বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَآئِكُمْ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ
রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ।(সূরা বাক্বারা-১৮৭)
প্রাইভেসি দ্বারা যদি উদ্দেশ্য হয়,শারিরিক বিষয়াদি। তাহলে বলা হবে যে,স্বামী-স্ত্রী একে অপরের কাছ থেকে যেকোনো রকম বৈধ ফায়দা গ্রহণ করতে পারবেন।অর্থাৎ স্ত্রীর মলদ্বারে সহবাস,হায়েযের সময় সহবাস করা যাবে না।এটা হারাম।বীর্য খাওয়া যাবে না।এটাও হারাম।স্ত্রীর দুধ পান করা যাবে না।এটাও হারাম।এছাড়া সকল প্রকার কামনাবাসনা পূর্ণ করা যাবে।তবে পরস্পর পরস্পরের গোপনাঙ্গে মূখ দেয়া অনুচিত।
আর যদি প্রাইভেসি দ্বারা উদ্দেশ্য হয়,কোনো বিষয় নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।তাহলে তখন বলা হবে যে, পরস্পর সম্পর্কিত বিষয়কে গোপন করা অন্যর জন্য উচিৎ হবে না।কেননা এতে সম্পর্কের অবনতি হয়।এছাড়া অন্য কিছু হলে গোপন রাখা যাবে।
স্বামী-স্ত্রী পরস্পর সকল বিষয়কে শেয়ার না করাই উত্তম।সংসার সুন্দর ও সুশৃঙ্খল রাখতে যতটুকু প্রয়োজন শুধুমাত্র ততটুকুই শেয়ার করা ভালো।কেননা তারা যে আজীবন স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকবেন,এর কোনো নিশ্চয়তা নাই।সুতরাং স্ত্রীকে মহব্বত করে মন উজার করে এমন সব বলা যাবে না,যা একদিন নিজের জন্য কাল হয়ে দাড়াবে।এবং কোনো কারণে স্ত্রীর প্রতি রাগান্বিত হলে এমন রাগও প্রকাশ করা যাবে না,যা পরের দিনের ব্যবহারের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে দাড়ায়।
এ সম্পর্কে দুইটি হাদীস লক্ষণীয়-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি বলেন,
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أُرَاهُ رَفَعَهُ، قَالَ: أَحْبِبْ حَبِيبَكَ هَوْنًا مَا عَسَى أَنْ يَكُونَ بَغِيضَكَ يَوْمًا مَا، وَأَبْغِضْ بَغِيضَكَ هَوْنًامَا عَسَى أَنْ يَكُونَ حَبِيبَكَ يَوْمًا مَا
তুমি তোমার বন্ধুকে ভালবাসো পরিমিত ভাবে,কেননা সম্ভাবনা রয়েছে, সে একদিন তোমার শক্র হয়ে যাবে।এবং তুমি তোমার শত্রুর সাথে শত্রুতা করো পরিমিত ভাবে,কেননা এ সম্ভাবনাও রয়েছে যে,সে একদিন তোমার বন্ধু হয়ে যাবে।[হাদীসটি মারফু এর স্থলাভিষিক্ত।](সুনানু তিরমিযি-১৯৯৭)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لاَ يَجْلِدُأَحَدُكُمُ امْرَأَتَهُ جَلْدَ العَبْدِ، ثُمَّ يُجَامِعُهَا فِي آخِرِ اليَوْمِ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,কেউ যেন তার স্ত্রীকে গোলাম বাদীর মত প্রহার না করে,অতঃপর সে পরের দিন ঐ স্ত্রীর সাথে সহবাস করার চেষ্টা করবে।(কেননা এখানে অপছন্দ এবং পছন্দ দুইটি বিপরিত মূখী জিনিষ একত্রিত হচ্ছে,যা অপছন্দনীয়)(সহীহ বোখারী-৫২০৪,মিশকাতুল মাসাবিহ-৩২৪২)
স্বামী-স্ত্রী সংসার হোক সন্দেহ মুক্ত, এবং পরিমিত।আমীন।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.