শরীয়তের বিধান হলো ইতেকাফ রত অবস্থায় অসুস্থ ব্যাক্তিকে দেখতে গেলে বা জানাযায় শরীক হলে ইতেকাফ ভেঙ্গে যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتِ السُّنَّةُ عَلَى الْمُعْتَكِفِ أَنْ لاَ يَعُودَ مَرِيضًا وَلاَ يَشْهَدَ جَنَازَةً وَلاَ يَمَسَّ امْرَأَةً وَلاَ يُبَاشِرَهَا وَلاَ يَخْرُجَ لِحَاجَةٍ إِلاَّ لِمَا لاَ بُدَّ مِنْهُ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ بِصَوْمٍ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ فِي مَسْجِدٍ جَامِعٍ
ওয়াহব ইবন বাকীয়্যা ......... আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ই‘তিকাফের জন্য সুন্নাত এই যে, সে যেন কোন রোগীর পরিচর্যার জন্য গমন না করে, জানাযার নামাযে শরীক না হয়, স্ত্রীকে স্পর্শ না করে এবং তার সাথে সহবাস না করে। আর সে যেন বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত মসজিদ হতে বের না হয়। রোযা ব্যতীত ই‘তিকাফ নেই এবং জামে মসজিদ ব্যতীত ই‘তিকাফ শুদ্ধ নয়।
(আবু দাউদ ২৪৬৫)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا – زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – قَالَتْ: وَإِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَيُدْخِلُ عَلَيَّ رَأْسَهُ وَهُوَ فِي المَسْجِدِ، فَأُرَجِّلُهُ، وَكَانَ لاَ يَدْخُلُ البَيْتَ إِلَّا لِحَاجَةٍ إِذَا كَانَ مُعْتَكِفًا»
আম্মাজান আয়শা রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ মসজিদে থাকা অবস্থায় আমার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন আর আমি তা আঁচড়িয়ে দিতাম এবং তিনি যখন ইতিকাফে থাকতেন, তখন [প্রাকৃতিক] প্রয়োজন ছাড়া ঘরে প্রবেশ করতেন না। {বুখারী, হাদীস নং-২০২৯, ১৯২৫, ১৯০২}
(فان خرج ساعۃ بلا عذر) معتبر (فسد الواجب) ولا اثم علیہ بہ (قولہ بلا عذر معتبر ) أ ی فی عدم الفساد فلو خرج لجنازۃ محرمہ اور زوجتہ فسد لانہ وان کان عذراً الا انہ لم یعتبر فی عدم الفساد (طحطاوی علی مراقی الفلاح ص ۴۰۹ باب الاعتکاف)رسائل الا رکان میں ہے او تعین لصلوۃ الجنازۃ فقی ھذہ الصورۃ یفسد الا عتکاف (ص۲۲۹ خاتمہ فی الا عتکاف)
সারমর্মঃ
কেহ যদি মাহরাম ব্যক্তির জানাযার জন্য বের হয়,অথবা স্ত্রীর জানাযার জন্য বের হয়,তাহলে ইতেকাফ ভেঙ্গে যাবে।
কেননা যদিও এটি ওযর,তবে এক্ষেত্রে তথা ইতেকাফ ভেঙ্গে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটি ওযর বলে বিবেচিত হবেনা।
★★ইতেকাফ ভেঙ্গে গেলে শুধু উক্ত দিনের (একরাত এক দিন) ইতেকাফ কাজা আদায় করতে হবে।
সেদিন রোযাও আদায় করতে হবে।
এটাই রাজেহ কওল।
পূর্ণ মাসনুন ইতেকাফের কাজা আদায় করা আবশ্যকীয় নয়।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৬/২৪৮,নাজমুল ফাতওয়া ৩/২৭৮))
,