ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।আরো জানুন-৭৮
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
তিন দিনের পূর্বে যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে এটা আপনার ইস্তেহাযা ছিল। আপনি নামায এখন থেকে নামায রোযা সবগুলো ইবাদত করবেন। পূর্বের নামায রোযাকে কাযা করে নিবেন। এতে আপনার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনার জন্য মা’যুরের বিধান প্রযোজ্য হতে পারে।
https://www.ifatwa.info/50নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে, লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়। যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া। সাদাস্রাব নাপাক, যা নির্গত হলে অজু চলে যায়। কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে। তা নাজাসতে গলিজা। এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।
এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
(ক) সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।
এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।
(খ) যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।
মা'যুরের হুকুম হল,
মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন। তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন। যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে।পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৫/২২৩/২২৪ )
নেপকিন জাতীয় কিছু পড়ে নিলে সমস্ত কাপড় নাপাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। যদি আপনি মা’যুর না হন, তাহলে এভাবে আপনাকে কষ্টকরে নামায পড়তে হবে। যখনই হবে যে, অজু চলে গেছে, তখনই আবার অজু করে নামায পড়তে হবে।
(২)
সুবহে সাদিক থেকে ৭ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগে রোযার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ উক্ত হিসাব মতে দুপুর ১২টার আগে রোযার নিয়ত করলে সেদিনের রোযা রাখা শুদ্ধ হবে। যদি এর পর নিয়ত করে তাহলে শুদ্ধ হবে না।
এই রোযা হল,
(১) রমজানের রোযা,
(২)নির্দিষ্ট নযরের রোযা
(৩) এবং সাধারণ নফল রোযা।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ঐ দিন রোযার সাদূশ্য গ্রহণ করবেন। এবং পরবর্তীতে ঐ রোযার কাযা করে নিবেন। কেননা কখন আপনার আপনার হায়েয শেষ হয়েছে, সেটা নিশ্চিত নয়।