাশব্যাক নেয়া  কি হালাল হবে??

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم 
  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন-৩৭৪৭

পেমেন্ট মেথড তথা বিকাশ, রকেট বা ব্যংকের ডেবিট কার্ড/ক্রেডিট কার্ড অথবা ভিসা/মাস্টার কার্ড ইত্যাদি দ্বারা নির্দিষ্ট শপে ক্রয়ের উপর যে ১০% বা ২০% ক্যাশব্যাক দেয়া হয়।
তার শরয়ী হুকুম নিম্নরূপ।

যদি ক্রেডিট কার্ড বা শপিং কার্ডের মাধ্যমে বিল পে করা হয়, যা গ্রাহক পরবর্তীতে উক্ত ইস্যুকৃত কার্ডের মালিক ব্যাংক বা কম্পানিকে পরিশোধ করবে।তাহলে বুঝা গেল যে ব্যাংক/কম্পানি উক্ত কার্ডধারীকে বর্তমানে ঋণ দিচ্ছে।তাই ব্যাংক হল ঋণদাতা।এবং ক্রেডিট/শপিং কার্ড গ্রহণকারী হলেন ঋণগ্রহিতা।ঋণ দাতার পক্ষ থেকে ঋণ গ্রহিতাকে আরো উপহার উপটোকন দেয়া যায়।তা জায়েয।অন্যদিকে ঋণগ্রহিতার পক্ষ্য থেকে ঋণদাতাকে কিছু দেয়ার নামই হল সুদ।তাই এখানে সুদ হচ্ছে না।কেননা এতে সুদের সজ্ঞা প্রমাণিত হচ্ছে না।

আর যদি পেমেন্ট মেথড ডেবিডকার্ড বা বিকাশ/রকেট হয়, তাহলে তো উক্ত গ্রাহকের একাউন্টে পূর্ব থেকেই টাকা বিদ্যমান রয়েছে।এখন উক্ত পেমেন্ট মেথড গুলো ক্ররিদার গ্রাহককে কমমূল্যে ক্ররিদ করতে সহযোগিতা করছে।আর সহযোগিতা করা তো জায়েয।জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম(দারুল এশায়ত);১/১৬৪

তাছাড়া যদি বিষয়টাকে আমরা অন্যভাবে চিন্তা করি,তাহলে এমন হবে যে,এখানে 'পেমেন্ট মেথড পদ্ধতিসমূহ, বিক্রেতা কম্পানির সাথে ব্যবসায় শরীক। অবশ্য তাদের সবার প্রফিট চুক্তি আকারে সু-নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত রয়েছে।এমন হলে বিক্রেতা কম্পানি এবং পেমেন্ট মেথড উভয়-ই এখন বিক্রেতা।আর বিক্রেতার পক্ষ্য থেকে ক্রেতাকে যা কিছু দান করা হয়, সেটা গ্রহণ করা ক্রেতার জন্য তো জায়েয-ই হয়।(কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/২৪৯)

এ দৃষ্টিকোণে ক্যাশব্যাক গ্রহণ না জায়েয হওয়ার কোনো কারণ নেই। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/112


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...