তারাবিহ নামাজ সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ، قَالَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، - قَالَ الْحَسَنُ فِي حَدِيثِهِ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُرَغِّبُ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِعَزِيمَةٍ ثُمَّ يَقُولُ " مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " . فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ كَانَ الأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ فِي خِلَافَةِ أَبِي بَكْرٍ - رضى الله عنه - وَصَدْرًا مِنْ خِلَافَةِ عُمَرَ رضى الله عنه
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযান মাসের ক্বিয়ামে খুবই উৎসাহী ছিলেন। তবে তিনি এ ব্যাপারে লোকদের প্রতি কঠোর নির্দেশ দিতেন না। তিনি বলতেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমযানের রাতে সলাতে দাঁড়ায়, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকাল পর্যন্ত এর বিধান এরূপই থাকলো। অতঃপর আবূ বাকর (রাঃ) এর পূর্ণ খিলাফাত ও ‘উমার (রাঃ) এর খিলাফাতের প্রথম দিকেও এ নিয়ম চালূ থাকে।
বুখারী (অধ্যায় : লাইলতুল ক্বদরের ফাযীলাত, অনুঃ ক্বদরের রাত, হাঃ ২০১৪), মুসলিম (অধ্যায় : মুসাফিরের সলাত, অনুঃ রমাযান মাসের রাতের বেলায় ‘ইবাদাত করা তথা তারাবীহ সলাত আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান)।
★★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তারাবিহ নামাজের ওয়াক্ত ঈশার পর থেকে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত।
যদি কেহ এর মাঝে তারাবিহ আদায় না করে,তাহলে সেটির কোনো কাজা নেই।
জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 143908200961 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
★যদি তারাবিহ এর কয়েক রাকাত বাদ পড়ে যায়,তাহলে সেই রাতেই আদায় করতে হবে ।
যদি আদায় না করে,পরবর্তীতে সেটার আর কাজা নেই।
জামিয়ে বিন নুরি পাকিস্তানের 144008201387 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
তারাবিহ নামাজের কোনো কাজা নেই।
وقد قالوا إنما تقضی الصلوات الخمس والوتر علی قول أبی حنیفة وصلاة العید إذا فاتت مع الناس علی تفصیل یأتی فی بابہا وسنة الفجر تبعا للفرض قبل الزوال والقضاء فرض فی الفرض واجب فی الواجب سنة فی السنة(البحر الرائق2/ 141،ط: زکریا)
সারমর্মঃ
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ,বিতর,জামা'আতের সাথে ঈদের নামাজ ছুটে গেলে সেই ঈদের নামাজ,ফজরের সুন্নাত তার ফরজের অনুগত হিসেবে সূর্য ঢলে যাওয়ার পূর্বেই,,,, এগুলোর কাজা আদায় করতে হয়।
والقضاء فرض فی الفرض وواجب فی الواجب سنة فی السنة. (الفتاوی الہندیة1/121،ط:زکریا).وقضاء الفرض والواجب والسنة فرض وواجب وسنة) لف ونشر مرتب (الدرالمختارمع رد المحتار2/524،زکریا)
সারমর্মঃ
ফরজের ক্ষেত্রে কাজা আদায় ফরজ,ওয়াজিবের ক্ষেত্রে ওয়াজিব,সুন্নাতের ক্ষেত্রে সুন্নাত।
.