আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (57 points)
edited by
১। রোজা ভাঙার কারনগুলো মধ্যে কোনো কারন ঘটে গেলে সারাদিন কি রোজাদারের মতোই কাটাতে হবে? নাকি খাওয়া দাওয়া করা যাবে? আর নামাজের মধ্যে থুথুর সাথে রক্ত বের হলে তা গিলে ফেললে নামাজ ফাসেদ হবে কি?

২.নামাজে উঠাবসার কারনে অনেক সময় সাদা স্রাব বের হয় যা পরিমানে খুব অল্প এমনকি বোঝাও যায় না নামাজ শেষে চেক করার পর দেখতে পাই,তখন সন্দেহ হয় কোন রাকাত থেকে নামাজ ভেঙে গেছে,নামাজকি পুনরায় আদায় করতে হবে?
৩.সফরে থাকাকালীন নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গেলে যানবাহনে চলার সময় সেই নামাজ কিভাবে আদায় করবে?যানবাহনে আদায় করলে পরবর্তীতে বাসায় আসার পর সেই নামাজের কাযা করতে হবে কি?

৪.আমাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী মেয়েদের বিয়ে হলে নাক ফুরানো,বিভিন্ন অলংকার পরা মানুষ বাধ্যতামূলক মনে করে,বিশেষ করে নাক ফুরানো,এটা ইসলামের দৃষ্টিতে কতটুকু যুক্তিযুক্ত?কারো যদি তা ভালো না লাগে আর তা নাও করে তবে গুনাহ হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (682,000 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো যদি রোযা রাখা অবস্থায় রোযা ভেঙ্গে যাওয়ার কারনগুলো মধ্যে কোনো কারন ঘটে গেলে,সারাদিন রোজাদারের মতোই কাটাতে হবে।
এটাকে ইসলামী স্কলারগন ওয়াজিব বলেছেন।
তাই বাকি দিন খাওয়া দাওয়া করা জায়েজ নেই।
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারগন মুস্তাহাব বলেছেন।
সুতরাং সেই মত অনুসারে উল্লেখিত ব্যাক্তি খাওয়া দাওয়া করতে পারবে।
তবে কোনো ভাবেই অন্যান্য মানুষের সামনে খাবেনা।
একাকী কোথাও খাবে।   
,
যেহেতু এই ব্যপারে মতবিরোধ রয়েছে,তাই সতর্কতামূলক প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাকি দিন কিছুই খাবেনা।   

সুরা হজ্জ এর ৩২ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
وَ مَنۡ یُّعَظِّمۡ شَعَآئِرَ اللّٰہِ فَاِنَّہَا مِنۡ تَقۡوَی الۡقُلُوۡبِ ﴿۳۲﴾
কেউ আল্লাহ্র নিদর্শনাবলীকে  সম্মান করলে এ তো তার হৃদয়ের তাকওয়াপ্রসূত।

আল্লাহর আলামতসমূহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন আন্তরিক আল্লাহভীতির লক্ষণ যার অন্তরে তাকওয়া বা আল্লাহভীতি থাকে, সে-ই এগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে পারে। এ সম্মান প্রদর্শন হৃদয় অভ্যন্তরের তাকওয়ার ফল এবং মানুষের মনে যে কিছু না কিছু আল্লাহর ভয় আছে তা এরই চিহ্ন। [সা'দী] 

তাইতো কেউ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অমর্যাদা করলে এটা একথার সুস্পষ্ট প্রমাণ যে, তার মনে আল্লাহর ভয় নেই। এতে বোঝা গেল যে, মানুষের অন্তরের সাথেই তাকওয়ার সম্পর্ক। অন্তরে আল্লাহভীতি থাকলে তার প্রতিক্রিয়া সব কাজকর্মে পরিলক্ষিত হয়। এজন্যেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তাকওয়া এখানে, আর তিনি বুকের দিকে ইঙ্গিত করলেন” [মুসলিম: ২৫৬৪]

یجب علی الصحیح وقیل یستحب "الإمساک بقیة الیوم علی من فسد صومہ" ولو بعذر ثم زال "وعلی حائض ونفساء طہرتا بعد طلوع الفجر".... "وعلی حائض ونفساء طہرتا" وأما فی حالة تحقق الحیض والنفاس فیحرم الإمساک لأن الصوم منہما حرام والتشبہ بالحرام حرام (حاشیة الطحطاوی علی مراقی الفلاح شرح نور الإیضاح ص: 678،ط: اشرفی، دیوبند) : امداد الاحکام 1/139،ط: کراچی، احسن الفتاوی4/438،ط: زکریا)
সারমর্মঃ
 ছহীহ মত হলো বাকি দিন না খেয়ে থাকা ওয়াজিব।
কেহ কেহ মুস্তাহাব বলেছেন।
হায়েজ নেফাস যদি ফজরের পর আসে,তারও একই হুকুম।
তবে আগে থেকেই যদি হায়েজ নেফাস আসে,তাহলে তার জন্য খাওয়া দাওয়া করা জরুরি। 
না খেয়ে থাকা হারাম। 

,
★★নামাজের মধ্যে থুথুর সাথে রক্ত বের হলে তা গিলে ফেললে নামাজ ফাসেদ হবে কিনা?
এক্ষেত্রে এর বিধান রোযার ন্যায়।
,
অর্থাৎ নামাজের মধ্যে যদি থুথুর সাথে রক্ত বের হওয়া অবস্থায় থুথু গিলে ফেললে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।  অবশ্য যদি রক্তের পরিমান থুথু থেকে কম হয়,এবং হলকের মধ্যে রক্তের স্বাদ বুঝা না যায়,অনুভব না হয়,তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
,
আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল   ৩/৪৩২ দ্রষ্টব্য।
,
(০২)
যদি সাদা স্রাব বের হয়ে আসে,তাহলে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
,
(০৩)
সেক্ষেত্রে যানবাহনেই নামাজ আদায় করতে হবে।

যানবাহনে নামাজ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

যানবাহনে ত্রুটিপূর্ণ নামায আদায় কারার পর সেখান থেকে নেমে পরবর্তীতে স্বাভাবিক অবস্থায় আবার নামাযকে এজন্য দোহরাতে হবে।

আরো জানুনঃ 

(০৪)
এটাকে বাধ্যতামূলক মনে করে কাহারো উপর জোড় করে চাপিয়ে  দেওয়া জায়েজ নেই। 
এটি জুলুম হবে।
,
কারো যদি তা ভালো না লাগে আর তা নাও করে তবে গুনাহ হবেনা।
,
আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...