জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যদি এসব কথা না বলে থাকেন,শুধু মনে মনে ভেবে থাকেন,তাহলে ঈমান চলে যায়নি।
,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মনে মনে ভাবলেই কেহ কাফের হয়ে যায়না।
তবে এসব চিন্তা ভাবনার কারনে মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে।
,
এসব চিন্তা মাথায় আসলেই
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم
পড়তে হবে।
,
আল্লাহর কাছে এসব চিন্তা থেকে পানাহ চাইতে হবে,বেশি বেশি নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, যিকির আযকার,হক্কানী শায়েখদের বয়ান শুনতে হবে।
,
এসব চিন্তা মনে আসতেই দেওয়া যাবেনা,পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলতে হবে।
আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যদি ওয়াজ শুনলেই এসব চিন্তা মাথায় আসে,তাহলে আপাতত ওয়াজ শোনা বন্ধ রাখুন।
যেসব কাজ/চিন্তা করলে এসব চিন্তা মাথায় আসে,সেসব কাজ/চিন্তা মাথায় আসতেই দিবেননা।
,
যেসব জায়গায় গেলে এসব চিন্তা আসে,সেসব জায়গায় যাবেননা।
,
আপাতত এ জাতীয় বই পড়াও বন্ধ রাখুন,সম্পূর্ন ভাবে টেনশন মুক্ত থাকুন।
মহান আল্লাহর যিকির বেশি বেশি করুন।
বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করুন
একাকী না থাকার চেষ্টা করবেন।
,
ইনশাআল্লাহ সমাধান হবে।