বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনাকে পা ধৌত করতে হবে।এবং পায়ের মধ্যে পায়ের সমস্ত রগ রেশায় যেপানি ঢোকছে,সে দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। হ্যা যদি পানি লাগলে ক্ষতি হওয়ার অাশংকা থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় পাকে ধৌত না করে শুধুমাত মাসেহ করার অনুমোদন থাকবে
(২)
নামাযের খুশুখু নষ্ট হয়, এপর্যায়ের প্রস্রাব পায়খানার বেগ থাকলে, এমতাবস্থায় প্রস্রাব পায়খানাকে চেপে রেখে নামায পড়া মাকরুহ।নতুবা মাকরুহ হবে না।
(৩)
কুকুর শয়তানকে দেখে ঘেউ ঘেউ করে,সুতরাং তখন আল্লাহ কাছে শয়তান থেকে পানাহ চাহিতে হইবে।
(৪)
আপনি যদি সাহেবে তারতীব হন,তথা সারা জীবনে এখন পর্যন্তও ছয় রা'কাতের বেশী নামায কাযা না হয়ে থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় আপনার উপর ছুটে যাওয়া ওয়াক্তের নামায কা'যা করা ওয়াজিব হবে।ছুটে যাওয়া নামাযকে আদায় না করলে বর্তমান নামাযই আদায় হবে না।
তবে যদি কারো ছয় ওয়াক্তের চেয়ে বেশী নামায কা'যা থাকে,তাহলে উনার উপর পূর্বের নামায প্রথমে পড়া ওয়াজিব নয়।তবে সময়-সুযোগ থাকলে অবশ্যই পড়ে নেয়া উত্তম হবে।
অর্থাৎ
বালিগ হওয়ার পর যার জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা হয়নি,সেই ব্যক্তিই সাহেবে তারতীব। সুতরাং কেউ যদি টানা কয়েক বছর নামায না পড়ে তাকে,এবং পরবর্তীতে নিয়মিত নামায পড়া শুরু করে, এবং তখন ১/২ ওয়াক্ত নামায কা'যা হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি সাহেবে তারতীব হবে না।কেননা ঐ ব্যক্তির অধীনে বা জিম্মায় অসংখ্যাত নামায কা'যা রয়েছে।তাই ঐ ব্যক্তিকে সাহেবে তারতীব বলা যাবে না।সাহেবে তারতীব হওয়ার জন্য ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা হতে পারবে না বা জিম্মায় থাকতে পারবে না।
যদি কারো অনেক নামায কা'যা থাকে,এবং ঐ ব্যক্তি কা'যা আদায় করতে করতে ছয় ওয়াক্তের কম নামায তার জিম্মায় বাকী থাকে,তাহলে কি সে সাহেবে তারতীব হবে?
এ সম্পর্কে দু ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়, বিশুদ্ধ কথা হল,ঐ ব্যক্তিও সাহেবে তারতীব হিসেবে গণ্য হবে।
সাহেবে তারতীব ব্যক্তির জন্য তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব।অর্থাৎ প্রথমে কাযা নামায গুলো ধারাবাহিক আদায় করতে হবে।তারপর ওয়াক্তের নামায আদায় করতে হবে।উল্টো করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে। বিস্তারিত জানুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যদি সাহেবে তারতীত হন,তাহলে আপনাকে আছরের পূর্বেই ফজর ও যোহর পড়ে নিতে হবে।আর সাহেবে তারতীব না হলে,আপনার জন্য ফজর ও জোহর পড়া জরুরী নয়।