ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7746 নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
وَقَدْ اقْتَصَرَ الْمُصَنِّفُ عَلَى هَذِهِ الْوَاجِبَاتِ فِي بَابِ صِفَةِ الصَّلَاةِ وَبَقِيَ وَاجِبٌ آخَرُ وَهُوَ عَدَمُ تَأْخِيرِ الْفَرْضِ وَالْوَاجِبِ وَعَدَمُ تَغْيِيرِهِمَا وَعَلَيْهِ تَفَرَّعَ مَسَائِلُ مِنْهَا لَوْ رَكَعَ رُكُوعَيْنِ أَوْ سَجَدَ ثَلَاثًا فِي رَكْعَةٍ لَزِمَهُ السُّجُودُ لِتَأْخِيرِ الْفَرْضِ..............................................
وَمِنْهَا لَوْ كَرَّرَ الْفَاتِحَةَ فِي الْأُولَيَيْنِ فَعَلَيْهِ السَّهْوُ لِتَأْخِيرِ السُّورَةِ وَمِنْهَا لَوْ تَشَهَّدَ فِي قِيَامِهِ بَعْدَ الْفَاتِحَةِ لَزِمَهُ السُّجُودُ وَقَبْلَهَا لَا عَلَى الْأَصَحِّ لِتَأْخِيرِ الْوَاجِبِ فِي الْأَوَّلِ وَهُوَ السُّورَةُ وَفِي الثَّانِي مَحَلُّ الثَّنَاءِ وَهُوَ مِنْهُ وَفِي الظَّهِيرِيَّةِ لَوْ تَشَهَّدَ فِي الْقِيَامِ إنْ كَانَ فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى لَا يَلْزَمُهُ شَيْءٌ وَإِنْ كَانَ فِي الثَّانِيَةِ اخْتَلَفَ الْمَشَايِخُ فِيهِ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ لَا يَجِبُ اهـ.
فَقَدْ اخْتَلَفَ التَّصْحِيحُ وَالظَّاهِرُ الْأَوَّلُ الْمَنْقُولُ فِي التَّبْيِينِ وَغَيْرِهِ وَمِنْهَا لَوْ كَرَّرَ التَّشَهُّدَ فِي الْقَعْدَةِ الْأُولَى فَعَلَيْهِ السَّهْوُ لِتَأْخِيرِ الْقِيَامِ
«البحر الرائق شرح كنز الدقائق ومنحة الخالق وتكملة الطوري» (2/ 105)
নামাযের ওয়াজিব সমূহের আরেকটি ওয়াজিব হল, ফরয ও ওয়াজিব রুকুন সমূহকে পালন করতে যেয়ে দেড়ী করা যাবে না , এবং পরিবর্তন ও পরিবর্তন করা যাবে না। বরং এক রুকুন আদায় করার পর তারাতারি আরেকটি রুকুন আদায় করে নিতে হবে। যেমন-
(১) যদি কেউ একই রা’কাতে দু’টি রু’কু দিয়ে দেয়, অথবা তিনটি সিজদা করে নেয়, তাহলে ফরয রুকুন পালনে দেড়ী করার দরুণ তার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।
(২) যদি কেউ চার রাকাতি ফরয নামযের প্রথম দু রাকাতের কোনো এক রা’কাতে সূরায়ে ফাতেহাকে দুইবার পড়ে নেয়, তাহলে তার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। কেননা সূরায়ে ফাতেহার পর সূরা মিলানো ওয়াজিব, এই ওয়াজিব পালনে দেড়ী হওয়ার কারণে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। যদি কেউ সূরায়ে ফাতেহা পড়ার পর তাশাহুদ পড়ে নেয়, তাহলে তার উপরও সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে, তবে সূরায়ে ফাতেহার পূর্বে তাশাহুদ পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। কেননা সূরায়ে ফাতেহা পড়ার পর সূরা মিলানো ওয়াজিব। আর এ সূরা মিলানোতে দেড়ী হওয়া মানে ওয়াজিবে দেড়ী হওয়া। কিন্তু সূরায়ে ফাতেহার পূর্বে ছানার স্থান হওয়ায়, তখন তাশাহুদ ছানার স্থলাভিষিক্ত হয়ে যাবে। যদি কেউ প্রথম রাকাতে সূরায়ে ফাতেহার পূর্বে তাশাহুদ পড়ে নেয়, তাহলে তার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। আর দ্বিতীয় রাকাতে পড়লে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
যদি কেউ প্রথম বৈঠকে তাশাহুদকে দুই বা ততোধিক বার পড়ে, তাহলে তার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে, কেননা এতেকরে তৃতীয় রাকাতের কিয়াম যা ফরয সেটা পালন করতে দেড়ী হয়ে যাচ্ছে। (বাহরুর রায়েক-২/১০৫)
وَلَوْ كَرَّرَ التَّشَهُّدَ فِي الْقَعْدَةِ الْأَخِيرَةِ فَلَا سَهْوَ عَلَيْهِ
«البحر الرائق شرح كنز الدقائق ومنحة الخالق وتكملة الطوري» (2/ 105)
আর দ্বিতীয় বৈঠকে তাশাহুদকে দুই বা ততোধিকবার পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)সালাতে রুকুর সময়ে পায়ের বৃদ্ধ আঙ্গুলের দিকে, সিজদায় নাকের দিকে, এবং দুই সিজদার মধ্যবর্তী বা বৈঠকের সময়ে কোলের দিকে তাকানো সুন্নত। নামাযে আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1300
(২) প্রথম বৈঠকে তাশাহুদের আংশিককে দুই বার পড়লে সাহু সিজদা দিতে হবে।
(৩) প্রথম দুই রাকাতে সূরায়ে ফাতেহাকে বা ফাতেহার কোনো অংশকে দুইবার পড়লে সাহু সিজদা দিতে হবে।
(৪) সাদাস্রাব সম্পর্কে বেখবর অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করার কারণে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। সাদাসাব হায়েয নয়, বরং এটা একটা রোগ, সাদাস্রাবের বিধান হল, ইস্তেহাযার বিধানের মত। সাদাস্রাবের সময় কুরআনকে স্পর্শ না করে কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে।