জবাবঃ- হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ: " أَنَّ رَجُلًا اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَآهُ قَالَ: ( بِئْسَ أَخُو العَشِيرَة ِ، وَبِئْسَ ابْنُ العَشِيرَةِ ) ، فَلَمَّا جَلَسَ تَطَلَّقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَجْهِهِ وَانْبَسَطَ إِلَيْهِ ، فَلَمَّا انْطَلَقَ الرَّجُلُ ، قَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ، حِينَ رَأَيْتَ الرَّجُلَ قُلْتَ لَهُ كَذَا وَكَذَا، ثُمَّ تَطَلَّقْتَ فِي وَجْهِهِ وَانْبَسَطْتَ إِلَيْهِ؟ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ( يَا عَائِشَةُ، مَتَى عَهِدْتِنِي فَحَّاشًا، إِنَّ شَرَّ النَّاسِ عِنْدَ اللَّهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ القِيَامَةِ مَنْ تَرَكَهُ النَّاسُ اتِّقَاءَ شَرِّهِ)
একব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাক্ষাতের অনুমতি প্রার্থনা করল,যখন রাসূলুল্লাহ সাঃ তাকে দেখলেন,তিনি বললেন,এই ব্যক্তি কবিলার সবচেয়ে নিকৃষ্টতম ব্যক্তি।অতঃপর যখন ঐ ব্যক্তি বসল,রাসূলুল্লাহ সাঃ তার সাথে খুশীমনে আলোচনা করলেন।যখন ঐ ব্যক্তি চলে গেল,তখন হযরত আয়েশা রাযি বললেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! আপনি যখন ঐ ব্যক্তিকে দেখেছিলেন,তখন এমন এমন(মন্দ) বলেছিলেন।কিন্তু সে সামনে আসার পর তার সাথে সুন্দর ও নরম ব্যবহার করলেন।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,হে আয়েশা!তুমি কি কখনো আমাকে অশালীন বাক্যালাপ করতে দেখেছো।কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে খারাপ লোক হচ্ছে সেই ব্যক্তি যাকে তার ক্ষতির আশংকায় লোকজন পরিত্যাগ করে থাকে।(সহীহ বোখারী-৬০৩২,সহীহ মুসলিম-২৫৯১)
- মিরকাতুল মাফাতিহ কিতাবে ৪৮৩০ নং হাদীসের ব্যখ্যায় মোল্লা আলী ক্বারী রাহ লিখেন,
وفيه مداراة من يتقى فحشه وجواز غيبة الفاسق. وفي شرح السنة: فيه دليل على أن ذكر الفاسق بما فيه ليعرف أمره فيتقى لا يكون من الغيبة، ولعل الرجل كان مجاهرا بسوء أفعاله ولا غيبة لمجاهر. قال النووي: ومن الذين يجوز لهم الغيبة المجاهر بفسقه أو بدعته، فيجوز ذكره بما يجهر به ولا يجوز بغيره
এই হাদীস দ্বারা বুঝা গেল যে,যার থেকে খারাবীর অাশংকা রয়েছে তার সাথে বাহ্যিক ভাল ব্যবহার করার অনুমোদন রয়েছে।এবং এই হাদীস থেকে আরও বুঝা গেল যে,অন্যকে ফাসিকের ক্ষতি থেকে বাঁচাতে ফাসিকের পরিচয় প্রদান করা গিবতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।সম্ভবত ঐ ব্যক্তি প্রকাশ্যে ফিসকের কাজে লিপ্ত ছিলো।আর প্রকাশ্যে ফিসকের কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের সমালোচনা করা গিবতের অাওতাধীন নয়।ইমাম নববী রাহ বলেন,যারা প্রকাশ্যে ফিসক বা গোনাহের কাজে লিপ্ত, তাদের গিবত করা জায়েয।যে সমস্ত গোনাহ কে সে প্রকাশ্যে করবে সেগুলোর সমালোচনা করা জায়েয।তবে গোপনের গোনাহগুলির সমালোচনা করা যাবে না।
- সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কেউ ধারাবাহিক কোনো গোনাহের কাজে লিপ্ত থাকে,ক্ষান্ত না হয়,তাহলে তার সেই গোনাহ সমূহকে পাত্র-পাত্রীদের নিকট প্রকাশ করা যাবে,যদি তারা আপনার কাছে জানতে চায়।তাছাড়া ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পাত্র-পাত্রীদের নিকট দোষত্রুটি আলোচনা করা যেতে পারে।কারো ভালো দেখতে না পেরে গিবত করা,বা কারো দুশমনি করার জন্য গিবত করা কখনো জায়েয হবে না।