আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
240 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ          বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম                                                                                                                                                      (১)কেউ যদি নামায আদায় করার পর দেখে তার ওযু হয়নি এবং এই ওযু না হওয়া যদি তার নিজের কারণে না হয়ে অন্য কারো কারণে হয় তাহলে তার নামাযে কোন সমস্যা হবে কী?যদি তার নামায না হয় তাহলে তাকে নামাযের কাযা আদায় করতে হবে কী?                                                                          (২)জ্বিন কী শয়তানের মতো ওয়াস ওয়াসা দিতে পারে?জ্বিন কী মানুষের ওযু গোসলে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে?জ্বিনের উপদ্রব থেকে বাঁচার কোন আমল আছে কী?                              (৩)গোসলখানায় প্রস্রাব করার সময় যদি গোসলখানার ট্যাপে প্রস্রাব ছিটকে যাওয়ার প্রবল ধারণা হয় এবং সেই ট্যাপ ধরে এসে কোন জিনিস ধরলে সেই জিনিস নাপাক হবে কী?পরবর্তীতে গোসলখানায় প্রস্রাব করার সময় যদি গোসলখানার ট্যাপের সামনে যদি হাত দেওয়া হয় এবং হাতে যদি প্রস্রাব না ছিটকে পড়ে তাহলে প্রশ্নটির উত্তর কী?                                      (৪)কোন ব্যক্তির উপর যদি জ্বিনের আছর থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির লক্ষণ কী কী হতে পারে?                                               (৫)কেউ যদি জ্বিনের সমস্যাবশত বা দীর্ঘদিন শিরক করে দীর্ঘদিন পর বুঝতে পারে এবং শিরক করা বন্ধ করে দেয় তাহলে তার গুনাহ হবে কী?যদি সে নিজের ইচ্ছায় শিরকমূলক কাজ করে কিন্তু দীর্ঘদিন এই বিষয়টি বুঝতে না পারে কিন্তু দীর্ঘদিন পর যদি বুঝতে পারে এবং তাওবাহ করে তাহলে হুকুম কী?                                         

                                                                                        

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَقْبَلُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ صَدَقَةً مِنْ غُلُولٍ وَلَا صَلَاةً بِغَيْرِ طُهُورٍ " . صحيح 
আবুল মালীহ্ (রহঃ) হতে তার পিতা সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ আত্মসাৎকৃত মালের দান এবং পবিত্রতা ছাড়া সলাত কবুল করেন না।
[নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতাম অনুঃ উযু ফারয, হাঃ ১৩৯ এবং অধ্যায়ঃ যাকাত, অনুঃ হারাম পন্থায় উপার্জিত মালের সাদাকা, হাঃ ২৫২৩), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ আল্লাহ পবিত্রতা ব্যতীত সালাত কবুল করেন না, হাঃ ২৭১]

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي عَامِرٍ قَالَ : دَخَلْتُ فِي الإِسْلَامِ فَأَهَمَّنِي دِينِي فَأَتَيْتُ أَبَا ذَرٍّ فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ : إِنِّي اجْتَوَيْتُ الْمَدِينَةَ فَأَمَرَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِذَوْدٍ وَبِغَنَمٍ فَقَالَ لِي " اشْرَبْ مِنْ أَلْبَانِهَا " . قَالَ حَمَّادٌ : وَأَشُكُّ فِي " أَبْوَالِهَا " . هَذَا قَوْلُ حَمَّادٍ . فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ : فَكُنْتُ أَعْزُبُ عَنِ الْمَاءِ وَمَعِي أَهْلِي فَتُصِيبُنِي الْجَنَابَةُ فَأُصَلِّي بِغَيْرِ طُهُورٍ فَأَتَيْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِنِصْفِ النَّهَارِ وَهُوَ فِي رَهْطٍ مِنْ أَصْحَابِهِ وَهُوَ فِي ظِلِّ الْمَسْجِدِ فَقَالَ " أَبُو ذَرٍّ " . فَقُلْتُ نَعَمْ هَلَكْتُ يَا رَسُولَ اللهِ! قَالَ "وَمَا أَهْلَكَكَ"؟ قُلْتُ : إِنِّي كُنْتُ أَعْزُبُ عَنِ الْمَاءِ وَمَعِي أَهْلِي فَتُصِيبُنِي الْجَنَابَةُ، فَأُصَلِّي بِغَيْرِ طُهُورٍ فَأَمَرَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِمَاءٍ، فَجَاءَتْ بِهِ جَارِيَةٌ سَوْدَاءُ بِعُسٍّ يَتَخَضْخَضُ مَا هُوَ بِمَلآنَ فَتَسَتَّرْتُ إِلَى بَعِيرِي فَاغْتَسَلْتُ ثُمَّ جِئْتُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " يَا أَبَا ذَرٍّ! إِنَّ الصَّعِيدَ الطَّيِّبَ طَهُورٌ وَإِنْ لَمْ تَجِدِ الْمَاءَ إِلَى عَشْرِ سِنِينَ فَإِذَا وَجَدْتَ الْمَاءَ فَأَمِسَّهُ جِلْدَكَ "

