বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّ الصَّلاَةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا
নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।(সূরা নিসা-১০৩)
পুরুষ-মহিলার সবার উপরই নির্দিষ্ট সময়ে নামায পড়া ফরয।সুতরাং সফরকালীন সময়ে পরিপূর্ণ পর্দা থাকা অবস্থায় মহিলারা যেকোনো জায়গায় নামায পড়তে পারবে।তবে প্রথমে মহিলাদের জন্য নির্মিত মসজিদ বা নামাযের স্থান কিংবা ফিৎনামুক্ত নির্জন জায়গা খুজতে হবে।যদি না পাওয়া যায়,তাহলে ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ নয় এমন কোথাও নামায পড়তে হবে।যদি সেরকম কোনো জায়গাও খুজে না পাওয়া যায়,তাহলে পুরুষরা মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর পুরুষদের মসজিদে গিয়ে নামায পড়া যাবে।যদি পুরুষদের বাহির হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা সম্ভব না হয়, তাহলে পুরুষদের সাথে পুরুষদের কাতারের পরবর্তী কাতারে শরীক হওয়া যাবে।
যদি সেরকমও কোনো জায়গা খুজে না পাওয়া যায়,তাহলে পূর্ণ পর্দার সাথে রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, যাত্রীচাউনি ইত্যাদিতেও নামায পড়তে হবে।নামাযের কোনো মাফ নেই।এ ব্যাপারে শীতিলতাকে শরীয়ত কখনো বরদাশত করবে না।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৫/৫২৯)
আফসোস,ইসলামী রাস্ট্র হওয়া সত্তেও আমাদের দেশে মহিলা মুসাফিরদের জন্য এখন পর্যন্ত নামাযের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।মুসলমানদের উপর ওয়াজিব যে,তারা প্রত্যেক রেলস্টেশন বাসস্টেশনসহ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ স্টপিজগুলিতে পুরুষদের সাথে সাথে মহিলাদের জন্যও পৃথক নামাযের ব্যবস্থা রাখবে।অথবা সরকারীভাবে নির্মিত হওযার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বজায় রাখবে।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.