জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যেহেতু গতকাল রাত থেকে ব্লাড আসেনি,এবং আপনি ধারনা করতেছেন যে আর ব্লাড আসবেনা।
আপনার হায়েজ শেষ হয়েছে।
,
সেক্ষেত্রে যদি সত্যিই আর ব্লাড না আসে,তাহলে আপনি রোযা রাখতে পারবেন।
,
আপনি আযানের ২ মিনিট আগ পর্যন্ত সাহরী খেয়েছেন,এটি রোযার ক্ষেত্রে সমস্যাকর নয়।
কারন ক্যালেন্ডারে সাহরীর শেষ সময় বলতে যেটি লেখা থাকে,সেটি ২/৩ মিনিট হাতে রেখেই শেষ সময় লিখে দেওয়া হয়।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত সাহরী খাওয়া ছহীহ আছে।
,
তবে আপনি যেহেতু আপনি এখনো রোযার নিয়ত করেননি,তাই আপনার এই রোযা আর আদায় হবেনা।
এই মুহুর্তে আর নিয়ত করার সুযোগ নেই।
,
সূর্য ঢলার প্রায় এক ঘণ্টা আগে নিয়ত করলেও রোযা হয়ে যায়,তার পরে নিয়ত করলে আর রোযা হয়না।
,
★সুতরাং আজকে আপনার রোযা হবেনা।
এই রোজার শুধু কাজা আদায় করতে হবে।
কাফফারা নয়।
,
★ফরয রোযার নিয়ত রাতেই করা উত্তম।
উম্মুল মুমিনীন হাফসা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
من لم يجمع الصيام قبل الفجر فلا صيام له.
যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোযা রাখার নিয়ত করবে না তার রোযা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না।-সুনানে আবু দাউদ ১/৩৩৩; আলবাহরুর রায়েক ২/২৫৯-২৬০; বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৯
রাতে নিয়ত করতে না পারলে দিনে সূর্য ঢলার প্রায় এক ঘণ্টা আগে নিয়ত করলেও রোযা হয়ে যাবে।
সালামা ইবনুল আকওয়া রা. বলেন, (আশুরার রোযা যখন ফরয ছিল তখন) রাূসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলাম গোত্রের একজন ব্যক্তিকে ঘোষণা করতে বললেন, ‘যে সকাল থেকে কিছু খায়নি সে বাকি দিন রোযা রাখবে। আর যে খেয়েছে সেও বাকি দিন রোযা রাখবে। কারণ আজ আশুরা-দিবস।’-সহীহ বুখারী ২০০৭
আবদুল করীম জাযারী রাহ. বলেন, কিছু লোক সকালে চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিল। তখন উমর ইবনে আবদুল আযীয রাহ. বললেন, ‘যে ব্যক্তি (ইতিমধ্যে কিছু) খেয়েছে সে বাকি দিন খাওয়া থেকে বিরত থাকবে। আর যে খায়নি সে বাকি দিন রোযা রাখবে।’-মুহাল্লা ৪/২৯৩; বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৬,
★রমজানের রোযার নিয়ত কতক্ষণ পর্যন্ত করা যায়?
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হল রোযা রাখার সময়সীমা। ফরজ রোযার নিয়ত করার সময়সীমা হল, দিনের মধ্যভাগ পর্যন্ত। অর্থাৎ দিনের মধ্যভাগের আগ পর্যন্ত নিয়ত করলে তা শুদ্ধ হবে।
স্মর্তব্য যে, আরবী দিনের সূচনা হয় সুবহে সাদিক থেকে। তাই সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যতটুকু সময় হয়, এর মাঝামাঝি সময়ের আগে রোযার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হবে।
যেমন যদি সেহরীর সময় তথা সুবহে সাদিক শুরু হয় ৪টায়। আর সূর্যাস্ত হয়ে থাকে সন্ধ্যা ৭টায়। তাহলে একদিন হচ্ছে কত ঘন্টায়?
১৫ঘন্টায়।
সুতরাং সুবহে সাদিক থেকে সাড়ে ৭ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগে রোযার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ উক্ত হিসাব মতে দুপুর সাড়ে ১১ টার আগে রোযার নিয়ত করলে সেদিনের রোযা রাখা শুদ্ধ হবে। যদি এর পর নিয়ত করে তাহলে শুদ্ধ হবে না।
جاز صوم رمضان، والنذر المعين، والنفل بنية ذلك اليوم أو بنية مطلق الصوم أو بنية النفل من الليل إلى ما قبل نصف النهار، (الفتاوى الهندية، كتاب الصوم، الباب الأول في تعريفه وتقسيمه وسببه ووقته وشرطه -1/195
সারমর্মঃ
রমজানের রোযা,নযরে মুয়াইয়্যান এর রোযা,নফল রোযার নিয়ত রাত থেকে নিয়ে দিনের অর্ধেক সময় অতিবাহিত হওয়ার আগে করা যাবে।