আবূ ক্বিলাবাহ হতে বনু ‘আমির গোত্রের জনৈক ব্যক্তি সূত্রে বর্ণিত। ব্যক্তিটি বলল, আমি ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার পর দ্বীন সম্পর্কে (জ্ঞানার্জনে) আমার খুব আগ্রহ জাগে। ফলে আমি আবূ যার (রাঃ)-এর নিকট আসলাম। আবূ যার (রাঃ) বললেন, মদীনায় যাওয়ার পর আমি রোগে আক্রান্ত হই। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে উট-বকরীর পাল চরাতে বললেন এবং এর দুধ পানের নির্দেশ দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয়, তিনি এও বলেছেনঃ এর পেশাব পানের জন্যও আদেশ দিলেন। আবূ যার (রাঃ) বললেন, আমি পানি থেকে দূরে অবস্থান করতাম। আমার সাথে আমার স্ত্রীও ছিল। অতএব আমি জুনুবী হতাম এবং জুনুবী অবস্থায় সলাত আদায় করতাম।

অতঃপর আমি দ্বিপ্রহরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলাম। তখন তিনি মাসজিদের ছায়ায় কিছু সংখ্যক সাহাবীদের সাথে বসা ছিলেন। তিনি বললেন, আবূ যার নাকি! আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! আমি তো ধ্বংস হয়ে গিয়েছি, তিনি বললেন, কিসে তোমাকে ধ্বংস করলো? আমি বললাম, আমি পানি থেকে দূরে অবস্থান করতাম। আমার সাথে আমার স্ত্রীও ছিল। আমি জুনুবী হতাম এবং জুনুবী অবস্থায় সলাত আদায় করতাম। তিনি আমার জন্য পানি আনার নির্দেশ দিলেন। কালো এক ক্রীতাদাসী একটি বড় পাত্রে পানি আনল। পানিতে পরিপূর্ণ না থাকায় সেটি দুলছিল। আমি একটি উটকে আড়াল করে গোসল করি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে আবূ যার! পাক মাটিই পবিত্রকারী, যদিও দশ বছর পর্যন্ত পানি না পাওয়া যায়। যখন পানি পাওয়া যাবে তখন শরীর ধৌত করবে।
আহমাদ (৫/১৪৬, ১৫৫) আবু দাউদ ৩৩৩)
,
(০২)
দুষ্ট জিন ওয়াসওয়াসা দিতে পারে।
অযু গোসলে সমস্যা করতে পারে।
,
জিন থেকে বাঁচার আমল জানুনঃ 
,
(০৩)
যদি গোসলখানার ট্যাপে প্রস্রাব ছিটকে যাওয়ার প্রবল ধারণা হয় এবং সেই ট্যাপ ধরে এসে কোন জিনিস ধরলে সেই জিনিস নাপাক হবে।
,
হাতে প্রসাব ছিটে না আসলে কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০৪)
 এ সংক্রান্ত জানুনঃ
,
(০৫)
যদি জ্বিনের সমস্যাবশত নিজের অনিচ্ছায় শিরক করে দীর্ঘদিন পর বুঝতে পারে এবং শিরক করা বন্ধ করে দেয় তাহলে তার গুনাহ হবেনা।

যদি সে নিজের ইচ্ছায় শিরকমূলক কাজ করে কিন্তু দীর্ঘদিন এই বিষয়টি বুঝতে না পারে কিন্তু দীর্ঘদিন পর যদি বুঝতে পারে,এটা যদি কাফের হয়ে যাওয়ার মতো কোনো শিরকি কাজ হয়,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
নতুন করে ঈমান আনতে হবে।  
,
আর যদি কাফের হয়ে যাওয়ার মতো কোনো শিরকি কাজ না হয়,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবেনা।
 তাওবাহ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...