ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
13295
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : رَحِمَ اللَّهُ امْرَأً صَلَّى قَبْلَ الْعَصْرِ أَرْبَعًا
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, আল্লাহ ঐ ব্যক্তির উপর রহম করবেন,যে আছরের পূর্বে চার রাকাত নামায পড়বে।(সুনানে আবি-দাউদ-১২৭১)
ইমাম আবু দাউদ রাহ উক্ত হাদীস সম্পর্কে নিশ্চুপ থাকেন।তবে ইমাম তিরমিযি রাহ উক্ত হাদীসকে হাসান বলেছেন।(সুনানে তিরমিযি-৪৩০)
ইবনুল কাইয়্যিম রাহ বলেন,
"وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ، فَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ، وَعَلَّلَهُ غَيْرُهُ"
এই হাদীস নিয়ে উলামাগণ মাতবিরোধ করেছেন। ইবনে হিব্বান সহীহ বলেছেন।তবে অন্যান্যরা এ হাদীসের ইল্লত বের করেছেন।( যাদুল মা'আদ-১/৩০১)আরো দেখা যেতে পারে, (নাইলুল আওতার-৩/২৩)
إنَّ التَّطَوُّعَ بِالْأَرْبَعِ قَبْلَ الْعِشَاءِ حَسَنٌ؛ لِأَنَّ التَّطَوُّعَ بِهَا لَمْ يَثْبُتْ أَنَّهُ مِنْ السُّنَنِ الرَّاتِبَةِ، وَلَوْ فَعَلَ ذَلِكَ فَحَسَنٌ؛ لِأَنَّ الْعِشَاءَ نَظِيرُ الظُّهْرِ فِي أَنَّهُ يَجُوزُ التَّطَوُّعُ قَبْلَهَا وَبَعْدَهَا،
এশার পূর্বে চার রাকাত নফল নামায পড়া উত্তম।এ চার রাকাত নামায হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।তবে যদি কেউ পড়ে নেয়,তাহলে উত্তম কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।কেননা এ'শা জোহরের মতই।তাই যেভাবে জোহরের পূর্বে চার রাকাত পড়া হয়,ঠিক তেমনি এশার পূর্বেও চার রাকাত পড়া হবে।
(বাদায়ে সানায়ে-১/২৮৫)
সুন্নত দুই প্রকার।যথাঃ-(১) সুন্নতে মু'আক্কাদা (২) সুন্নতে গায়রে মু'আক্কাদা।
(১)সুন্নতে মু'আক্কাদাঃ
যা রাসূলুল্লাহ সাঃ নিয়মিত পড়েছেন ও নিয়মিত পড়ার নির্দেশ উম্মতকে দিয়েছেন। সুন্নতে মু'আক্বাদা নামায সর্বমোট ১২ রা'কাত। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/4516
(১)
কেউ যদি আসরের চার রাকাত সুন্নত এবং এশার চার রাকাত সুন্নত নামাজ বাদ দেয়, সেদিন রাতে তাহাজ্জুদ আদায় করলে ক তার তাহাজ্জুদের নামায আদায় হবে।
(২) আসরের চার রাকাত সুন্নত না পড়লে আসরের ফরযের পর আর পড়া যাবে না। তবে ভিন্ন সময়ে পড়া যাবে। এবং এশার পূর্বের চার রাকাত সুন্নত না পড়লে এশার ফরয পরবর্তী দু রাকাত সুন্নত পড়ার পর বিতিরের পূর্বে ঐ চার রাকাত সুন্নত পড়া যাবে।