বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ সবকিছুর
খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার
হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো
ক্ষমতা নেই।
এমন আক্বিদা পোষণ
করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।
যেমন নিম্নোক্ত
হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন
বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-
আমর ইবনে শুয়াইব
তার সনদে বর্ণনা করেন,
ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ،
ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ :
( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ
ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ ) . .
ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ،
ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ
বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ
ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে- 'আউযু
বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া
শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন' এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক
সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআন-হাদীস ও
বৈধ কালাম ছাড়া ঝাড়ফুঁক দেওয়া ও গ্রহণ করা জায়েজ নেই। সুতরাং হিন্দুর থেকে ঝাড়ফুঁক
নেওয়া জায়েজ হবে না। উল্লেখ্য যে, এমন অনেক আলেম পাবেন যারা কুরআন-হাদীসে বর্ণিত
দোয়া দ্বারা ও বৈধ কালাম দ্বারা ঝাড়ফুঁক দিয়ে থাকেন। তাদের থেকে ঝাড়ফুঁক নিবেন। আর
আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করবেন। দেখবেন আল্লাহ তায়ালা সকল সমস্যা দূর করে দিবেন
ইনশাআল্লাহ।