আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
262 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম

"আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়" আমি এই কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি

আমি একজন সংশয়বাদী মানুষ,ইসলাম সম্পর্কিত যেকোন বিষয়ের খারাপ দিকটা আমার মস্তিষ্ক বেশি মনে রাখে,ভালোটা জোর করে মনে করতে হয়...

আজকে আমি ঈমানের উপর দৃঢ়তা থাকা সম্পর্কিত একটা ওয়াজ শুনছিলাম,যার খারাপ দিকটা হয়ত আমার মস্তিষ্ক ধরে রাখছিল,.....যা যখন আমি নামাজে সিজদাহ্ করতে গেলাম ঠিক সেই মূহুর্তে আমার মনে চলে আসে,নাউজুবিল্লাহ
আমি কিভাবে একমাত্র আল্লাহর হক সিজদাহ্- য় গিয়ে এমন একটা কথা মনে মনে বলতে পারলাম সেটা ভেবে আমার অন্তরজ্বলে যাচ্ছে,কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না,ফলে বার বার এ কথা মনে পরে যাচ্ছে আর সংশয়ে পরে যাচ্ছি যে মুখেও উচ্চারণ করে ফেললাম কিনা,একবার নামাজও বাতিল করতে হইছে কারন মনে হচ্ছিল হয়ত সুরা পরার সময় এ কথাটা উচ্চারিত হয়ে গেল কিনা এটা ভেবে....

আল্লাহ ত সব কিছুই জানেন,মনে মনে কিছু বললেও জানেন,তাহলে কি আমি মনে মনে এমন কথা বলাতে আমার ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে,আমি কি চিরস্থায়ী জাহান্নামি হয়ে গেলাম?

২ঃ কেউ যদি নামাজে,রুকুতে,সিজদাহ্-য় গিয়ে মনে মনে শিরক,কুফুরি কথা বলে ফেলে বা চোখে যদি কোন ছবি ভেসে উঠে তাহলে কি তার ঈমান নষ্ট হয়ে কাফের হয়ে যায়?

1 Answer

0 votes
by (574,230 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

যদি এসব কথা না বলে থাকেন,শুধু মনে মনে ভেবে থাকেন,তাহলে ঈমান চলে যায়নি।
,

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মনে মনে ভাবলেই কেহ কাফের হয়ে যায়না।
তবে এসব চিন্তা ভাবনার কারনে মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে। 
,
এসব চিন্তা মাথায় আসলেই 
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم 
পড়তে হবে।
,
আল্লাহর কাছে এসব চিন্তা থেকে পানাহ চাইতে হবে,বেশি বেশি নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, যিকির আযকার,হক্কানী শায়েখদের বয়ান শুনতে হবে।
,
এসব চিন্তা মনে আসতেই দেওয়া যাবেনা,পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলতে হবে।     

আরো জানুনঃ  
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
যদি ওয়াজ শুনলেই এসব চিন্তা মাথায় আসে,তাহলে আপাতত ওয়াজ শোনা বন্ধ রাখুন।
যেসব কাজ/চিন্তা করলে এসব চিন্তা মাথায় আসে,সেসব কাজ/চিন্তা মাথায় আসতেই দিবেননা।
,
যেসব জায়গায় গেলে এসব চিন্তা আসে,সেসব জায়গায় যাবেননা।
,
আপাতত এ জাতীয় বই পড়াও বন্ধ রাখুন,সম্পূর্ন ভাবে টেনশন মুক্ত থাকুন।
মহান আল্লাহর যিকির বেশি বেশি করুন।
বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করুন  
একাকী না থাকার চেষ্টা করবেন।   
,
ইনশাআল্লাহ সমাধান হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 144 views
...