হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أُرَاهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ  " إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَشْيَاءَ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ " .
রাবী  ‘ইবন  সুলায়মান  মুআযযিন (রহঃ) ............. আবূ  হুরায়রা  (রাঃ)  থেকে বর্ণিত।  রাসূলূল্লাহ্  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেনঃ  যখন  মানুষ  মারা  যায়,  তখন  তার  সমস্ত  আমল  বন্ধ   হয়ে  যায়।  কিন্তু  তিনটি  আমলের  সাওয়াব  মৃত্যুর  পরেও  বন্ধ   হবে  না।  ১.  সাদকায়ে  জারিয়া,  ২.  ঐ  ‘ইলম,  যা  দিয়ে  উপকার  করা  যায় এবং  ৩.  ঐ  নেক সন্তান, যে  তার  পিতার জন্য দু‘আ  করে।
(আবু দাউদ ২৮৭০)
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে 
নিশ্চয়ই মানুষ যখন মারা যায় তখন তার ‘আমালের সাওয়াব আর লেখা হয় না, কেননা সাওয়াব মূলত তার ‘আমালের বদলা আর তা ব্যক্তি মারা যাওয়ার সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যায়। তবে সর্বদাই কল্যাণকর ও উপকারী কাজের বদলা চলতে থাকে। 
যেমন- কোন কিছু ওয়াকফ করে যাওয়া অথবা শারী‘আতী বিদ্যা লিখে যাওয়া অথবা শিক্ষা দিয়ে যাওয়া বা ব্যবস্থা করে যাওয়া অথবা সৎ সন্তান রেখে যাওয়া। সৎ সন্তান মূলত ‘আমালেরই আওতাভুক্ত, কেননা পিতাই মূলত সন্তানের অস্তিত্বের কারণ ও তাকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে সৎ করে তোলার কারণ। 
সন্তান ছাড়া অন্য কেউ যদি মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ করে তাহলে মৃত ব্যক্তির জন্য ঐ দু‘আ কাজে আসবে তথাপিও হাদীসে সন্তানকে নির্দিষ্ট করার কারণ হচ্ছে সন্তানকে দু‘আর ব্যাপারে উৎসাহিত করা।
জামিয়ে বিন নুরি পাকিস্তানের 
18753 নং
 ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে কিতাব লেখে ছাপানো এটি ছদকায়ে জারিয়াহ হবে।
তাই আপনারা ইসলামী বই সংগ্রহ করার সময় বলতে পারবেন যে সদকায়ে জারিয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের সাথে শরিক হতে পারেন।