আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
161 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
রক্ত সম্পর্কের আত্নীয় যারা পূর্বে বছরের পর বছর তারই বোনের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের সব দিক দিয়ে ক্ষতি (সরাসরি+কুফুরি করে),মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সম্মান হানি করার চেষ্টা,আরেক আত্মীয়ের সাথে মিলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে সাহায্য করেছে শুধু মাত্র হিংসার বশবর্তী হয়ে।বোনের পরিবারের দুজন সদস্যকে আল্লাহ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন।
এতকিছুর পরেও বোনের পরিবারটি আল্লাহর ভয়ে তাদের সাথে দূরত্ব বজায় রেখে সম্পর্ক কায়েম রেখেছে।এরপর আল্লাহ সবার সামনে তাদের শত্রুতা প্রকাশ করে দিয়েছেন।
বোনের পরিবারের যে ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিল তা তাদের নিজেদের হয়েছে।এসব বলে বলে তারা বোন+তার পরিবারের সদস্যদের সাথেই কান্নাকাটি করে।
বোন যতটুকু সম্ভব তাদের সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করে,দ্বীনের দাওয়াত দেয়।আইওএম এর একটি কোর্সেও ভর্তি করিয়ে দিয়েছিল।এর পরেও এই জালিমদের অন্তর থেকে হিংসা যায় নি।তারা বোনের পরিবারের কোনো ভালো সহ্য করতে পারে না।
ইদানিং তারা আবার আগের মত করছে।বোনকে ফোনে বিভিন্ন ভাবে মানুষিক আঘাত করে কথা বলে ও তার ছেলেকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে যদিও বোনের পরিবার তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকার চেষ্টা করে সবসময়।

বোনের বয়স হয়েছে।মানষিক আঘাত সাথে উনার সন্তানের সাথে পুনঃপুনঃ শত্রুতা উনি এখন আর সহ্য করতে পারেন না।প্রেশার হাই হয়ে একদম বিছানায় পড়ে যান।
তারা এই বোনের পরিবারের সাথে হেন কোনো শয়তানি নেই যা করেনি।প্রতিবেশীরা ওসব দেখে হতবাক  হয়েছে,কেঁদেছে।

এখন এই ধরনের আত্নীয়ের সাথে কিভাবে সম্পর্ক কায়েম রাখা যায় যাদের অসংখ্য অপকর্মের বিপরীতে  ভালো ব্যবহার,বিপদে সাপোর্ট পেয়েও তাদের মনোভাবের কোনো পরিবর্তন নেই?এদের সাথে যোগাযোগ কি রাখতেই হবে?
প্রায় দুমাস যাবত যোগাযোগ করার সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বোনের পরিবার থেকে তাদের মায়ের স্বাস্থ্যের বিষয়টি ভেবে।সেই আত্মীয়রা দেশের বাইরে থাকে।যোগাযোগ বন্ধ করে বোনটি ভয়ে আছেন উনি আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করেছেন কিনা!উনার দু'আ আর কবুল হবে না কিনা!
উল্লেখ্য,কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব নয়।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1577 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সিলাহ রেহমির স্থর
دَرَجَاتُ الصِّلَةِ:
ذَهَبَ فُقَهَاءُ الْحَنَفِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ إِلَى أَنَّ دَرَجَاتِ الصِّلَةِ تَتَفَاوَتُ بِالنِّسْبَةِ لِلأَْقَارِبِ، فَهِيَ فِي الْوَالِدَيْنِ أَشَدُّ مِنَ الْمَحَارِمِ، وَفِيهِمْ أَشَدُّ مِنْ غَيْرِهِمْ . وَلَيْسَ الْمُرَادُ بِالصِّلَةِ أَنْ تَصِلَهُمْ إِنْ وَصَلُوكَ؛ لأَِنَّ هَذَا مُكَافَأَةٌ، بَل أَنْ تَصِلَهُمْ وَإِنْ قَطَعُوكَ . فَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُ لَيْسَ الْوَاصِل بِالْمُكَافِئِ وَلَكِنَّ الْوَاصِل الَّذِي إِذَا قُطِعَتْ رَحِمُهُ وَصَلَهَا
হানাফি ফুকাহায়ে কেরাম,এবং শাফেয়ী ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন,সিলাহ রেহমি আত্মীয়তার স্থরভেদে প্রযোজ্য হবে।মাহরামের তুলনায় মাতা-পিতার জন্য উচ্ছস্থরের সিলাহ রেহমি প্রযোজ্য হবে।আর গায়রে মাহরামের তুলনায় মাহরামের জন্য উচ্ছস্থরের সিলাহ রেহমি প্রযোজ্য হবে।সিলাহ রেহমির অর্থ এটা নয় যে,কেউ আপনার সাথে ভালো ও উত্তম ব্যবহার করল,আর বিনিময়ে আপনিও তার সাথে ভালো ব্যবহার করলেন।কেননা এটার নাম তখন সিলাহ রেহমি না হয়ে  মুকাফা'।বরং আত্মীয় কেউ আপনার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ককে ছিন্ন করার পরও আপনি তার দিকে উত্তম ব্যবহার নিয়ে অগ্রসর হবেন এটাই হলো মূলত সিলাহ রেহমি।যেমন সহীহ বুখারী সহ বিভিন্ন রেওয়াতে এসেছে,সিলাহ রেহমি এটা নয় যে,আত্মীয় কারো ভালো ব্যবহারের বিনিময়ে আপনিও তার সাথে ভালো ব্যবহার করলেন,বরং সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার পরও তার সাথে ভালো ব্যবহার করার নামই হলো সিলাহ রেহমি।(৩/৮৪)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো আত্মীয় শতবার জুলুম করার পরও তার সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা সওয়াবের কাজ। কিন্তু আপনার বর্ণিত পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনি যদি ঐ আত্মীয়র সাথে সম্পর্ক বজায় না রাখেন, তাহলে এক্ষেত্রে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। হ্যা, সম্পর্ক না রাখলেও আপনি তার গিবত করতে পারবেন না, তার মন্দ কামনা করতে পারবেন না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 197 views
...