আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
220 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (9 points)
১. আমি দুইজনকে এরকম দেখেছি, যারা নিজের সাথে নিজেরাই কথা বলে।মানে এরকম যে তাদের মনে হয়, তাদের মনের মনে মধ্যে কেউ আছে যে তাদেরকে কেউ অনেক কিছু বলে। ভালো কথা বলে।ভালো উপদেশ দেয়।বিশেষত দ্বীনের ব্যাপারে।যেমন তাদের মনে যদি কোনো  প্রশ্ন আসে বলেন বিশেষত দ্বীনের বা দ্বীনের কোনো বিধানের ব্যাপারে, তাহলে তারা নিজের মনে কেই জিজ্ঞেস করে এবং সেই মন থেকেই দ্বীনের বিধানের ব্যাখ্যা পেয়ে যায়।তাও আবার সঠিক ব্যাখ্যা।পরে হাদিসেও একই ব্যাখায় পাওয়া যায়।আবার এরকম ও যে মন ই তাদের বলছে আমল করতে, ছোট ছোট আমল, যা কয়দিন পর হাদিস গ্রন্থে বা হাদিসে সহীহ আমল হিসেবে পাওয়া যায়।

এরকম কেন ঘটে?

২.এখানে একজন এর সাথে একটা আজব ঘটনা ঘটে।

ঘটনাটি একটি ছেলের।সে এরকম মনে মনে কথা বলে।তার বিয়ের ক্ষেত্রে তাকে দুজন মেয়ের মধ্যে একজন কে select করতে হবে।একটি মেয়ে কে ভালোবাসে অপরটির প্রস্তাব দিয়েছে।যে মেয়েটি প্রস্তাব দিয়েছে সে এরকম মনে মনে কথা বলে।তো তারা ইস্তিখারা করার সিদ্ধান্ত নেয়।ছেলেটি তার যে মেয়েটিকে পছন্দ তাকেই বিয়ে করতে চেতো ব্যক্তিগত ভাবে। কিন্ত যে মেয়েটি প্রস্তাব দিয়েছে সে যদি কল্যাণকর হয় এক্ষেত্রে ছেলেটির মেয়েটিকে মেনে নিতে কষ্ট হতে পারে বলে সে ছেলেটির মনে হয়।ইস্তিখারা করার আগে ছেলেটির সাথে একটি ঘটনা ঘটে।তার মনে হয় যে আল্লাহ তাকে বলছে এরকম যে, যে মেয়েটিকে সে পছন্দ করে সে তার না।অন্য কারো। ছেলেটি বলে এই কথা যদি অন্য কেউ বলতো তাহলে তার কষ্ট হতো।কিন্তু যখন তার সাথে এই ঘটনা ঘটে সে বলে যে তার এই কথা শুনে একটুপ কষ্ট হয়নি।বরং মন টা আরো শান্ত হয়ে যায়। তারপর ছেলেটি বলে যে মেয়েটিত প্রস্তাব এসেছে সে যদি কল্যাণকর হয়, তার সাথে যদি বিয়ে হয় সে মেনে নিতে পারবে। হয়তো একটু সময় লাগবে আগের মেয়েটি যাকে সে ভালোবাসে তাকে ভুলতে।

এ ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা আছে কি?এটি কোনো কাল্পনিক না বাস্তব ঘটনা।ঘটনা টা মূলত আমার সাথেই ঘটেছে।

1 Answer

+1 vote
by (713,160 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। 
 عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ دَعُونِي مَا تَرَكْتُكُمْ إِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِسُؤَالِهِمْ وَاخْتِلاَفِهِمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ فَإِذَا نَهَيْتُكُمْ عَنْ شَيْءٍ فَاجْتَنِبُوهُ وَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بِأَمْرٍ فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ.
তিনি বলেছেনঃ তোমরা আমাকে প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাক, যে পর্যন্ত না আমি তোমাদের কিছু না বলি। কেননা, তোমাদের আগে যারা ছিল, তারা তাদের নবীদেরকে বেশি বেশি প্রশ্ন করা ও নবীদের (নবীদের) সঙ্গে মতভেদ করার জন্যই ধ্বংস হয়েছে। তাই আমি যখন তোমাদেরকে কোন ব্যাপারে নিষেধ করি, তখন তাত্থেকে বেঁচে থাক। আর যদি কোন বিষয়ে আদেশ করি তাহলে সাধ্য অনুসারে মেনে চল। [মুসলিম ১৫/৭৩, হাঃ ১৩৩৭, আহমাদ ৯৭৮৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৯০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
(১)এটা হয়তো হতে পারে।হয়তো বিচ্ছিন্ন ঘটনার মত।অথবা তার আ'মল ভালো,মোটকথাঃ আল্লাহর যার কল্যাণ চান,তাকে ফিকহের জ্ঞান দান করেন।এটাকে ফকিহুন নাফস বলা হয়।
(২)এগুলোর কোনো ব্যখ্যা আমাদের জানা নাই।

দ্বীন ধর্ম ও আমল সম্পর্কে প্রশ্ন করা প্রশংসনীয়। সবচেয়ে বড় মুফতি মানুষের মন-
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (9 points)
বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলতে?ঠিক বুঝিনি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...