আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
513 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম


(১)নাপাক টাইলস্ পবিত্র করতে ভেজা কাপড় দিয়ে কতবার মুছতে হবে?যদি আগেই টাইলস্ শুকিয়ে গিয়ে নাপাকির গন্ধ,রং দূর হয়ে যায় তাহলে কতবার মুছতে হবে?যদি একের অধিক বার মুছতে হয় তাহলে প্রতিবার মোছার পর কাপড় ধুয়ে নিতে হবে কী?যদি ধুতে হয় তাহলে কতবার ধুতে হবে?


(২)কোন ক্ষতস্থান থেকে বের হওয়া রক্ত পানি দিয়ে তিনবার ধুয়ে ফেলার পর যদি ক্ষতস্থান থেকে আঁঠালো রস বের হয় তাহলে সেই রস নাপাক হবে কী?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নাপাক কাপড় পবিত্র করার পদ্ধতি সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ
    
আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,

 أَنَّ النَّبِيَّ  ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ

হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)

ইসলামি শরীয়াহ মতে টাইলস বা মেঝেতে কোন নাপাকি পড়লে তা সরিয়ে মেঝে মুছে ফেলতে হবে। তারপর তা শুকিয়ে গেলে ও নাপাকির প্রভাব নিঃশ্চিহ্ন হয়ে গেলে সেই মেঝে নাপাকি থেকে পাক হয়ে যাবে। তারপর  খালি পায়ে বা ভেজা পায়ে ঐ জায়গায় চলাচলে কোন অসুবিধা নেই।

মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা ১/৪৩১; ইলাউস সুনান ১/৩৯৬;  নাসবুর রায়া ১/২৭৭; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৫; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৪২


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

সিমেন্টের ফ্লোর আর টাইলস করা ফ্লোরে প্রস্রাব থাকলে,পানি ঢালা জরুরী নয়।বরং উক্ত স্থান শুকিয়ে গেলেই পবিত্র হয়ে যাবে।
তবে আবার ভিজে গেলে সেটি নাপাক হয়ে যাবে।
তাই ভেজা কাপড় দিয়ে তিন বার মুছে ফেলাই উচিত।
,
যদি দৃশ্যমান কোনো নাপাকি লাগে,তাহলে  তা সরিয়ে মেঝে মুছে ফেলতে হবে। তারপর তা শুকিয়ে গেলে ও নাপাকির প্রভাব নিঃশ্চিহ্ন হয়ে গেলে সেই স্থান নাপাকি থেকে পাক হয়ে যাবে। 

আরো জানুনঃ 

,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু নাপাকি দৃশ্যমান নয়,আর সেটার গন্ধ,রং দুর হয়ে গিয়েছে,তাই সেটি পাক হয়ে গিয়েছে।

(০২)
শরীয়তের বিধান মতে অযু ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো  রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। (হেদায়া-১/১০)

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ

শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

আরো জানুনঃ 
,
প্রশ্নে উল্লেখিত রস যদি গড়িয়ে পড়ে,তাহলে অযু ভেঙ্গে যাবে।
,
এক্ষেত্রে কাপড় বা শরীরে লাগে,তাহলে যদি উক্ত রসের পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ নয়। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ আছে।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...