আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
270 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম ,
১/ রোজা রেখে আমি ফরজ গোসল ও ওযুর সময় নাক দিয়ে পানি টেনে নিই তবে পানি গলায় প্রবেশ করে নি । তারপরও কি রোজার কোনো ক্ষতি হবে ?
২/ আমার কোনো সম্পদ নেই ।অনেকটা দিন আনি দিন খাই অবস্থা । আমার জন্য কি সাদাকাতুল ফিতর দেওয়া ওয়াজিব , যদিও বাবা মার টাকা পয়সা সম্পত্তি থাকে ?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)https://www.ifatwa.info/1282 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ওজুর ধারাবাহিক সুন্নত বর্ণানায় ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় উল্লেখিত রয়েছে- 
(ومنها المضمضة والاستنشاق) والسنة أن يتمضمض ثلاثا أولا ثم يستنشق ثلاثا ويأخذ لكل واحد منهما ماء جديدا في كل مرة وكذا في محيط السرخسي.
وحد المضمضة استيعاب الماء جميع الفم وحد الاستنشاق أن يصل الماء إلى المارن. كذا في الخلاصة.
إن ترك المضمضة والاستنشاق أثم على الصحيح؛ لأنهما من سنن الهدى وتركها يوجب الإساءة بخلاف السنن الزوائد فإن تركها لا يوجب الإساءة هكذا في السراج الوهاج.
ওজুর সুন্নত সমূহের মধ্যে একটি সুন্নত হলো,(১)মাদমাদাহ তথা গড়গড়া করে কুলি করা(২)ইস্তেনশাক্ব তথা নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌঁছানো।নতুন পানি দ্বারা প্রথমে তিনবার মাদমাদাহ করা তারপর আবার নতুন পানি দ্বারা তিনবার ইস্তেনশাক্ব করা সুন্নত।বিশুদ্ধ মতানুযায়ী মাদমাদাহ এবং ইস্তেনশাক্ব ছেড়ে দিলে গোনাহ হবে।কেননা এ দু'টো সুন্নতে মু'আক্বাদাহ (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিয়মিত সুন্নত)।এবং ছেড়ে দেওয়া গোনাহকে ওয়াজিব করে।তবে অন্যান্য সুন্নতে যায়েদাহ কে ছেড়ে দিলে কেউ গোনাহগার হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭)

وَالْمُبَالَغَةُ فِيهِمَا سُنَّةٌ أَيْضًا. كَذَا فِي الْكَافِي وَشَرْحِ الطَّحَاوِيِّ إلَّا أَنْ يَكُونَ صَائِمًا. كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة 
ভালভাবে গড়গড়া করে কুলি করা, ও ভালভাবে নাকে পানি পৌঁছানো সুন্নত।তবে রোযাদারদের জন্য সুন্নত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৮)
রোযা অবস্থায় কুলি করা এবং নাকে পানি দেয়া যাবে।তবে মাদমাদাহ তথা গড়গড়া করে কুলি করা এবং ইসতেনশাক্ব তথা নাকে পনি দিয়ে জোড়ে টান দেয়া যাবে না।(আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল-২৮৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
রোযা অবস্থায় যদিও ভালভাবে গড়গড়া করে কুলি করা, ও ভালভাবে নাকে পানি পৌঁছানো সুন্নত নয়,তথাপি যদি কেউ করে নেয়,এবং গলার ভিতর পানি না পৌছে,তাহলে তার রোযার কোনো ক্ষতি হবে না ইনশা'আল্লাহ।

(২)https://www.ifatwa.info/1811 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ফিতরা কার উপর ওয়াজিব?
وهي واجبة على الحر المسلم المالك لمقدار النصاب فاضلا عن حوائجه الأصلية كذا في الاختيار شرح المختار، ولا يعتبر فيه وصف النماء ويتعلق بهذا النصاب وجوب الأضحية، ووجوب نفقة الأقارب هكذا في فتاوى قاضي خان.
ভাবার্থনিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক  নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব।
এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া জরুরী নয়।শুধু তাই নয়, বরং এ পরিমাণ মালের মালিকের উপর  কোরবানী ও নিকটাত্মীয়দের ব্যয়ভার গ্রহণ ওয়াজিব। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...