ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
وَالْمَرْأَةُ تَعْتَكِفُ فِي مَسْجِدِ بَيْتِهَا إذَا اعْتَكَفَتْ فِي مَسْجِدِ بَيْتِهَا فَتِلْكَ الْبُقْعَةُ فِي حَقِّهَا كَمَسْجِدِ الْجَمَاعَةِ فِي حَقِّ الرَّجُلِ لَا تَخْرُجُ مِنْهُ إلَّا لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ كَذَا فِي شَرْحِ الْمَبْسُوطِ لِلْإِمَامِ السَّرَخْسِيِّ. وَلَوْ اعْتَكَفَتْ فِي مَسْجِدِ الْجَمَاعَةِ جَازَ وَيُكْرَهُ هَكَذَا فِي مُحِيطِ السَّرَخْسِيِّ. وَالْأَوَّلُ أَفْضَلُ،
«الفتاوى الهندية» (1/ 211)
মহিলা ঘরের মসজিদে ইতিকাফ করবে। যখন মহিলা ঘরের মসজিদে ইতিকাফ শুরু করবে, তখন সেই জায়গা ঐ মহিলার জন্য জামে মসজিদের সমতুল্য হিসেবে গণ্য হবে। মহিলা ঐ ঘর থেকে মানবিক হাজত ব্যতিত বের হতে পারবে না।( মাবসুত-সারখাসি) মহিলার জন্য জামে মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। তবে সর্বাবস্থায় ঘরেই ইতিকাফ উত্তম। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)ঘরের কোনো সদস্যকে ওষুধ খাওয়ানো, মশারি টানিয়ে দেয়ার জন্য মহিলা ঐ ঘর থেকে বের হতে পারবে না।
(২)কোনো বৃদ্ধ সদস্য যদি বারবার কিছু জানতে চান বা অযথা কথা বলেন এর জবাব ঐ ঘরের ভিতর থেকে দিতে পারবে। তবে ঘর থেকে বের হতে পারবে না। ঘর থেকে বের হলেই ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
(৩)খাবার বা পানি আনার জন্য অন্য রুমে যাওয়া যাবে,যেহেতু এটা হাজত। তবে তথায় অনর্থক অবস্থান করা যাবে না। করলে ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।
(৪) সুগন্ধী ব্যবহার করা যাবে।
(৫) ঘরের ভিতর অবস্থান করে দ্বীনি বিষয়ের ক্লাস, পরীক্ষা ও কুইজে অংশ নেয়া যাবে। তবে এগুলো থেকে দূরে থাকাই উত্তম। ( আহকামে ইতিকাফ-৯৯)