বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
সংবাদ পাঠিকার চাকুরী বৈধ হবে না।তবে যেহেতু উনি কোনো একটা কাজের বিনিময়ে টাকা নিচ্ছেন,তাই উনার উপার্জিত টাকাকে যদিও হারাম বলা যাচ্ছে না,তবে উনার জন্য এমন চাকুরী করা কখনো জায়েয হবে না।
সুতরাং এ চাকুরীর উপার্জিত টাকা থেকে হাদিয়্যা গ্রহণ করা উচিৎ হবে না।এবং এ হাদিয়্যা কখনো উপকারী হবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 1338
(২)জ্বী, কা'যা করা জরুরী।তবে যেহেতু উনি ইচ্ছা করে রোযা ভাঙ্গেননি,তাই কাফফারা আসবে না।
(৩)জ্বী, ইশার পর বিতির পড়ে নিলেও পরবর্তীতে তাহাজ্জুদ পড়া যাবে।
(৪)পবিত্রতম স্থানে এবং পবিত্র কাপড় পরিহিত অবস্থায় ওজুর সাথে কুরআন পড়াই সাধারণ নিয়ম।বিনা অজুতে কুরআন স্পর্শ করা জায়েয হবে না।এবং অপ্রবিত্রতম স্থানে অপবিত্র কাপড় নিয়ে কুরআন পড়া কখনো জায়েয হবে না।কুরআনে কারীমের যতটুকু অংশ পবিত্রতার সাথে পড়া হয়েছে,ততটুকু অংশ অবশ্যই আল্লাহর কাছে মকবুল হয়েছে।আর যতটুকু অপবিত্র স্থানে বা অপবিত্র কাপড় নিয়ে পড়া হয়েছে,ততটুকু সম্পর্কে বলা যায় যে,এরকম করাটা উচিৎ হয়নি।আল্লাহ চাইলে কবুল করতে পারেন,আবার না চাইলে কবুল নাও করতে পারেন।
(৫)ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করা মুস্তাহাব।কেননা ঘুমের সময় মুখের ভিতর জীবানু তৈরী হয়ে যেতে পারে।সেজন্য ইবনুল হুমাম রাহ মিসওয়াক করার কথা বলেছেন।কিন্তু মুখ না ধুয়ে কিছু খাওয়া আবার হারাম না।
(৬)এ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- 339
(৭)নফল রোযায় স্বামীর অনুমতি নিতে হয়,কেননা এখানে স্বামীর হক্ব রয়েছে।স্বামী যে কোনো সময় স্ত্রীর কাছে সহবাসের আবেদন করতে পারে।এ হক্বের কারণেই মূলত স্বামীর অনুমতির কথা বলা হয়েছে।যেহেতু নামায এবং স্ত্রীর নিজ মাল থেকে সাদাকাহ স্বামীর হক্বের প্রতিবন্ধক নয়।তাই এগুলো স্বামীর অনুমতি ব্যতীত করা জায়েয হবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.