বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
ঘরের মসজিদে মহিলাদের ইতিকাফ বিশুদ্ধ কি না?
এ সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
ইমাম মালিক রাহ বলেন,ঘরের মসজিদে পুরুষ-মহিলা যে কেউ ইতিকাফ করতে পারবে।
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ ও ইমাম শাফেয়ী রাহ বলেন,নারীপুরুষ সবার ইতিকাফের জন্য মসজিদ জরুরী।মসজিদ ব্যতীত ইতিকাফ বিশুদ্ধ হবে না।
ইমাম আবু-হানিফা রাহ এবং (ইমাম শাফেয়ীর প্রথম মত)পুরুষের জন্য মসজিদ জরুরী।তবে মহিলারা ঘরের মসজিদে ইতিকাফ করতে পারবে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জমানায় মহিলারা মসজিদে গিয়ে নামায পড়তেন,মসজিদে ইতিকাফ করতেন। যেহেতু তখন ছিলো স্বর্ণযযুগ,সর্বোত্তম জমানা।কিন্তু পরবর্তীতে যখন নারীপুরুষের ফ্রি মিক্সিং এর দরুণ ফিতনা হতে শুরু করল,তখন ফুকাহায়ে কিরাম নারীদের জন্য মনজিদে গিয়ে নামায পড়াকে বারণ করতে শুরু করলেন।যেজন্য হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত হল,মসজিদে গিয়ে নামায পড়া মাকরুহে তাহরিমী। তবে কেউ পড়ে নিলে তার যিম্মা থেকে ফরয নামায আদায় হয়ে যাবে।
মহিলারা যেহেতু ঘরে নামায পড়বে, তাই তারা ঘরের মসজিদে ইতিকাফ করবে।যদিও মূল সুন্নাহ হল,মসজিদে ইতিকাফ করা।কিন্তু জমানার ফাতনার কারণে মহিলারা ঘরের মসজিদে ইতিকাফ করবে।ইনশা আল্লাহ মহিলারা ইতিকাফের সওয়াব পাবে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বর্তমান সময়ের ক্রাইম চিত্র সম্পর্কে আমরা সম্মক অবগত আছি।যদি আমাদের সমাজে মসজিদে মহিলাদের জন্য ইতিকাফের বসার বিধান থাকতো।তাহলে ইতিকাফের নামে কতটা অঘটন যে ঘটতো, তার কোনো হিসেব থাকতো না।আল্লাহ ইমাম আবু-হানিফাকে জান্নাতের সুউচ্ছ মাকাম দান করুক।তিনি কত সুন্দর বিধান আমাদের জন্য বের করে দিয়ে গেছেন।যেহেতু শরীয়তের অন্যান্য বিধানের সাথে সঙ্গতি রেখে ঘরের মসজিদে ইতিকাফ করার কথা বলা হয়েছে, তাই ইহাকে বিদআত বলা যাবে না।
যদি কোথা্র মহিলাদের জন্য পৃথক কোনো স্থান নির্ধারিত থাকে,যেখানে পুরুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ। এমন মসজিদে যদি কোনো মহিলা ইতিকাফ করে নেন,তাহলে সেটাকে শরীয়ত বাধা দিবে না।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.