জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০২)
কোনো অভাবগ্রস্ত ব্যাক্তি এমন ফল খেতে পারবে কিনা এ সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّه عَنْ رَسُوْلِ اللّٰهِ ﷺ أَنَّه سُئِلَ عَنِ الثَّمَرِ الْمُعَلَّقِ فَقَالَ : «مَنْ أَصَابَ مِنْهُ مِنْ ذِىْ حَاجَةٍ غَيْرَ مُتَّخِذٍ خُبْنَةً فَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ وَمَنْ خَرَجَ بِشَيْءٍ مِنْهُ فَعَلَيْهِ غَرَامَةُ مِثْلَيْهِ وَالْعُقُوبَةُ وَمَنْ سَرَقَ مِنْهُ شَيْئًا بَعْدَ أَنْ يُؤْوِيَهُ الْجَرِيْنُ فَبَلَغَ ثَمَنَ الْمِجَنِّ فَعَلَيْهِ الْقَطْعُ» وَذَكَرَ فِىْ ضَالَّة الْإِبِل وَالْغَنَمِ كَمَا ذَكَرَ غَيْرُه قَالَ : وَسُئِلَ عَنِ اللُّقَطَةِ فَقَالَ : «مَا كَانَ مِنْهَا فِى الطَّرِيقِ الْمِيتَاءِ وَالْقَرْيَةِ الْجَامِعَةِ فَعَرِّفْهَا سَنَةً فَإِنْ جَاءَ صَاحِبُهَا فَادْفَعْهَا إِلَيْهِ وَإِنْ لَمْ يَأْتِ فَهُوَ لَكَ وَمَا كَانَ فِى الْخَرَابِ الْعَادِىِّ فَفِيهِ وَفِى الرِّكَازِ الْخُمُسُ». رَوَاهُ النَّسَائِىُّ
‘আমর ইবনু শু‘আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গাছে ঝুলন্ত ফলের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যদি কোনো অভাবগ্রস্ত তা হতে কিছু খায় তাতে কিছুই নেই, যদি আঁচলে ভরে কিছু না নিয়ে যায়। হ্যাঁ, যদি তার কিছু নিয়ে যায়, তবে তার ওপর দুই গুণ দণ্ড বর্তাবে, তারপর শাস্তিও হবে। আর যে তার কিছু চুরি করবে শস্য মাড়াইয়ের স্থানে বা শস্য শুকানোর ওঠানে আশ্রয় দেয়ার পর, যার মূল্য একটি ঢাল পরিমাণ, তার হাত কাটা যাবে। উল্লেখ্য যে, ‘আমর (রাঃ)-এর দাদা হারানো উট ও ছাগলের বর্ণনা করেন যেভাবে অন্যরা উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরো বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হারানো জিনিস সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করা হলো। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যা চলমান পথে-ঘাটে অথবা ঘনবসতি এলাকায় পাওয়া যায়, তবে তার জন্য সে এক বছর প্রচার করবে, তারপর যদি তার মালিক আসে, তবে তো তা তাকে দিয়ে দেবে, আর যদি এর মালিক না আসে, তবে তা তোমার (অধিকার) হবে। আর যা জনমানবহীন জায়গায় পাওয়া যায় তাতে এবং মাটিতে প্রোথিত গুপ্তধনের এক-পঞ্চমাংশ বায়তুল মালে (সরকারী কোষাগারে) দিতে হবে (আর অবশিষ্টটা তোমার হবে)।
(হাসান : আবূ দাঊদ ১৭১০, সহীহ আল জামি‘ ৫৬৫৮, নাসায়ী ৪৯৫৮।)
,
আম কুড়িয়ে নিতে যদি মালিকের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার বাধা বা নিষেধ করা না হয়, তাহলে আপনার জন্য উক্ত গাছের নিচে পড়ে থাকা ফল কুড়িয়ে খাওয়া জায়েয হয়েছে। অবশ্য কখনো যদি এ ব্যাপারে মালিকের অসম্মতি বা অসন্তুষ্টি বুঝা যায় তখন পড়ে থাকা ফলও কুড়িয়ে নেওয়া জায়েয হবে না।
(আদ্দুররুল মুখতার ৪/২৮৪; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৯১; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৫৪; আননাহরুল ফায়েক ৩/২৮৪)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি উক্ত ফলের মালিকের অনুমতি প্রত্যক্ষভাবে থাকে বা পরোক্ষভাবে অনুমতি থাকে,তাহলে আপনার এই ফল গুলো কুড়িয়ে নিয়ে খাওয়া জায়েয আছে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
আর যদি মালিকের পক্ষ থেকে মালিকের অসম্মতি বা অসন্তুষ্টি বুঝা যায়,তাহলে তাহা কুড়ানো,খাওয়া জায়েজ নেই,খেয়ে থাকলে তার মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
বা মালিকের কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিতে হবে।
আরো জানুনঃ
,
(০২)
যদি শুধু অমুসলিম রা শরিক থাকে,সেখানে যদি কোনো হারাম টাকা না থাকে,তাহলে সে ইফতারি খাওয়া জায়েজ আছে।
তবে হারাম টাকার মিশ্রণ থাকলে সংখ্যায় কম হলেও সেই ইফতারী ত্যাগ করা উচিত।
,
(০৩)
তারাবিহ নামাজ বিতরের পরেও আদায় করা জায়েজ আছে।
তাই আপনি ইমামের সাথে বিতর নামাজ পড়ে অবশিষ্ট তারাবিহ বাসায় আদায় করতে পারবেন।
চাইলে বিতর না পড়ে তারাবিহ পড়ে পরবর্তীতে বাসায় এসে বিতর নামাজ আদায় করতে পারবেন।
,
উভয়টিরই অবকাশ রয়েছে।
,
তবে ১ম ছুরত মেনে চললে ছওয়াব বেশি হবে।
কারন সেক্ষেত্রে জামা'আতের সাথে বিতর নামাজ আদায়ের ছওয়াব হবে।