জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি একে নাজিল করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জান কদরের রাত কি? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। (সুরা: কদর, আয়াত: ১-৩)।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রমজান মাস এলে রাসূল (সা.) বলতেন, ‘হে জনমণ্ডলী! তোমাদের কাছে মহিমান্বিত রমজান এসে পড়েছে। এ মাস খুবই বরকতময়। এ মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। আর জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। এ মাসে এমন একটি রাত আছে যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বিরত হয়, সে প্রকৃতপক্ষেই হতভাগ্য। (মুসনাদে আহমাদ : ৭১০৮; সুনানে নাসায়ি : ২১০৬)।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে আরো বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতেসাবের সঙ্গে কদরের রাতে ইবাদত করবে আল্লাহ তায়ালা তার পেছনের জীবনের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (বুখারি : ৩৫; মুসলিম : ৭৬০ ও ১২৬৮)।
সুরা কদরের আয়াতের ব্যাখায় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এ রাতের ইবাদত অন্য হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম’। (তানবিরুল মিকবাস মিন তাফসিরে ইবনে আব্বাস : ৬৫৪ পৃষ্ঠা)।
তাবেয়ি মুজাহিদ (রা.) বলেন, এর ভাবার্থ হলো, ‘এ রাতের ইবাদত, তেলাওয়াত, কিয়াম ও অন্যান্য আমল লাইলাতুল কদর ছাড়া হাজার মাস ইবাদতের চেয়েও উত্তম।’ মুফাসসিররা এমনই ব্যাখ্যা করেছেন। আর এটিই সঠিক ব্যাখ্যা। (ইবনে কাসির : ১৮ খণ্ড, ২২৩ পৃষ্ঠা)।
সূরা কদরের শানে নুযুল সম্পর্কে ইবনে কাসির (রা.) বলেন, আলী ইবনে উরওয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বনি ইসরাইলের চারজন আবেদ সম্পর্কে বলছিলেন, তারা আশি বছর ধরে অনবরত আল্লাহর ইবাদত করছিল। এর মধ্যে মুহূর্ত সময়ের জন্যও ইবাদত থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হননি। বিখ্যাত এ চারজন আবেদ হলো আল্লাহর নবী জাকারিয়া (আ.), আইউব (আ.), হাজকিল ইবনে আ’জূজ (আ.) এবং ইউশা ইবনে নূহ (আ.)। এমনটি শুনে সাহাবিরা (রা.) রীতিমতো অবাক হলেন। এ সময় জিবরাইল (আ.) এসে বললেন, ‘হে মুহাম্মাদ (সা.)! আপনার উম্মতরা এ কথা শুনে অবাক হচ্ছে? তাদের জন্য আল্লাহতায়ালা এর চেয়ে উত্তম কিছু রেখেছেন। এরপর সূরা কদর পাঠ করা হয়। (ইবনে কাসির : ১৮ খণ্ড, ২২৩ পৃষ্ঠা)।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
লাইলাতুল কদর এর ইবাদাত আর হাজার মাসের নফল ইবাদাত সমান।
,
তবে ""কেউ এই রাতে গুনাহ করে তাহলে তার গুনাহ হাজার মাসের সমান হবে"" মর্মে কোনো হাদীস নই।
,
তবে এটি নিঃসন্দেহে কঠিন গুনাহ হবে।
,
(০২)
নির্দিষ্ট কোনো দুয়া বা আমল নেই।
বেশি বেশি নফল নামাজ পড়তে পারেন।
ছালাতুত তাসবিহ আদায় করতে পারেন।
কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন।
যিকির আযকার করতে পারন।
ইতেকাফে থাকতে পারেন।
নিজের জন্য যেকোনো বৈধ দোয়া করতে পারেন।