আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
432 views
in পবিত্রতা (Purity) by (11 points)
১) ভাবলাম হায়েজ হয়েছে।তাই দুই দিন রোযা রাখি নাই।৩য় দিন দেখি ব্লাড নেই।তার মানে তো ইস্তিহাযা ছিলো।যেহেতু তিন দিনের কম তাই হানাফী মাজহাব মতে তো এটা ইস্তিহাযা।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই যে আমি হায়েজ ভেবে রোযা রাখলাম না এতে কি আমার গুনাহ হয়েছে?

২) রাত প্রায়  দুইটাই হায়েজ অবস্থায় ঘুমানোর পর সকালে ১০.৩০ এ উঠে দেখি হায়েজ ভালো হয়ে গেছে।।এই অবস্থায় আমি তো সাহরী খাই নি।ফজরের আগে ভালো হলো নাকি ফজরের পরে হায়েজ ভালো হলো সেটাও জানি না আমি।এই অবস্থায় কি না খেয়েই রোযা রাখতে হবে আমার?

এই রোযা না রাখলে গুনাহ হবে? যেহেতু আমি সিউর করে জানিই না কখন ভালো হয়েছে!!

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।আরো জানুন-৭৮

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
তিন দিনের পূর্বে যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে  এটা আপনার ইস্তেহাযা ছিল। আপনি নামায এখন থেকে নামায রোযা সবগুলো ইবাদত করবেন। পূর্বের নামায রোযাকে কাযা করে নিবেন। এতে আপনার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না। 

প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনার জন্য মা’যুরের বিধান প্রযোজ্য হতে পারে। 
https://www.ifatwa.info/50নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে, লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়। যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া। সাদাস্রাব নাপাক, যা নির্গত হলে অজু চলে যায়। কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে। তা নাজাসতে গলিজা। এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।

এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
(ক) সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।
এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।
(খ) যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।

মা'যুরের হুকুম হল,
মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন। তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন। যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে।পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৫/২২৩/২২৪ ) 

নেপকিন জাতীয় কিছু পড়ে নিলে সমস্ত কাপড় নাপাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। যদি আপনি মা’যুর না হন, তাহলে এভাবে আপনাকে কষ্টকরে নামায পড়তে হবে। যখনই হবে যে, অজু চলে গেছে, তখনই আবার অজু করে নামায পড়তে হবে। 

(২)
সুবহে সাদিক থেকে ৭ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগে রোযার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ উক্ত হিসাব মতে দুপুর ১২টার আগে রোযার নিয়ত করলে সেদিনের রোযা রাখা শুদ্ধ হবে। যদি এর পর নিয়ত করে তাহলে শুদ্ধ হবে না।

এই রোযা হল, 
(১) রমজানের রোযা, 
(২)নির্দিষ্ট নযরের রোযা 
(৩) এবং সাধারণ নফল রোযা।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/11221

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
আপনি ঐ দিন রোযার সাদূশ্য গ্রহণ করবেন। এবং পরবর্তীতে ঐ রোযার কাযা করে নিবেন। কেননা কখন আপনার আপনার হায়েয শেষ হয়েছে, সেটা নিশ্চিত নয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 137 views
0 votes
1 answer 321 views
0 votes
1 answer 143 views
...