ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা রয়েছে।
(১)লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম।এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(২)লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হারামের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৩)দ্বিতীয় প্রকারের উল্টো তথা-লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হালালের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৪)হারাম সম্পত্তির মালিক তার হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিচ্ছে না।বরং কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে হাদিয়্যা দিচ্ছে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1900
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)কোনো বন্ধুর যদি হারাম উপার্জন থাকে, বা হালাল হারামের সংমিশ্রণ থাকে, কিংবা তার উপার্জন হারাম হওয়ার ধারণা প্রবল থাকে, তাহলে তার দাওয়াত কবুল করা যাবে না। কিন্তু যদি কারো শুধুমাত্র হালাল উপার্জন থাকে বা তার উপার্জন হালাল হওয়ার ব্যাপরে মনের অধিকাংশ ধারণা থাকে, তাহলে তার দাওয়াত কবুল করা যাবে।
(২) আপনি ১০০ টাকা দিলে এবং অন্যরা এতে টাকা দিলে কিন্তু অন্যদের ইনকাম হালাল হওয়া সম্পর্কে আপনার পূর্ণ ধারণা না থাকলে এমন পরিস্থিতিতে উক্ত খাবার গ্রহণ না করাই উত্তম। তবে আপনি আপনার টাকার পরিমাণ খানা সেখান থেকে গ্রহণ করতে পারবেন।