জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَابِرِ بْنِ عَتِيكٍ، عَنْ عَتِيكِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَتِيكٍ، وَهُوَ جَدُّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو أُمِّهِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمَّهُ جَابِرَ بْنَ عَتِيكٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ يَعُودُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ ثَابِتٍ، فَوَجَدَهُ قَدْ غُلِبَ، فَصَاحَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ يُجِبْهُ فَاسْتَرْجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ: غُلِبْنَا عَلَيْكَ يَا أَبَا الرَّبِيعِ، فَصَاحَ النِّسْوَةُ، وَبَكَيْنَ فَجَعَلَ ابْنُ عَتِيكٍ يُسَكِّتُهُنَّ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: دَعْهُنَّ، فَإِذَا وَجَبَ فَلَا تَبْكِيَنَّ بَاكِيَةٌ قَالُوا: وَمَا الْوُجُوبُ؟ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: الْمَوْتُ قَالَتِ ابْنَتُهُ: وَاللَّهِ إِنْ كُنْتُ لَأَرْجُو أَنْ تَكُونَ شَهِيدًا، فَإِنَّكَ كُنْتَ قَدْ قَضَيْتَ جِهَازَكَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ أَوْقَعَ أَجْرَهُ عَلَى قَدْرِ نِيَّتِهِ، وَمَا تَعُدُّونَ الشَّهَادَةَ؟ قَالُوا: الْقَتْلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ تَعَالَى، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الشَّهَادَةُ سَبْعٌ سِوَى الْقَتْلِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ: الْمَطْعُونُ شَهِيدٌ، وَالْغَرِقُ شَهِيدٌ، وَصَاحِبُ ذَاتِ الْجَنْبِ شَهِيدٌ، وَالْمَبْطُونُ شَهِيدٌ، وَصَاحِبُ الْحَرِيقِ شَهِيدٌ، وَالَّذِي يَمُوتُ تَحْتَ الْهَدْمِ شَهِيدٌ، وَالْمَرْأَةُ تَمُوتُ بِجُمْعٍ شَهِيدٌ
জাবির ইবনু আতীক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সাবিত (রাঃ)-এর মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে দেখতে যান। তিনি দেখলেন, সে বেহুঁশ অবস্থায় রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সশব্দে ডাকলেন। কিন্তু তিনি তাঁর ডাকে সাড়া দিতে পারলেন না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’’ পাঠ করলেন। তিনি বললেনঃ হে আবুর রাবী’! ‘আমরা তোমার ব্যাপারে পরাজিত। এতে মহিলারা চিৎকার করলো এবং কাঁদতে লাগলো। ইবনু আতীক (রহঃ) তাদেরকে থামাতে চেষ্টা করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলরেন তাদের ছেড়ে দাও। ওয়াজিব হয়ে গেলে কোনো ক্রন্দনকারিণীই কাঁদবে না। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ওয়াজিবের তাৎপর্য কি? তিনি বললেনঃ মৃত্যু। ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সাবিতের কন্যা বললো, আল্লাহর শপথ! আমি মনে করেছিলাম, (হে আমার পিতা) তুমি শহীদ হবে। কারণ তুমি জিহাদের সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছিলে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মহামহিম আল্লাহ নিশ্চয়ই তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিদানের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। তোমরা কাকে শহীদ বলে গণ্য করো? তারা বললেন, আল্লাহর পথে (যুদ্ধে) নিহত ব্যক্তিকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহর পথে যুদ্ধকারী শহীদ, পানিতে ডুবে নিহত ব্যক্তি শহীদ, চাপা পড়ে নিহত ব্যক্তি শহীদ এবং প্রসবকালীন কষ্টে নিহত নারী শহীদ। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আল-জুমউ’ অর্থ গর্ভবর্তী মহিলা।
সহীহ : আবূ দাঊদ ৩১১১, নাসায়ী ১৮৪৬, আহমাদ ২৩৭৫৩, ইবনু হিব্বান ৩১৮৯, সহীহ আত্ তারগীব ১৩৯৮, সহীহ আর-জামি‘ আস্ সগীর ৩৭৩৯।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলা যদি আত্মহত্যা না করে থাকে,বরং সন্তান প্রসব করতে গিয়েই মারা যায়,তাহলে সে শহীদ বলে গন্য হবে।
,
(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি বীর্য বের হয়েছে মর্মে কোনো কিছু হাতে,কাপড়ে,বিছানায় না পায়,তাহলে সেই ছুরতে গোসল ফরজ হবেনা।
,
(০৩)
এমন ব্যাক্তি হয়তোবা বেশি টেনশনে ভোগেন,তাকে সব রকমের টেনশন ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে নামাজে দাড়াতে হবে।
বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত যিকির আযকারে মগ্ন থাকতে হবে।
নামাজে একাগ্রতা নিয়ে আসতে প্রতি হরফের ছহীহ শুদ্ধ ভাবে উচ্চারণ করতে হবে।
এমন ভাবে উচ্চারণ করবে যাতে নিজ কানে আস্তে হলেও আওয়াজ আসে।
,
তাহলেই ইনশাআল্লাহ একাগ্রতা সৃষ্টি হবে।
,
(০৪)
এক্ষেত্রে ২/৩ বার মুখের সম্পূর্ণ থুথু ফেলে চেহারা মুছে নিলেই আর কোনো সন্দেহ থাকবেনা।
ইনশাআল্লাহ।
,
থুতু ভেবে যদি আসলেই পানি গিলে ফেলে, তবে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
,
তবে অযু করার কারনে মুখের ভিতর কিছুক্ষন পানির সিক্ততা ভাব থাকেই,সেটি গিলে ফেললে রোযার সমস্যা হবেনা।