জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো দেরি না করে সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করা মুস্তাহাব।
মাগরিবের নামায পড়ার আগেই ইফতার করে নিবে, যেন সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করার সওয়াব পাওয়া যায়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ قُرَّةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَحَبُّ عِبَادِي إِلَىَّ أَعْجَلُهُمْ فِطْرًا " .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আমার বান্দাদের মাঝে যারা তাড়াতাড়ি ইফতার করে তারাই আমার বেশী প্রিয়।
(তিরমিজি ৭০০ মিশকাত (১৯৮৯), তা’লীকুর রাগীব (২/৯৫)
وَعَنْ سَهْلٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
সাহল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যতদিন পর্যন্ত মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে।
(সহীহ : বুখারী ১৯৫৭, মুসলিম ১০৯৮, তিরমিযী ৬৯৯, মুয়াত্ত্বা মালিক ১০১১, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ৭৫৯২, ইবনু মাজাহ ১৬৯৭, আহমাদ ২২৮০৪, দারিমী ১৭৪১, ইবনু খুযায়মাহ্ ২০৫৯, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৫৭১৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮১১৮, শু‘আবূল ঈমান ৩৬৩০, ইবনু হিববান ৩৫০২, ইরওয়া ৯১৭, সহীহাহ্ ২০৮১, সহীহ আত্ তারগীব ১০৭৩, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৯৪।)
★সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময় সাহরী খাওয়া মুস্তাহাব। তবে এত দেরি করা মাকরূহ যে, সুবহে সাদিক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়।
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
إنما معاشر الأنبياء أمرنا أن تعجل فطرنا وأن تؤخر سحورنا، قال الهيثمي رجاله رجال الصحيح.
‘সকল নবীকে সময় হওয়ার পরপরই ইফতার তাড়াতাড়ি করতে এবং সাহরী শেষ সময়ে খেতে আদেশ করা হয়েছে।’-আলমুজামুল আওসাত ২/৫২৬; মাজমাউয যাওয়াইদ ৩/৩৬৮
আমর ইবনে মায়মুন আলআওদী বলেন, ‘সাহাবায়ে কেরাম দ্রুত ইফতার করতেন আর বিলম্বে সাহরী খেতেন।’-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৭৫৯১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৯০২৫।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
ইসলামিক ফাউণ্ডেশন থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডার দেখে সাধারণত মসজিদে ইফতারীর সাইরেন বাজানো হয়।
ইসলামীক ফাউন্ডেশনের ক্যালেন্ডার এর উপর উলামায়ে কেরামগন একমত রয়েছে যে এটি এক্ষেতে গ্রহনযোগ্য।
তাই আমাদের এই গ্রহনযোগ্য ক্যালেন্ডার মেনেই ইফতারী সাহরী করা উচিত।
এখানে উলামায়ে কেরামদের পরামর্শ মোতাবেকই সতর্কতামূলক ২/৩ মিনিট কমবশি করা হয়েছে।
,
সুতরাং সেটি কোনো সমস্যা নয়।